পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ཤར་ན་་་་་་་་་་ ও কেউ নয়, কৈবত্ত দিদি কি অমঙ্গলের কথা শুনে এসেছে, তাই মনের দঃখে | হেমচন্দ্র বলিলেন, “কে ও, সনাতনের পল্লী, কেন কি হয়েছে গা, বাড়ীতে কোন অমঙ্গল হয়নি ত, কোন ব্যারামস্যারাম হয়নি ত?” সনাতনের গহিণী বাবকে দেখিয়া কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করিয়া, আশ্রজেল সবরণ করিয়া, কাপড়খানি টানিয়া, কন্টেসস্টে কোন রকমে মাথায় একটা ঘোমটা দিয়া ঢিপ করিয়া প্রণাম করিয়া, আবার গায়ে কাপড়টা ভাল করিয়া দিল, আবার ঘোমটা একটা টানিয়া গলার সাড়া দিয়া, গলাটা একট পরিকার করিয়া, আবার চক্ষর জল মাছিয়া মদ বরে বলিল, সুল ছিল না আন এটা ৰ ল তই দি সকলে লি দত এসোছ ।” বিন্দ। সেই কথাটা কি, আমি তখন থেকে বার করতে পারলাম না! তুমি পার ত কর । হেম। মেয়ে মানুষের কথা মেয়ে মানুষেই বুঝে, আমরা তত বুঝি না। আমি শরতের সঙ্গে একবার দেখা করে আসি । এই বলিয়া হাসিতে হাসিতে হেম বাড়ীর বাহিরে গেলেন। স-প। ঐ গো ঐ ! তবে ত আমি যা শুনেছি তাই ঠিক ! বিন্দর। বলি তোকে আজ কিছতে পেয়েছে নাকি, অমন করছিস কেন ? কি শুনেছিস বল না ? স-প। ঐ যে শরৎবাবদের বাড়ীতে আমি সকালে যা শনেন। বিন্দ। কি শনলি ? স-প। তবে বলি দিদিঠাকরণ, গরিবের কথায় রাগ করো না। সত্যিমিথ্যে জানি না, ঐ ঘোষেদের বাড়ীর চাকর মিনষে আমায় বল্লে, মিনষের মুখে আগন, সেই অবধি আমার বুকটা যেন ধড়াস ধড়াস করছে, দিদিঠাকরণ, একবার হাত দিয়ে দেখ। বিন্দর। আমার দেখবার সময় নেই, আমি কাজে যাই । এই বলিয়া বিন্দ রান্নাঘরের দিকে ফিরিলেন । তখন কৈবত্ত-বধ বিন্দরে অচিল ধরিয়া তাঁহাকে দাঁড় করাইয়া বলিল, “না দিদি, রাগ করো না, তোমাদের জন্যে মনটা কেমন করে তাই এন. না হলে কি অন্যের জন্যে আসতেম, তা নয়, আহা সন্ধাদিদিকে একদিন না দেখলে আমার মনটা কেমন (বিন্দর পনরায় রান্নাঘরের দিকে পদক্ষেপ)—না না, বলছিন কি, বলি ঐ ঘোষেদের বাড়ীর হতভাগা চাকর মিনষে বল্লে কি, তার মুখে আগন, তার বেটার মুখে আগন, তার বৌয়ের মুখে আগন, তার বাড়ীতে ঘাঘ চরকে (বিন্দর রান্নাঘরের দিকে এক পদ অগ্রসর হওন)—না না, বলছিন কি, সেই মিনষে বল্লে কি, উঃ এমন কথা কি মুখে অানে গা, এও কি হয় গা, তোমাদের শরীরে মায়াদয়াও ত আছে (বিন্দর রান্নাঘরের ভিতর গমন, সনাতনপত্নীর পশ্চাৎগমন ও দ্বারদেশে উপবেশন}—না না, বঙ্গছিন কি, সেই হতভাগা চাকর মিনষে বল্লে কি না, দিদিঠাকরণ, তোমরা নাকি সকলে আমাদের ছেড়ে কলকেতায় চলে যাচ্ছ ? আহা দিদিঠাকরণ, তোমাকে ছেলেবেলায় মানুষ করেছি, তোমাকে আর দেখতে পাব না ? সন্ধাদিদি আমাকে এত ভালবাসে, সে সন্ধাদিদিকে কোথায় নিয়ে যাবে গো ? (রোদন) বিন্দ একটা বিরক্ত হইয়াছিলেন, এক্ষণে হাস্য সম্বরণ করিতে পারিলেন না, বলিলেন, “হ্যালো কৈবত্ত দিদি, এই কথা বলতে এই এতক্ষণ থেকে এমন করছিলি ? তা কাঁদিস কেন বোন, আমাদের যাওয়া কিছুই ঠিক হয়নি, কেবল শরৎবাব কথায় কথায় কাল বলেছিলেন মাত্র, তা আমাদের কি যাওয়া হবে ? সেখানে বিস্তর খরচ । স-প। ছি দিদি, সেখানেও যায়! শুনেছি কলকেতায় গেলে জাত থাকে না, কিছ জাতবিচার নেই, হিন্দ মছনমানে বিচার নেই, সে দেশেও যায়! তোমাদের সোণার সংসারে এখানে বসে রাজি কর। শরৎবাবর,কি বল না, ও’র মাগ নেই, ছেলে নেই, উনি কলেজে পড়েন। দিদিঠাকরণ! কলেজের ছেলে সব করতে পারে। শুনেছি নাকি কলেজের ছেলে সাগর পার হয়ে বিলেত যায়। ও মা ! তারা ত জেন্ত মানুষের গলায় ছয়রি দিতে পারে! হে দিদি, @&á