পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज९...ाङ्ग আমাদের লিখিতে লজ্জা করিতেছে, তাঁতি-বোঁ যাইতে না যাইতে বাউরণী পাড়া হইতে হীরা বাউরিণী বিন্দর নিকট আসিল। হীরার স্বামী পালকী বয়, বেশ রোজকার করে, কিন্তু যথাসৰ্বস্ব মদ খাইরা উড়াইয়া দেয়, বাড়ী আসিয়া প্রত্যহ স্মীকে প্রহার করে। বিন্দ একদিন হেমচন্দ্রকে বলিয়া হীরার স্বামীকে ডাকাইয়া বিশেষ তিরস্কার করিয়া দিলেন। সেই অবধি - ভয়ে এবং বিন্দর জেঠা মহাশয়ের ভয়ে বাউরীর অত্যাচার কিছ কমিল, হীরাও প্রাণে । আজ হীরা আপন শিশটেীকে নতন একখানি কাপড় পরাইয়া কোলে করিয়া বিন্দর কাছে আনিয়া বলিল, “মাঠাকরণ, এবার তোমার আশীব্বাদে হাতে ২ । ৫ টাকা জমেছে, অনেক কাল ঘরের চালে খড় পড়েনি, এবার চাল নতন করে ছাইয়েছি, আর বাছার জন্যে কাটোয়া থেকে এই নতন কাপড় কিনেছি।” বিন্দ শিশকে আশীব্বাদ করিয়া বিদায় করিলেন। তাহার পর গ্রামের শশীঠাকরণ, বামা সদগোপিনী, শ্যামা আগারিণী, মহামায়া ধোপানী প্রভৃতি অনেকেই বিন্দরে কলিকাতায় যাইবার কথা শুনিয়া কান্নাকাটি করিতে আসিল। আমরা তাহাদিগকে বিন্দর নিকট রাখিয়া এক্ষণে বিদায় লই। আমাদের অনেকেরই বিন্দর অপেক্ষা দপয়সা অধিক আয় আছে, ভরসা করি, আমরা যখন এক স্থান হইতে স্থানান্তরে গমন করিব, আমাদের জন্যও কেহ কেহ হৃদয়ের অভ্যস্তরে একট শোক অনুভব করিবে। ভরসা করি, যখন আমরা এ সংসার হইতে প্রস্থান করিব, তখন যেন দুই একটী পরোপকারের পরিচয় দিয়া যাইতে পারি, క్గా পরনিন্দা এবং পরের সব্বনাশ দ্বারা “বড়লোক হইয়াছি”, এই আখ্যানটী রাখিয়া না যাই । নবম পরিচ্ছেদ ঃ বাল্যসহচরীগণ সন্ধ্যার সময় বিন্দ জোঠাইমার বাড়ীতে গেলেন, এবং অনেক দিনের পর বাল্যসহচরী ও উমাতারাকে দেখিয়া বড়ই প্রীতিলাভ করিলেন। তিন জন বাল্য সহচরী এখন তিন সংসারের গহিণী হইয়াছেন, কিন্তু এখনও বাল্যকালের সৌহৃদ্য একেবারে ভুলেন নাই, অনেক দিনের পর তাঁহাদিগের পরপরে দেখা হওয়ায় তাঁহারা বাল্যকালের কথা, শ্বশুরবাড়ীর কথা, সংসারের কথা, নিজ নিজ সখদঃখের অনন্ত কথা কহিয়া সন্ধ্যাকাল যাপন করিলেন। কালীতারা বাল্যকাল হইতেই অতিশয় কৃষ্ণবর্ণ ছিলেন, বিন্দ অপেক্ষাও কাল ছিলেন, কিন্তু তথাপি এককালে তাঁহার মুখে লাবণ্য ছিল, এখনও সেই শান্ত শকে বদনে ও নয়নদ্বয়ে একটা কমনীয়তা দটি হয়। কিন্তু সে মুখখানি বড় শত্ৰুক, চক্ষ দটী বসিয়া গিয়াছে, কণ্ঠার হাড় দেখা যাইতেছে, শীর্ণ হস্তে দইগাছি ফাঁপা বালা আছে, কণ্ঠে একটী মাদলি। তাঁহার বস্ত্রখানি সামান্য, সম্মুখের চুল অনেক উঠিয়া গিয়াছে, মাথায় ছোট একটী খোঁপা। কালীতারা বাল্যকালে একট হাবা মেয়ে ছিল, এখনও অতিশয় সরলা, শ্বশুরবাড়ীর কাজকৰ্ম্ম করেন, দইবেলা দইপেট খান, কেহ কিছু বলিলে চুপ করিয়া থাকেন। । বিন্দ বলিলেন, “কালী, আজ কতদিন পর তোমার সঙ্গে দেখা হল, তোমাকে কি আর হঠাৎ চেনা যায় ? কালী। বিন্দ দিদি, আমাদের দেখা হবে কোথা থেকে, বিয়ে হয়ে অবধি প্রায় আমি বদ্ধমানে থাকি, বাপের বাড়ী কি আর আসতে পাই ? উমা। কেন কালৗদিদি, তুমি মধ্যে মধ্যে বাপের বাড়ী আস না কেন ? আমি ত প্রতিবার পজার সময় আসি। কালী। তা তোমাদের কি বল বোন, তোমাদের ঢের লোকজন আছে, কাজকমের ঝনঝাট নেই, পালকী করে চলে এলেই হল। আমাদের ত তা নয়, বহৎ সংসার, অনেক কাজকর্ম আছে, আর আমাদের যে ঘর তাতে চাকরদাসী রাখার প্রথা নেই। কাজেই আমরা কেউ এলে কাজ চলবে কেমন করে বল এই এবার এসেছি, আমার এক বড় ননদ আছে, তাকে কত মিনতি করে আমার কাজগুলি করতে বলে এসেছি। তা দ পাঁচ দিন সে করবে বরাবর কি আর করে ? ළුද් දෘ