পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাঠোরগণ প্রভুর উৎসাহে উৎসাহিত হইয়া রক্ষসের ন্যায় যঝিতে লাগিল, বারবার চন্দাওয়ৎ-মণ্ডলীকে বেগে আক্রমণ করিল, বারবার চন্দাওয়ৎ-বেগ প্রতিরোধ করিবার চেস্টা করিল। সে ব্যথা চেণ্টা; সেই অলপসংখ্যক কৃতসঙ্কল্প চন্দাওয়ৎ-মন্ডলী যেন সহসা দৈববলে বলিষ্ঠ হইয়াছে, তাহাদিগের গতিরোধ করা মনতুষ্যের অসাধ্য। সে গতিরোধ হইল না, রাঠোরসৈন্য হাঁটতে লাগিল । "তিলকসিংহের প্রাসাদে তিলকসিংহের পত্র প্রবেশ করবে, সৈন্যগণ! পশ্চাদিকে কোথায় যাইতেছে ?”—এই বলিয়া অবশেষে প্রাচীন রাঠোর দেবীসিংহ খড়াহন্তে লম্ফ দিয়া চন্দাওয়ৎমণ্ডলীর মধ্যে পড়িলেন, তাঁহাকে রক্ষা করিবার জন্য এবার সমস্ত রাঠোর অগ্রসর হইল। সুৎ স্পন্ন পাস অন আমার ইয়া হয় সাল নহত হল ল নার | শোণিতাক্তকলেবরে প্রাচীন দেবীসিংহ তখন তেজসিংহের হস্তধারণ করিয়া কহিলেন,— তেজসিংহ ! আমার সঙ্কল্প সাধন হইল, আমাকে বিদায় দাও । তোমার পিতার ন্যায় যশস্বী হও, ব্যুদ্ধের অন্য আশীব্বাদ নাই। দেবীসিংহের জীবনশন্য কলেবর ভূমিতে পতিত হইল; দতজয়সিংহের অব্যথ বর্ষায় তাঁহার বক্ষঃস্থল বিদ্ধ হইয়াছিল। যুদ্ধ শেষ হইল। চন্দাওয়ৎ প্রায় সকলে হত হইয়াছে, কেবল দলজয়সিংহ ও তাঁহার কতিপয় যোদ্ধা জীবিত আছেন। দতেজয়সিংহের খড়া ভগ্ন, ললাট রধিরাক্ত, নয়ন হইতে অগ্নিসফলিঙ্গ বহির্গত হইতেছে। চন্দাওয়ৎবীর তখনও যুঝিতে প্রস্তুত, যুদ্ধপিপাসা তখনও নিবারিত হয় নাই, জীবিত থাকিতে হইবে না। পরাজিত দতজয়সিংহকে কেহ প্রাণে বধ না করে, তেজসিংহের পাবেই আদেশ ছিল। এক্ষণে রাঠোরগণকে জিঘাংসায় ক্ষিপ্তপ্রায় দেখিয়া তেজসিংহ পুনরায় উচ্চনাদে কহিলেন,— দতজয়সিংহের শরীরে যিনি অস্ত্রবষণ করিবেন, তেজসিংহ তাঁহার শত্র । রাঠোরগণ ক্ষান্ত হইল। সেই নিস্তব্ধতার মধ্যে কেবল একটী সবর শনা গেল ;–“প্রভুর আদেশ শিরোধায্য ; কিন্তু জৰলন্ত অগ্নির ন্যায় পত্ৰশোক এখনও হৃদয়ে জনলিতেছে—ঐ আমার পত্রহন্তা!’ নিমেষমধ্যে জিঘাংসাতাড়িত বদ্ধ গোকুলদাস লম্ফ দিয়া দত্তেজয়সিংহের হৃদয়ের উপর ছুরিকা বসাইল, আহত দতেজয়সিংহও ভগ্ন খড়গ দ্বারা গোকুলদাসের মস্তকে প্রচন্ড আঘাত ఙ్ఞా శా శా శాతా ! এতদিনে গোকুলদাসের পত্ৰশোক বিমোচন s চতুস্টিংশ পরিচ্ছেদ ঃ অঙ্গরীয় ও রত্ন অদ্য প্রভূতাবনতাঙ্গি তবালিম দাসঃ । –কুমারসম্ভবম | পাঠক! চল, এ যুদ্ধের ভীষণ গন্ডগোল হইতে আমরা মহারাণার কুটীরে যাই, তথায় অভাগিনী পাপের সহিত দেখা হইবে। সন্ধ্যাকালে সেই নদীতীরে পাপকুমারী একাকী জল আনিতে আসিয়াছেন। সে সব্বাসহ নারীর ললাট এখনও পর্বোবৎ পরিস্কার, নয়নদ্বয় পর্বোবৎ স্থির। বিষম যাতনায় কেহ পাপকে একবিন্দ আশ্রপোত করিতে দেখেন নাই, কাহারও নিকট স্নেহ যাদ্ধা করিতে দেখেন নাই। একাকিনী বাল্য-বৈধব্য সহ্য করিয়াছিলেন, একাকিনী যৌবনে একদিন সুখস্বপ্ন দেখিয়াছিলেন। এখন সে স্বপ্ন লীন হইয়াছে, জীবনের আশা লপ্তে হইয়াছে, জগতের সমস্ত সুখ নিবর্ণণ হইয়াছে, এখনও একাকিনী হৃদয়ের নৈরাশ বহন করিতেছেন, কাহারও স্নেহ চাহেন না, কাহারও সহানুভূতির প্রতীক্ষা করেন না। e বালিকার মখমণ্ডল সেইরপ পরিকার-পরিকার কিন্তু ঈষৎ পাণ্ডুবণ। নয়ন সেইরাপ স্থির, কিন্তু ঈষৎ কালিমাবেটিত, স্নেহের চক্ষদ্বারা কেহ সে মুখখানি দেখিলে বুঝিতে পারিত, ළුබුS ૨૪