পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्यश्च ब्रध्नाबलौ একবার বিদ্যুৎ দেখা দিতেছে, অন্ধকারময় বক্ষের পত্রের মধ্য দিয়া শব্দ করিয়া নিশার বায় বহিয়া যাইতেছে। গ্রাম প্রায় নিস্তন্ধ হইয়াছে, কেবল এক একবার বক্ষের উপর হইতে পেচকের শব্দ শনা যাইতেছে; অথবা দরে হইতে শগালের রব শনা যাইতেছে। সমস্ত জগৎ অন্ধকার, কেবল মেঘের ভিতর দিয়া দই একটা হীনতেজ তারা এখনও দন্ট হইতেছে, গ্রাম হইতে দুই একটী প্রদীপ বা চুলার আগন দেখা যাইতেছে, আর এক এক বার অলপ অলপ বিদ্যুৎ দেখা দিতেছে। সেই অন্ধকারে সেই বক্ষের নীচে গ্রাম্য পথ দিয়া বিন্দ মার অচিল ধরিয়া নিঃশব্দে যাইতেছিল, যদি সে অন্ধকারে বিন্দ কিছু দেখিতে পাইত, তবে সে দেখিত মাতার চক্ষ হইতে ধীরে ধীরে দই একটী অশ্রুবিন্দ সেই শীণ গণ্ডস্থল দিয়া বহিয়া পড়িতেছে। खिज्रीश्र •ब्रिट्क्रम : मुद्दे फणिनौ তালপুকুর গ্রামে একটী সন্দের পরিকার ক্ষুদ্র কুটীর দেখা যাইতেছে। বেলা দ্বিপ্রহর হইয়াছে, গ্রামের চারিদিকে মাঠ গ্রীমকালের প্রচন্ড রৌদ্রে উত্তপ্ত হইয়াছে। বৈশাখ মাসে চাষাগণ চারিদিকের ক্ষেত্র চাষ দিয়াছে, গরম ও লাঙ্গল লইয়া একে একে গ্রামে ফিরিয়া আসিতেছে, দই এক জন বা শ্রান্ত হইয়া সেই ক্ষেত্রমধ্যে বক্ষতলে শয়ন করিয়াছে। তাহাদিগের গহিণী বা কন্যা বা ভগিনী বা মাতা তাহাদের জন্য বাড়ী হইতে ভাত লইয়া যাইতেছে। চারিদিকে রৌদ্রতপ্ত ক্ষেত্রের মধ্যে তালপুকুর গ্রাম ব্যক্ষাচ্ছাদিত এবং অপেক্ষাকৃত শীতল । চারিদিকে রাশি রাশি বশি হইয়াছে এবং তাহার পাতাগুলি অলপ অলপ বাতাসে সন্দের নড়িতেছে। গহে গহে আম, কাঁঠাল, তাল, নারিকেল ও অন্যান্য ফলব্যক্ষ হইয়া ছায়া বিতরণ করিতেছে। কদলী বক্ষে কলা হইয়াছে, আর মাদার মনসা প্রভৃতি কাঁটা গাছ ও জঙ্গলে গ্রাম্য পথ পরিয়া রহিয়াছে। এক এক স্থানে বহৎ অশ্বখ বা বট গাছ ছায়া বিতরণ করিতেছে এবং কোন স্থানে বা প্রকাণ্ড আম্নবক্ষের বাগান ২০ । ৩o বিঘা ব্যাপিয়া রহিয়াছে ও দিবাভাগে সেই স্থান অন্ধকারপণ করিতেছে। পত্রের ভিতর দিয়া স্থানে স্থানে সয্যেরশিম রেখাকারে ভূমিতে পড়িয়াছে, দ্বিপ্রহরের রৌদ্রে ডালে ডালে পক্ষিগণ কুলায়ে নীরব হইয়া রহিয়াছে, কেবল কখন কখন দর হইতে ঘঘের মিস্ট স্বর সেই আম্রকাননে প্রতিধৰনিত হইতেছে । আর সমস্ত নিস্তব্ধ। সেই তালপুকুর গ্রামে একটী সন্দের পরিকার ক্ষুদ্র কুটীর দেখা যাইতেছে। চারিদিকে বাঁশঝাড় ও আম কাঁঠাল প্রভৃতি দুই একটী ফলব্যক্ষ ছায়া করিয়া রহিয়াছে। বাহিরে বসিবার একখানি ঘর, সেটী ছায়ায় শীতল এবং তাহার নিকটে ৫। ৬টী নারিকেল বক্ষে ডাব হইয়াছে। সেই ঘরের পশ্চাতে ভিতর বাড়ীর উঠান, তথায়ও বক্ষের ছায়া পড়িয়াছে। উঠানের একপাশ্বে' একটী মাচানের উপর লাউ গাছে লাউ হইয়াছে, অপর দিকে কাঁটাগাছ ও জঙ্গল। একখানি বড় শইবার ঘর আছে, তাহার উচ্চ রক সন্দের ও পরিস্কাররপে লেপা। পাশ্বে একটী রান্নাঘর ও তাহার নিকট একটী গোয়ালঘরে একটা মাত্র গাভী রহিয়াছে। বাড়ীর লোকদের খাওয়াদাওয়া হইয়া গিয়াছে, উনানে আগন নিবিয়াছে, বেড়ায় দলই একখানি কাপড় শকাইতেছে, শুইবার ঘরের রকে একটী তকতাপোষ ও দই একটা চরকা রহিয়াছে। পশ্চাতে একটী ডোবায় কিছ জল আছে, তাহাতে কয়েকখানি পিতলের বাসন পড়িয়া রহিয়াছে, এখনও মাজা হয় নাই। ডোবার পাশ্বে দুই একটী কুল গাছ, কয়েকটী কলা গাছ, ও একটী অীব গাছ, আর অনেক কাঁটা গাছ ও জঙ্গল। বাড়ীর চতুদিকেই ব্যক্ষ ও জঙ্গল। এই দ্বিপ্রহরের সময়ও বাড়ীটী ছায়াপণ ও শীতল। শুইবার ঘরের বেড়া বন্ধ, ভিতরে অন্ধকার; সেই অন্ধকারে বাড়ীর গহিণী নিঃশব্দে পদচারণ করিতেছিলেন। তাঁহার একটী তিন বৎসরের কন্যা ভূমিতে মাদরের উপর ঘামাইয়া আছে, আর একটী ছয় মাসের পত্রসস্তানকে ক্রোড়ে করিয়া রমণী ধীরে ধীরে সেই ঘরে বেড়াইতেছেন। এক এক বার ছেলেকে চাপড়াইতেছেন, এক এক বার গণ গণে শব্দে ঘন্ম পাড়াইবার ছড়া গাহিতেছেন, আবার নিঃশব্দে ধীরে ধীরে এদিকে ওদিকে বেড়াইতেছেন। নারীর বয়স অস্টাদশ বৎসুর, শরীর ক্ষীণ, মুখখানি প্রশ্বাস্ত, কিন্তু একটা শুকাইয়া গিয়াছে, চক্ষ দটী বিশাল ও কৃষ্ণবণ, কিন্তু ধীর ও চিন্তাশীল। অষ্টাদশ বৎসরের রমণীর যেরপে বর্ণনা আমরা উপন্যাসে পাঠ করি, তাহার কিছু ইহার নাই, সে প্রফুল্লতা, সে উদ্বেগ, সে উক্তজবল ళరి రిO