পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

האאס : י' BBBDD BBBS BBBB BBBS BDD BBBD DB BDD DDDBBB BBBBBB এজমালি জমি কি পথক করা যার ? তাই যদি পারতেম, তবে সেই জমিটকুর স্বল্যের দশগণ খরচ করে আমার হাতেই রাখতেম কেন? সঙ্গত কথা বল, তবে শনতে পারি; অসঙ্গত কথা শনেব কেমন করে?” ওরে হরে । আর এক ছিলিম তামাক দিয়ে যা, রাত হয়েছে, আর এক ছিলিম তামাক খেয়ে শতে যাই, কাল রান্নিতে গ্রীমে বড় ঘন্ম হয়নি, গাটা বড় ঘুমঘেম করচে। উগ্রস্বভাব হেমচন্দ্রের মনে একটা রাগের সঞ্চার হইল, কিন্তু তিনি বিবেচনা করিয়া দেখিলেন, তিনি বাস্তবিকই অসঙ্গত কথা বলিয়াছিলেন। যে জমি তারিণীবাবর ন্যায় বিযয়বুদ্ধিসম্পন্ন লোক দশ বৎসর দখল করিয়া আসিয়াছেন সেটী তাঁহাকে ছাড়িয়া দিতে বলা অসঙ্গত নহে ত কি ? ক্ষণেক চিন্তা করিয়া হেমচন্দ্র পনরায় বলিলেন, “আপনার যদি শোবার সময় হয়ে থাকে, তবে আমি আর আপনাকে বসিয়ে রাখব না, তবে আর একটী কথা আছে, যদি আজ্ঞা করেন নিবেদন করি।” তারিণী। না না, তাড়াতাড়ি উঠো না; অনেক দিনের পর তোমাকে দেখলেম, চক্ষ জড়াল, তোমাকে কি ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করে ? তবে বড় গ্রীম পড়েছে, তাই গাটা মাটি মাটি করে। তা *ಸ್ಟ್!!' হেম। আপনি সে জমিটকু ছেড়ে অস্বীকার করবেন, তা আমি পাবেই শুনেছিলাম, তবে সেই জমির জন্য আমরা কিছু কি প্রত্যাশা করতে পারি? এ বিষয় মকদ্দমা করতে আমাদের নিতান্ত অনিচ্ছা, কোনও মতে আপোসে এ বিষয়টা মীমাংসা হয় তাই আমাদের ইচ্ছা। যদি আদালতে যেতে হয়, তবে জমি এজমালি বলিয়া সাব্যস্ত হবে কি না, আর তা হলেও আমরা এক অংশ পাব কি না, বিবেচনা করে দেখন, কিন্তু আপোসে নিপত্তি হলে আদালতে যেতে আমাদের নিতান্ত অনিচ্ছা। হেমচন্দ্র উগ্রস্বভাব লোক, সহসা আদালতে যাইতে পারেন, তিনি সেই জন্য সম্প্রতি উকীলদিগের পরামশ লইতেছেন, এ কথাগুলি তারিণীবাব জানিতেন। আদালতে যদি হেমচন্দ্র মকন্দমার ব্যয় বহন করিতে পারেন, তবে শেষে কি ফল হইবে তাহাও তারিণীবাব কতক কতক অনুভব করিয়াছিলেন। সতরাং তিনি আপোসের কথায় বড় অসম্মত ছিলেন না। যৎকিঞ্চিৎ টাকা দিয়া হরিদাসের স্বত্ব একেবারে ক্রয় করিয়া লইবেন, এরাপ মত পাবেই প্রকাশ করিয়াছিলেন, কিন্তু যে টাকা দিতে চাহিতেছিলেন, তাহা বড় অলপ। তারিণীবাব বলিলেন, “দেখ বাপ, যদি আদালত করতে ইচ্ছা কর, তবে অগত্যা আমাকেও সেই পথ অবলম্বন করতে হবে, আদালতে বিস্তর খরচ, কিন্তু সম্পত্তি রক্ষার্থ আমি বোধ হয় সে খরচ বহন করতে পারব, তুমি পারবে কি না, তুমিই ভাল জান। আর যদি সে কথা ছেড়ে দিয়ে সত্যিই আপোসের কথা বল, তবে বিন্দকে হাত তুলে কিছু দেব, তাতে আমার কি আপত্তি হতে পারে? আমরা মাখ মানষে, তোমাদের মত আইনকাননে দেখিনি, বদ্ধমানে চাকরি করে আমার চুল পেকে গেছে, মকদ্দমাও বিস্তর দেখেছি। মকদ্দমা করে যে এজমালি সম্পত্তির এক অংশ ছাড়িয়ে নিতে পারবে এমন বোধ হয় না, ইচ্ছা হয় চেস্টা করে দেখ। কিন্তু যদি সত্য সত্যই সে বন্ধি ছেড়ে দাও, যদি তোমাদের কালেজের ইংরেজী শিক্ষায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বিবাদ করতে না শিখিয়ে থাকে, যদি বড়োসড়ো লোককে একটা শ্রদ্ধা করে তাঁদের একটা বশ হয়ে চলতে শিখিয়ে থাকে, তবে সঙ্গত কথা বল, তাতে আমার কখনই অমত হবে না। দেখ বাপ, আমি এক কথার মানৰে, ঘোরফের বড় বুঝিওনি, ভালও বাসিনি, এক কথাই ভালবাসি। যদি ৩ooখানি টাকা নিয়ে এই জমিটকুর স্বত্ব একেবারে ছেড়ে দাও, তবে আমি সম্মত আছি। আমরা সামান্য বেতনের চাকরি করি, ৩oo টাকা করতে অনেক মাথার ঘাম পায়ে পড়ে, টাকা বড় যত্নের ধন। তবে বিন্দ আমার ঘরের মেয়ে, তাকে হাতে করে মানুষ করেছি, তার বিয়ে দিয়েছি, তাকে টাকা দেব তাতে আর কথা কি। আমিই ত বিন্দর বিয়ে দিয়েছি, না হয় আর একখানি ভাল গহনা দিলেম; তাতেও ত দই তিন শত টাকা লাগে। তা দেখ বাপা, বড়োর এ কথায় যদি মত হয়, ত দেখ, আর যদি মত না হয়, তোমরা ভাল লেখাপড়া শিখেছ, যেটা ভাল মনে হয় কর । 鲁 হেম। মশাই ৩oo টাকা বড়ই অলপ বোধ হয়। সে জমিতে বৎসরে প্রায় ২০০ টাকার ধান হয় । ○8a