পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राछत्र,क जीवन-णझा আক্রমণ করিবার জন্য কেহ কেহ পরামর্শ দিলেন। তেজসিংহ ক্রফুটী করিয়া কহিলেনপিতার দগে পত্র তস্করবৎ প্রবেশ করে না। তেজসিংহ রাজপত, রাজপত সাপ্ত শত্রর সহিত যুদ্ধ করে না। T পরে উচ্চৈঃস্বরে ভেরী বাজাইলেন; ভেরীর শব্দ সে পন্বত ও উপত্যকায় বার বার ধৰনিত হইয়া জগৎকে চমকিত করিল। পরে তেজসিংহ উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন,—অদ্য তিলকসিংহের পত্র পিতার দাগে প্রবেশ করিবেন, যাহার সাধ্য পথ রোধ কর। যাহারা সে ভেরীশব্দ, সে গন্বিত কথা শুনিল, তাহারা বুঝিল, অদ্য তেজসিংহের গতিরোধ করা মনষ্যের সাধ্যাতীত। দাগ প্রহরিগণ নীচের শব্দ শুনিতে পাইল, লক্ষ্য করিয়া দেখিল, পিপীলিকাসারের ন্যায় সৈন্যশ্রেণী দগে আরোহণ করিতেছে! তৎক্ষণাৎ তাহারা দন্জেয়সিংহকে সংবাদ দিল। দলজয়সিংহ জাগরিত হইয়া দাগ প্রাচীরের উপর দণ্ডায়মান হইলেন, মহমত্তের মধ্যে বুঝিলেন, রাঠোর অলপদিন পবে যে সত্য করিয়াছিলেন, আদ্য তাহাই পালন করিতে আসিয়াছেন। রোষে মনে মনে বলিলেন;–তিলকসিংহের পত্র! বহুকাল হইতে এইদিন আমি প্রতীক্ষা করিতেছি। আজি হৃদয় শান্ত হইবে, তুমি কি আমি আদ্য জীবনত্যাগ করিব। এ জগতে উভয়ের স্থান নাই। দলেজয়সিংহের আদেশে দ্বিশত যোদ্ধা প্রাচীর হইতে অবতীর্ণ হইল, অবশিস্ট প্রাচীরের ভিতর রহিল। প্রাচীরের উপরে চারিদিকে মশাল জলিল, দাগ শিরের এই আলোক বহৃদরে পৰ্য্যস্ত চারিদিকের দেশ প্রদীপ্ত করিল, গগন উদ্দীপ্ত করিল। তেজসিংহ দেখিলেন, বিনা যুদ্ধে আর আরোহণ সম্ভব নহে। তখন বজ্রনাদে যুদ্ধের আদেশ দিলেন, স্বয়ং সমস্ত সৈন্যের অগ্রগামী হইয়া বশ ও অসি হস্তে শরকে আক্রমণ করিলেন। সেস্থানে উপরের অলপ সৈন্য নীচস্থ বহন সৈন্যের গতিরোধ করিতে পারিত, কিন্তু তেজসিংহের গতিরোধ হইল না। তাঁহার রাঠোর সেনাগণ যেরপে দন্দেমনীয় ও অপ্রতিহততেজে দঙ্গজয়সিংহের সেনাকে আক্রমণ করিল, তাহা দেখিয়া উপরিস্থ দগবাসিগণ বিস্মিত হইল। মহেত্তের মধ্যে প্রচণ্ডনাদ গগনে উত্থিত হইল, অপেক্ষণ মধ্যে দ্বিশত চন্দাওয়ং সৈন্য বায়তাড়িত পত্রের ন্যায় ছিন্নভিন্ন হইয়া পড়িল। অনেকে হত হইল, অনেকে পর্বত হইতে উপলখন্ডের ন্যায় নীচে নিক্ষিপ্ত হইল, অবশিস্ট দগে প্রাচীরাভিমুখে পলায়ন করিল। শবরাশির উপর দিয়া তেজসিংহের দন্দমনীয় রাঠোর সেনা হঙ্কোর শব্দে অগ্রসর হইল। দলেজয়সিংহ উপর হইতে এই ব্যাপার দেখিলেন, নীরবে সসৈন্যে দগ"প্রাচীরের উপর দন্ডায়মান রহিলেন । তাহার দন্তপতি ওঠের উপর স্থাপিত, নয়ন হইতে অগ্নি বাঁহগতি হইতেছিল। তিনি কহিলেন–তিলকসিংহের পত্র পিতার ন্যায় যুদ্ধ শিখিয়াছে, কিন্তু দতেজয়সিংহও দাবাল হস্তে অসিধারণ করে না। আইস, বীরপত্র, আজি তোমার যুদ্ধসাধ মিটাইব । মহেত্তের মধ্যে তেজসিংহের সেনা প্রাচীরের নিকট আসিল, তখন প্রকৃত যুদ্ধ আরম্ভ হইল। রাঠোরগণ লম্বফ দিয়া প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করিবার চেস্টা পাইল, চন্দাওয়ৎগণ বশাচালন দ্বারা তাহাদিগের প্রতিরোধ করিতে লাগিল। তেজসিংহের কতক সৈন্য প্রাচীরের উপর উঠিল, দন্জেয়সিংহের কতক সৈন্য উৎসাহে প্রাচীর হইতে লম্ফ দিয়া নীচে আসিয়া যুদ্ধে প্রবত্ত হইল, অচিরে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ আরম্ভ হইল। সেই নৈশ অন্ধকারে বা মশালের আলোকে শত্রুমিত্র বিমিশ্রিত হইয়া গেল, রধিরের স্রোত বহিতে লাগিল, শবের উপর দণ্ডায়মান হইয়া সেনাগণ যন্ধে করিতে লাগিল, প্রচণ্ড যুদ্ধনাদে আহতদিগের আত্তনাদ মগ্ন হইল। যেন শত বৎসরের বৈরভাব সেই রাঠোর ও চন্দাওয়ৎদিগের হৃদয়ে জাগরিত হইল, যেন সেই বৈরভাবে ও জিঘাংসায় ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া চন্দাওয়ৎ ও রাঠোর রণস্থল ও সমস্ত পৰ্বতদগে কম্পিত করিল। সালমন্ত্রা ও দলেজয়সিংহের নাম বারবার ভীষণ হঙ্কোরে উচ্চারিত হইতে লাগিল, সে হতকার ডুবাইয়া রাঠোরগণ জয়মল্ল ও তিলকসিংহের নাম করিয়া পুনঃপনঃ আক্রমণ করিতে লাগিল। নিশাকালে সে যুদ্ধরবে চারিদিকের পর্বত ও উপত্যকাবাসিগণ চমকিত হইল, বঝিল, তিলকসিংহের পত্র অদ্য পৈতৃক দগে প্রবেশ করিতেছেন। প্রাচীরপাশ্বে এইরপে সমরতরঙ্গ উথলিতে লাগিল, যন্ধের নাদ গগনে উত্থিত হইতে লাগিল। তেজসিংহ সে যুদ্ধে লিপ্ত না হইয়া একাগ্রচিত্তে অসরবলে প্রাচীরের দ্বার ভগ্ন করিবার లిఫిషి,