পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रzप्रश्न ब्रफ़नाबव्नौ ক্ষণেক পরে বাহিরের কবাটে শব্দ হইল, বিন্দ তাহাই প্রত্যাশা করিতেছিলেন, তৎক্ষণাৎ গিয়া কবাট খালিয়া দিলেন, হেমচন্দ্র বাটীতে প্রবেশ করিলেন। হেমচন্দ্রের বয়স পঞ্চবিংশ বৎসর হইয়াছে, তাঁহার শরীর দীঘ ও বলিষ্ঠ, ললাট উন্নত ও প্রশস্ত, মুখমণ্ডল শ্যামবণ কিন্তু সন্দের, নয়ন দটী অতিশয় তেজোব্যঞ্জক। অনেক পথ হটিয়া আসিয়াছেন, সতরাং তাঁহার মুখ শুকাইয়া গিয়াছে, শরীরে ধুলি লাগিয়াছে, পা দটী ধলায় ভরিয়া গিয়াছে। বিন্দন সযত্নে তাঁহাকে একখানি চৌকি আনিয়া দিলেন এবং পা ধুইবার জল ও গামছা আনিয়া দিলেন; হেম হাতমুখ ধাইলেন। বিন্দ। তোমার আসতে এত রাত্রি হল ? এখনও খাওয়াদাওয়া হয়নি ? হেম। আমি সন্ধ্যার সময় আসতেম, তবে কাটোয়ার এক পরিচিত লোকের সঙ্গে দেখা হল, তিনি বৈকালে আমাকে তাঁহার বাসায় নিয়ে গেলেন, উপরোধ করে কিছু জলখাবার খাওয়ালেন, সেই জন্য এত দেরী হল। তাতোমরা খেয়েছ ত ? বিন্দন। সন্ধা খেয়ে ঘুমিয়েছে, আমি খাব এখন। তুমি ত বৈকালে জল খেয়েছ, আর কিছ খাওনি, তবে ভাত এনে দি। হেম। আমার বিশেষ ক্ষুধা পায়নি, তবে ভাত নিয়ে এস, আর রাত্রি করার আবশ্যক নেই। বিন্দ সেই রকে একটা জল ছিটাইয়া আসন পাতিলেন, পরে রান্নাঘর হইতে থালে করিয়া ভাত আনিয়া দিলেন। খাবার সামান্য—ভাত, ডাল, মাছের ঝোল ও বাড়ীতে উচ্ছে ও লাউ হইয়াছে তাহাই ভাজা ও তরকারি। আর গাছে লেব হইয়াছিল, বিন্দ তাহা কাটিয়া রাখিয়াছিলেন, গাছ হইতে দুইটী ডাব পাড়াইয়া তাহা শীতল করিয়া রাখিয়াছিলেন এবং বাড়ীতে গাভী ছিল, তাহার দন্ধে ঘন করিয়া রাখিয়াছিলেন। হেমচন্দ্র আহারে বসিলেন, বিন্দ পাশ্বে" বসিয়া পাখা করিতে লাগিলেন। হেম। খোকার জন্য একটা ঔষধ এনেছি; সেটা এখন খাওয়াইও না, রাত্রিতে যদি ঘমে ভাঙ্গে, যদি কাঁদে তবে খাওয়াইও । আর যে চেস্টায় গিয়েছিলাম, তার বড় কিছদ হল না। বিন্দ। কি হল : হেম । কাটোয়াতে আমার পরিচিত একটী উকীল আছেন, আমি তাঁর কাছে তোমার বাপের জমির কথা বল্লেম, এবং সমস্ত অবস্থা বুঝিয়ে বল্লেম। বিন্দর। তার পর ? হেম । তিনি বল্লেন, মকদ্দমা ভিন্ন উপায় নেই। বিন্দর। ছি! জ্যেঠা মশায়ের সঙ্গে কি মকদ্দমা করে ? তিনি ছেলেবেলা আমাকে মানুষ করেছিলেন, আমার বে দিয়েছেন, জ্যেঠাইমা এখনও আমাদের জিনিসটিনিস পাঠিয়ে দেন, তাঁদের সঙ্গে কি মকদ্দমা করা ভাল ? হেম। আমাদের বিবাহের জন্য আমরা তোমার জ্যেঠা মশাইয়ের নিকট বড় ঋণী নই; কিন্তু তুমি যখন ছেলেমানষে ছিলে, সে সব কথা বড় জান না, জানবার আবশ্যকও নেই। তথাপি তিনি তোমার জ্যেঠা, এই জন্যই তাঁর সঙ্গে বিবাদ করতে ইচ্ছা নেই, কেবল অগত্যা করতে হয়। বিন্দর। ছি! সে কাজটা কি ভাল হয় ? আর দেখ আমরা গরিব লোক, আমাদের কি মকদ্দমা পোষায় ? আমরা গরিবের মত যদি থাকতে পারি, দলবেলা দপেট যদি খেতে পাই, ভগবানের ইচ্ছায় যদি ছেলে দটীকে মানুষ করতে পারি, তা হলেই ঢের হল। তোমার যে জমিজমা আছে, তাতেই আমাদের গরিবের সোণা ফলে, তোমার পৈতৃক বাড়ীই আমার সাত রাজার ধন । হেম। আমি যখন তোমাকে বিবাহ করেছিলেম, এরপ কম্পেট চিরকাল জীবন যাপন করব তা মনে করিনি। তুমি সহিষ্ণু, সাধনী, পতিব্ৰতা, এত কস্ট সহ্য করেও মাখ ফলটে একটী কথাও কও না, সে তোমারই গণে, কিন্তু আমি তা চক্ষে দেখতে পারি না। বিন্দরে চক্ষে জল আসিল। মনে মনে ভাবিলেন, “পথের কাঙ্গালীকে কোলে করিয়া লইয়া সবগে স্থান দিয়াছ, সেটা কি ভুলে গেলে ?” প্রকাশ্যে একট হাসিয়া বলিলেন, “কেন, এমন ঘরবাড়ী, এখানে রাজার উপাদেয় দ্রব্য পাওয়া যায়, এখানে আমাদের অভাব কিসের? একটী রাজার উপাদেয় জিনিষ দেখবে ?” হেম একট হাসিয়া বলিলেন, “কৈ দেখি!” や)や)や