পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

oلی ہاچ नाङ्ङिा नब्रिथम नतिका: শ্রাবণ, ১৩০১–বঙ্কিমচন্দ্র ও আধুনিক বঙ্গীয় সাহিত্য। মাঘ, ১৩০১—মকুন্দরাম ও ভারতচন্দ্র। এতদ্ব্যতীত “মানসী" ভাদ্র, ১৩১৮ সংখ্যায় একখানি পত্র এবং “বঙ্গশ্রী", শ্রাবণ, ১৩৪৪ সংখ্যায় তিনখানি পত্র প্রকাশিত হইয়াছে। রাজনারায়ণ বসকে লেখা তাহার আর একখানি পত্রও পাইয়াছি। উপন্যাস সাহিত্য: ইংরেজী সাহিত্যের আলোচনায় প্রবত্ত থাকিয়াও রমেশচন্দ্র কিরাপে বঙ্গসাহিত্যানশীলনে উদ্বুদ্ধ হইয়াছিলেন তাহার কথা একট আগে বলা হইয়াছে। রমেশচন্দ্র “বঙ্গদশ্যনে” বঙ্কিম গোষ্ঠীর অন্তভুক্ত ছিলেন না বটে, কিন্তু তিনি বঙ্কিম রচিত প্রথম ক'খানি উপন্যাস পাঠে বাঙ্গলা গদ্য সাহিত্যের রচনাশৈলীর সহিত ইতিপবেই পরিচিত হইয়াছিলেন। বঙ্কিমের সহিত সাক্ষাৎ আলাপে অনুপ্রাণিত হইয়াই তিনি বাঙ্গালা সাহিত্যের সাধনায় মনোযোগী হইলেন। তিনি মোট ছয়খানি মাত্র উপন্যাস লিখিয়া গিয়াছেন। সংখ্যায় অলপ হইলেও ইহার মধ্যে তাঁহার শিল্পি-মানসের ক্রমবিকাশ লক্ষ্য করা যায়। রমেশচন্দ্রের উপন্যাসগুলির মধ্যে প্রথম চারিখানি ইতিহাস ভিত্তিক, অপর দুইখানি সামাজিক সমস্যা লইয়া বিরচিত। তাঁহার প্রথম উপন্যাস—বঙ্গবিজেতা। এখানি ১৮৭৪ সনে প্রকাশিত হয়। রমেশচন্দ্র এই কটী কথায় তাঁহার প্রথম উপন্যাসখানি আজীবন-সহদ বিহারীলাল গুপ্তকে উৎসগ করেন: উৎসগ / পঙ্গবিজেতা। / উপহার / মদীয় / বিদ্যালয়ে সহাধ্যায়ী / বিদেশ-ভ্রমণে-চিরসহচর, y জীবনের বন্ধ / শ্ৰীবিহারীলাল গুপ্ত মহান ভবকে / এই প্রণয়োপহার প্রদান / করিলাম। / শ্রীরমেশচন্দ্র দত্ত। / মেহেরপর / ২৬এ অক্টোবর ১৮৭৪ 2 রমেশচন্দ্রের দ্বিতীয় উপন্যাস—মাধবীকঙ্কণ। ইহার প্রকাশকাল ১৮৭৭ । এখানি তিনি বিলাত যাত্রা ও বিলাত প্রবাসের অন্যতর সঙ্গী বন্ধবের সরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উংসগ করেন। উৎসগ-পত্ৰখানি তাঁহারই ভাষায়: “স্বদেশহিতৈযী শ্রীস রেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রিয় সহৎ সরেন্দ্ৰ ! নয় বৎসর গত হইল, তুমি, সহৃদবর বিহারীলাল ও আমি, এই তিনজনে একদিন প্রাতঃকালে মাতৃভূমির নিকট বিদায় লইয়া একত্রে, একই উদ্দেশ্যে, বহুসমদ্র-পার বিদেশ যাত্রা করিয়াছিলাম । আমাদিগের জীবনের মধ্যে সেই সমরণীয় দিনটী সমরণ করিয়া আদ্য এ পুস্তকখানি তোমাকে অপণ করিলাম। অদ্য আমরা ভিন্ন ভিন্ন কাযে ব্ৰতী হইয়াছি, তুমি যে ব্ৰত ধারণ করিয়াছ, তাহা অপেক্ষা মহত্তর ব্রত জগতে আর নাই । সেই মহৎ কাষে সফল হও, এই সহিত এই সামান্য পুস্তকখানি তোমার হস্তে অপণ করিলাম। কৃষ্ণনগর তোমার স্নেহাভিলাষী ১২৮৩ বঙ্গাবদ । শ্রীরমেশচন্দ্র দত্ত ।” রমেশচন্দ্র ইতিপবে কয়েকখানি ইংরেজী গ্রন্থ লিখিয়াছেন। বাঙ্গালা উপন্যাস দইখানি ধচনা ও প্রকাশের পর বাঙ্গালা সাহিত্যের প্রতি রমেশচন্দ্রের মনোভাব কিরাপ হইয়াছিল তাহা অগ্রজ যোগেশচন্দ্রকে বাখরগঞ্জ হইতে ১৩ই আগস্ট, ১৮৭৭ তারিখে লিখিত নিম্নোক্ত পত্রাংশ হইতে সপটে বুঝা যায়: "...I have written a few English books which have, for the time, pleased Imy Countrymen for whom they were written. I have composed two Bengali novels which will probably live after my death. ... My own mother tongue must be my line, and before I die I hope to leave what will enrich the language and will continue to please my countrymen after I am dead.” রমেশচন্দ্রের তৃতীয় উপন্যাস মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত। এখানি প্রকাশিত হয় ১৮৭৮ সনে।