পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटश्रण ब्रध्नावली বিদ। "এখন ত আছে ভাল, রাত্রি হলেই গা তপ্ত হয়। তা প্লাজ তিনি কাটোয়া থেকে একটা ঔষধ আনবেন বলেছেন, তাতে একটা ঘমেও হবে, জবরও আসবে না।” সন্ধা। “হেমচন্দ্র যখন আসবেন দিদি ?” বিন্দর। “বলেছেন ত সন্ধ্যার সময় আসবেন, কেন ?” সন্ধা। “তিনি এলে একটা মজা করব, তা দিদি তোমাকে বলব না, তিনি এলে দেখতে পাবে। যেমন আমার গায়ে সে দিন ফাগ দিয়েছিলেন।” বিন্দ একটা হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি করবি, বল না।” সন্ধা। “না দিদি, তুমি বলে দেবে।” বিন্দ । "না, বলব না।” সন্ধা। "সত্যি বলবে না ?” বিন্দ । “সত্যি বলব না।” তুফ আল আল বা এটা কি বালি লি। জিনিসটা প্রায় এক হস্ত ! বিন্দ । “ও কি লো? ওটা কি ?" সন্ধা । “দেখতে পাচ্চো না ?” : বিন্দর। দেখছি ত, এ কি পাট " সধা। "হাঁ পাট, কিন্তু কেমন কুসমে ফল দিয়ে রং করেছি।” বিন্দ। “কেন, ওতে কি হবে ?” সন্ধা। “বল দিকি কি হবে ?” বিন্দ। “কি জানি ?" সন্ধা । “এইটে ঠাওরাতে পারলে না ! যখন আজ রাত্রিতে হেমচন্দ্র একটা ঘমেয়বেন, আমি এইটে তাঁর দাড়িতে বেধে দেব, তার পর উঠলে তাঁকে জটাধারী সন্ন্যাসী বলে ঠাট্টা করব। খব মজা হবে।” এই বলিয়া বালিকা করতালি দিয়া হাস্য করিয়া উঠিল। বিন্দ একটা হাসি সম্বরণ করিতে পারিলেন না, সস্নেহে ভগিনীর দিকে দেখিতে লাগিলেন। মনে মনে ভাবিলেন, “সন্ধা, তোর সাধার হাসিতে এ জগৎ মিষ্ট হয়। আহা ! বালিকা এখন তাহার ভাঙ্গা কপালে কি হইয়াছে জেনেও জানে না! নিদারণে বিধি ! কেমন করে এই কাঁচ ছেলের কপালে এ ভীষণ যাতনা লিখলে—কেমন করে এ প্রফুল্ল সাধাপাত্রে গরল মিশাইলে ?” বলা অনাবশ্যক যে আমরা প্রথম পরিচ্ছেদে যে সময়ের কথা বলিতেছিলাম, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে তাহার নয় বৎসরের পরের কথা বলিতেছি । আমাদের গল্প এই সময় হইতে আরম্ভ । এই নয় বৎসরের ঘটনাগুলি কতক কতক উপরেই প্রকাশ হইয়াছে, আর দই একটী কথা বলা আবশ্যক । বিন্দর মাতা আত্মীয়ের বাটীতে থাকিয়া কন্টে ও শোকে দুইটী অনাথা কন্যাকে লালনপালন করিয়াছিলেন। তাঁহার স্বামীর মৃত্যুর পর এ সংসারে তিনি আর কোনও সখের আশা রাখেন নাই, কিন্তু তাঁহার বড় ইচ্ছা ছিল, মরিবার পাবে দুইটী মেয়ের বিবাহ দিয়া যান। সে দিন তিনি দুইটী কন্যাকে লইয়া তালপুকুরে গিয়াছিলেন, তখন বিন্দর বয়সও নয় বৎসর হইয়াছিল, সুতরাং তাহার মাতা বিবাহের পাত্রের সন্ধান করিতে লাগিলেন। কিন্তু গরিবের ঘরের মেয়ের শীঘ্ৰ বিবাহ হয় না। কলিকাতায় বরের পিতা যেরপে রাশি রাশি অর্থ চাহেন, পল্লীগ্রামে এখনও সেরাপ হয় নাই, কিন্তু তথাপি বড় ঘরের সহিত কুটবিতা করিতেছেন, তাঁহার মেয়ের সহিত বিবাহ দিতে সকলের সাধ যায় না। আত্মীয়েরাও এবিষয়ে বড় মনোযোগ করিলেন না। কন্যাও গৌরবণা ছিল না, তবে মুখে শ্রী ছিল, চক্ষ দটী সন্দের ছিল, শরীর সংগঠিত ছিল, কিন্তু ক্ষীণ। সম্প্রবন্ধ আসিতে লাগিল ও একে একে ভাঙ্গিয়া যাইতে লাগিল। মেয়ের জ্যেঠাইমা রকের উপর দুই পা মেলাইয়া বসিয়া বৈকালবেলা কেশবিন্যাস করিতে করিতে সহাস্যে বিন্দরে মাকে বলিলেন, (বিন্দর মা চুলের দড়ি ধরিয়াছিলেন) “তা ভাবনা কি বোন, আমাদের বাড়ীর মেয়ের বের জন্য ভাবতে হয় না, আমাদের কুল, মান, বদ্ধমানে ভারি চাকরী, এ কে না জানে বল, কত তপিস্যে করলে তবে লোকে এমন বাড়ীর মেয়ে එළුR