পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

耻 ." a n so পায়, তোমার আবার বিন্দর বের ভাবনা ? এই রস না, তিনি পাজার সময় বাড়ী আসন, আমি বিন্দর এমন সবন্ধ করে দেব যে কুটমের মত কুটম হবে। এই আমার উমাতারার বয়স সাত বৎসর হয়নি, এর মধ্যে কত গ্রামের লোক আমাকে কত সাধাসাধি করছে,বে দিলেই এখনি মাথায় করে নিয়ে যায়, তা আমি গা করিনি। আমার উমাতারার এমন সবন্ধ করব যে কুটমের মত কুটম হবে। তবে আমার উমাতারার বর্ণের জেল্লা আছে, তোমার মেয়ে একটা কালো, আর তোমাদের বোন তেমন টাকাকড়ি নেই। আমার দেওর তেমন সেয়ানা ছিল না, কিছু রেখে བཱ་ཀྱཱ་བློ་.ཝཱ་རཱྀ.ག ཐཨ་། তা ভেব না বোন, আমি যখন এবিষয়ে হাত দিয়েছি, তখন আর কোন ভাবনা নেই।” আশ্বাসবচন শুনিয়া ও সেই সন্দের তাবিজ বিভূষিত বাহর ঘন ঘন সঞ্চালন দেখিয়া বিন্দর মু কুংফু স্থি লাল বাহ নানা কি কি পদ হল না দিন व्षा । তার পর পাজার সময় তারিণীবাব বাড়ী আসিলেন। তাঁহার গহিণীর জন্য পুজার কাপড়, পজার গহনা, পাজার সামগ্রী কতই আসিল, গহিণীও আহাদে আটখানা ! বাড়ীর ছেলেদের জন্য কত পোষাক, কাপড়, জনতা, উমাতারার জন্য ঢাকাই কাপড়, মাথার ফল ইত্যাদি। নাজির মহাশয় বাড়ী আসিয়াছেন, গ্রামে ধম পড়িয়া গেল, মুক্ত লোক সাক্ষাৎ করিতে আসিল, কত খোসামোদ, কত সংখ্যাতি, কত আরাধনা। কাহারও পঞ্জার সময় দুই পাঁচ টাকা কতজ চাই, কাহারও বিপদে সৎপরামশ চাই, কাহারও ছেলের একটী চাকরী চাই, আর কাহারও বিশেষ কিছ আপাততঃ চাই না, কেবল বড় লোকের খোসামোদটা অভ্যাস মাত্র, সেই অভ্যাসেই সুখ হয়। এত ধনুমধামের মধ্যে, বিন্দর কথা কেই বা বলে, কেই বা শোনে। ১৫ দিনের ছুটী ಶ್ಗಣ, ಗೌಣ ಇ ಇ ಇ : ಈ * * * * না । পড়শীর মেয়েদের সঙ্গে যখন বিন্দর মা দেখা করিতে যাইতেন, বাদ্ধাদিগকে কত স্তুতি করিয়া কন্যার একটী সম্প্রবন্ধ করিয়া দিতে বলিতেন। তাঁহারাও আগ্রহচিত্তে বলিতেন, “তা দেব বৈ কি, তোমার দেব না তা কার দেব। তবে কি জান বাছা, আজকাল মেয়ের বে সহজ কথা নয়। আর তুমি ত কিছু দিতেথ্যতে পারবে না, বিন্দর বাপ ত কিছু রেখে যায়নি, তেমন গোছান লোক হত, ঐ তোমার ভাসরের মত টাকা করতে পারত, তবে আর কি ভাবনা থাকত ? সেই সময় আমি বলেছিলাম, তা তখন সে গা করত না, তোমরাও গা করতে না, এখন টের পাচ্ছে; গরিবের কথাটা বাসি হলেই ভাল লাগে ! তা দেব বৈ কি বাছা, তোমার মেয়ের সম্প্রবন্ধ করে দেব, এ বড় কথা ?” অথবা অন্য একজন বাদ্ধা বলিলেন, “তার ভাবনা কি ? বিন্দর বের আবার ভাবনা কি ? তবে একটা কথা কি জান, বিন্দর দেখতে শনতে একটা ভাল হত, তবে এ কাজটা শীঘ্র শীঘ্র হত। তা মেয়ের মুখের ছিরি আছে, ছিরি আছে, তবে রংটা বড় কালো, তার চোখ দুটো বড় ডেবডেবে, আর মাথায় বড় চুল নাই। না, তা মেয়ের ছিরি আছে, তবে একটা কাহিল, হাড়গুলো যেন জির জির করছে, হাতপাগলো কেমন লম্বা লম্বা, আর এর মধ্যে ঢেঙ্গা হয়ে উঠেছে। তা হোক তুমি ভেব না, কালো মেয়ে কি আর বিকোয় না, তবে কি আটকে থাকে, তা থাকবে না, যখন আমরা আছি, তখন কিছর আটকাবে না।" এইরুপ বাদ্ধাদিগের যথেষ্ট আশ্বাসবাক্য ও তাহার সঙ্গে বিন্দর বাপের নিন্দা, বিন্দরে মার নিন্দা ও বিন্দর নিন্দা সম্বন্ধে প্রচুর বর্ণনা শ্রবণ করিয়া বিশেষ আশ্বস্ত ও আপ্যায়িত হইয়া বিন্দর মা বাড়ী আসিতেন। গ্রামের মধ্যে দুই এক জন প্রাচীন লোক ছিলেন। তাঁহারা অনেক লোক দেখিয়াছেন, অনেক গ্রামে যাতায়াত করেন, অনেক ঘর জানেন, অনেক মেয়ের সম্মবন্ধ করিয়া দিয়াছেন। বিন্দর মা কয়েকদিন তাঁহাদের বাড়ী হাঁটাহাঁটি করিলেন। কোন দিন ছেলেদের জন্য দুই চারি পয়সার চিনির বাতাসা লইয়া গেলেন, কখন বা কিছু মিশ্ৰী বা মিস্টান্ন লইয়া গিয়া গৃহিণীদিগের মনস্তুটি করিলেন, গহিণীদিগকে অনেক স্তুতি মিনতি করিলেন, তাঁহারাও আশ্বাসবাক্য দিলেন, সন্ধান করিবেন, কত্তাকে বলিবেন, এইরুপ অনেক মধর বচন বললেন। অবশেষে বিন্দর মা ঘোমটা দিয়া সেই কত্তাদিগেরই মিনতি আরম্ভ করিতে লাগিলেন, পথেঘাটে দেখা হইলে গরিবের কথাটি মনে রাখিবার জন্য মিনতি করিলেন, তাঁহারাও বলিলেন, “তা এ কথা আমাদের এত দিন বলনি ? এ সব কাজ কি আমাদের না বলিলে হয়, ঐ ও পাড়ার ঘোষেদের বাড়ীর কালীতারার ○○○