পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গরীয়সী বামা দরজা একটা খলিয়া মধরে বরে বলিলেন, “কে গা ?” ' ' হেম । আমি এসেছি গো । সনাতন বাড়ী আছে ? . . . ‘. . . . . . . মনিবকে দেখিয়া সনাতনের সন্ত্রী তখন ব্যগ্ন ও লজিত হইয়া তাড়াতাড়ি বাহির হইয়া, মাথায় eiD D BB u ee BBB BB BB B BBBB Be | p J. to আমরা ঘুমিয়েছিলাম, তা আপনাকে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।” । সু, হন্ত এল ল না তে হবে সেনা লতে হবে ন মের লোক কৈ ? f সনাতন। আজে, জন ঠিক করেছি, এই যাই। আপনি অনেকটা পথ চলে এসেছেন, একট দন্ধ খাবেন কি ? হেম। আবশ্যক নেই। সনাতন। না, একটা খান, আমাদের বাড়ীর গরর দধে একটা খান। এই বলিয়া সনাতন দধি দইতে গেল, তাহার স্ত্রী পাথর বাটী আনিল। দোয়া হইলে সনাতনের সন্ত্রী একটা ঘোমটা দিয়া একটী ছেলে কোলে করিয়া এক বাটী দধ বাবর কাছে আনিয়া ধরিল। হেম আনন্দচিত্তে সেই কৃষকের ভক্তিদত্ত দন্ধ পান করিলেন। সনাতনও লোককে ডাকাডাকি করিয়া হাজির করিয়া দুইখানি হাল ও চারিটী বলদ লইয়া প্রস্তুত হইল। সকলে ক্ষেতের দিকে চলিল। পথে অন্যান্য কথা হইতে হইতে সনাতন বলিল, “তা বাব এত কট করে যাবেন কেন, আমি আপনার জমি দুটো চাষ দিয়েছি, আর.একটা চাষ হলেই হয়, আজ সব হয়ে যাবে, তার পর কাল ধান বনে দেব। আপনি আর কষ্ট করেন কেন ?” হেম । না, আমি অনেক দিন অবধি আমার জমিটা দেখিনি, তোরা কি কচ্ছিস না কছিস একবার দেখা ভাল, তাই আজ সকালে মনে করলেম, একবার দেখে আসি। সনাতন। তা দেখনে না, আপনার জিনিস দেখবেন না ? জমিটা ভাল, ধান বেশ হয়, তবে আপনারা ভদ্রলোক, জন খাটিয়ে চাষ করাতে হয়, তাই বোধ হয় আপনাদের তত লাভ হয় না । হেম। সামান্যই লাভ হয়। তোমাদের জন মজরদের দিয়ে বেশী থাকে না। গেল বার বঝি ২০০ । ২৫০ মণ ধান হয়েছিল, কিন্তু তোদের দিয়ে, বীজ খরচ দিয়ে, জমিদারের খাজনা দিয়ে ১০০ টাকার বড় বেশী ঘরে উঠেনি। সনাতন। তা বাবা, সেই যে একবার বলেছিলেন, জমিটা ভাগে দেবেন, তা কি এখন ইচ্ছে আছে ? যদি দেন, তবে আমাকেই দেবেন, আমি আপনার বাড়ীর চাকর, আপনার বাপের আমল থেকে ঐ জমি করছি। আপনাকেও কোন কট পেতে হবে না, কিছ দেখতে হবে না, আমি নিজের খরচে চাষবাস করব, আমার হাল গর সবই আছে, বছরের শেষে অদ্ধেক ধান মেপে গাড়ী করে আপনার বাড়ীতে পাহছিয়ে দেব। n হেম। কেন বল দেখি, তোর ভাগ নেবার এত ইচ্ছে কেন ? f সনাতন। অজ্ঞে, আপনি ত’ জামেন, আমার একখানি নিজের ছোট জমি আপনার জমির পাশে আছে, কিন্তু ৮। ১o কুড়ো, তাতে পেট ভরে না, আপনাদের কাছে মজুরি করে বা পাই তাতেই আমার চলে। তবে যদি আপনার জমিটা ভাগে পাই, তব লোকের কাছে বলতে পারব, এতটা জমি ভাগে করি। আর আপনাদের যত খরচ হয়, আমরা ছোটলোক, আমাদের চাষে তত খরচ হবে না, দ পয়সা পাব, ছেলেগুলো খেয়ে বাঁচবে। ്. হেম। তা আচ্ছা, দেখা যাক কি হয়। তুই এখন ত আমার জমিটা বনে দে, তারপর যা হয় করবে এখন । * এইরুপ কথাবাত্তা করতে করিতে হেমচন্দ্র, সনাতন ও সনাতমের লোকজন গ্রাম হইতে বাহির হইয়া মাঠে গিয়া পড়িলেন। - . . বৈশাখ মাসের দই একটী বটির পর সকল জমিই চাষ হইতেছে। প্রাতঃকালের শীতল বায়তে কৃষকগণ আনন্দে গান করিতে করিতে অথবা গরকে নানারপে নিকট সম্বন্ধবাচক কথার উত্তেজিত করিতে করিতে চাব দিতেছে। ক্ষেত্রের পর ক্ষের, বঙ্গদেশের উর্বরা ভূমির ○8O