পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

چ{s& করে, যাহা সাহিত্যের অন্য কোনও শাখা আমাদিগকে দিতে পারে না। অন্য সাহিত্যের পক্ষে যাহা হউক, বঙ্গসাহিত্য সম্বন্ধে ইহা একটি অবিসংবাদিত সত্য যে, ঐতিহাসিক উপন্যাস বাস্তর জীবনের শন্যতা পণ করিয়া আমাদিগকে এক বিচিত্র রসের আসবাদ দেয়; এবং রমেশচন্ম এই রস আমাদিগকে প্রচুর পরিমাণেই দিয়াছেন। তিনি বঙ্গসাহিত্যের একটি বিশেষ অভাব মোচন করিয়াছেন, এক শান্য পৃষ্ঠা পণ করিয়াছেন। আমাদের ক্ষীণ ও বৈচিত্র্যহীন জীবনে সে-জাতীয় অভিজ্ঞতার একান্ত অভাব, তাহা তাঁহার উপন্যাসে আমরা যথেস্ট পরিমাণে পাই । ইতিহাস-প্রসিদ্ধ, জাতীয়-ভাগ্য-বিধাতা বীরপরষদের জীবন্ত চিত্র, গরতের রাজনৈতিক সংঘষের বিবরণ, যুদ্ধবিগ্রহের রোমাণ্যকর, উদ্দীপনাপণে বর্ণনা—এই সমস্তই রমেশচন্দুের আখ্যান-বস্তু ......” (পঃ ৪৪) । রমেশচন্দ্রের সামাজিক উপন্যাস দুইখানি সম্বন্ধে এখন কিছু বলা যাইবে। তৎকৃত এই শ্রেণীর প্রথম উপন্যাস "সংসার” । ইহা প্রকাশিত হয় ১৮৮৬ সনের মাঝামাঝি। এই উপন্যাসখানি বঙ্কিমচন্দ্র পরিচালিত “প্রচারে” (১২৯২ বঙ্গাব্দ) প্রথম ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হইয়াছিল। সংসারের উৎসগপত্রখানি এইরূপ: “এই শতাব্দীতে যাঁহারা হিন্দুদিগের পথপ্রদশক রপে অবতীর্ণ হইয়াছেন, হিন্দুধর্মে ও হিন্দশাস্ত্রে যাহারা স্বদেশীয়দিগকে শিক্ষা দান করিয়াছেন, সামাজিক উন্নতি ও জাতীয় ঐক্যসাধন বিষয়ে যাঁহারা আজীবন চেস্টা করিয়াছেন; বঙ্গভাষায় গদ্য সাহিত্য যাঁহারা বহন্তে সষ্ট ও ভূষিত করিয়াছেন— রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়— এই মহাত্মাদিগের নাম গ্রহণ করিয়া এই গ্রন্থ উৎসগ* করিলাম । চৈত্র সংক্রাত্তি ১২৯২ বঙ্গাৰদ ৷ শ্রীরমেশচন্দ্র দত্ত ।” রমেশচন্দ্র শেষ জীবনে তাঁহার উপন্যাসগুলির পরিবত্তিত ও পরিবদ্ধিত করিবার মানস করিয়াছিলেন । BBk kDDummk kkS kBBB BBB BB BBS তিনি ইহার পাডুলিপি প্রস্তুত করিয়া প্রেসে দিবার পর, পস্তেক মন্দ্রণ শেষ হইবার প্বেই ; ইহধাম ত্যাগ করেন। তাঁহার মৃত্যুর পর এখানি সংসার-কথা নামে প্রকাশিত হইয়াছিল। রমেশচন্দুের দ্বিতীয় সামাজিক উপন্যাস—সমাজ । ইহার প্রকাশকাল জুলাই, ১৮৯৪ । পন্তেকাকারে প্রকাশের পবে ইহার কতকাংশ সরেশচন্দ্র সমাজপতি সম্পাদিত সাহিত্যে ১৩০০-০১ সনের পাঁচটি সংখ্যায় বাহির হইয়াছিল। সমাজের উৎসগপত্র এই: “বঙ্গীয় সাহিত্যকে যাহারা নতন রপে, নাতন বল, নতন সৌন্দৰ্য্য প্রদান করিয়াছেন, বঙ্গবাসীদিগের হৃদয়ে যাঁহারা নতেন আশা, নতন উৎসাহ সঞ্চার করিয়াছেন, পদ্য, গদ্য ও নাটকে যাহারা বঙ্গভাষাকে নতন অলঙ্কারে বিভূষিত করিয়াছেন,মধ্যসদন দত্ত, অক্ষয় কুমার দত্ত ও দীনবন্ধ মিত্র, এই মহাত্মাদিগের নাম গ্রহণ করিয়া এই গ্রন্থ উৎসগা করিলাম । চৈত্র সংক্রাত্তি ১৩oo বঙ্গাব্দ । শ্রীরমেশচন্দ্র দত্ত।"