পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংসার প্রথমা। চুপ কর লো চুপ কর, এখনই শনতে পেলে বকে ফাটিয়ে দেবে। তা শরৎবাব: শুনেছি ভাল ছেলে, তিনি এমন করেন কেন ? ' তা 噶 দ্বিতীয়া। আর ভাল ছেলে, বলে, “যার সঙ্গে যার মজে মন, কিবা হাড়ী কিবা ডোম!" ভাল ছেলে হলে কি হয়, ফটফটে মেয়েট দেখেছে, মন ভুলে গেছে। তৃতীয়া। হ্যাঁ দি, সে হেমবাবরে শ্যালীর বয়স কত গা ? দ্বিতীয়া। বয়স ১৩ । ১৪ বছর হয়েছে, দেখতেও সন্দের, হেসে হেসে শরৎবাবর সঙ্গে কথা হয়, মিছরীর পানা খাওয়ায়, তার সঙ্গে না জানি কি খাওয়ায়, তাতে আর শরৎবাব ভুলবে না ? হাজার হোক পরেষের মন ত। চতুথা। তবে শরৎবাবরে সঙ্গে সে মেয়েটীর অনেক দিনের আলাপ ? দ্বিতীয়া। তবে আর শনছিস কি, এ রসের কথা বঝেলি কি ? আলাপ সেই পাড়াগাঁ থেকে । কি জানি বাব সেখানে কি হয়েছে, না জেনে শানে পরের নিন্দা করা ভাল নয়, কিন্তু কলকেতা এসে যে ঢলনটা ঢলিয়েছে তা আর ভবানীপুরে কে না জানে ? ওলো, শরৎবাব সেই মেরেটীকে নিয়ে আপনার বাড়ীতে কতদিন রাখে, তার বোন আর হেমবাবাও সেই বাড়ীতে ছিলেন। হেমবাব নাকি গতিক মন্দ বুঝে আলাদা বাড়ী করলেন, তা সেখানে অমনি রাধিকা বিরহবেদনায় অচেতন হয়ে পড়লেন, নতা করলেন যে ভারি জবর হয়েছে, আবার আমাদের কৃষ্ণঠাকুর উপস্থিত! ওলো এ ঢের কথা লো! বলি বিদ্যাসন্দর পড়িছিস ? এ তাই লো তাই। এখনকার ছেলেরা সব সড়ঙ্গ কাটতে শিখেছে, দেখিস লো সাবধান। e চতুথা। দরে পোড়ারমুখী ! দাসী মহলেও বড় হলেস্থলে পড়িয়া গেল। বড়ী ঝির কাছে শুনে নবীনা ঝিরা সকাল থেকে বারাডায়, উঠানে, রান্নাঘরে কাণাকাণি করিতেছে আর ফিস ফিস করিতেছে। একজন তলবঙ্গী নবীনা বলিল,—হ্যাঁলা, এ কি সত্তি লা, সত্তি বিধবার বিয়ে হবে নাকি ? স্থলাঙ্গী নবীনা উত্তর করিল, “তবে শনছিস কি, সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে, পত্তর হয়ে গেছে, হেমবাব সেকরাকে গয়না গড়াতে দিয়েছে, আর তুই এখনও হবে কিনা, জিজ্ঞেস করচিস ?" তলবঙ্গী। তবে ত এটা চলন হয়ে যাবে! ভন্দর ঘরে হলে ত ছোট লোকের ঘরেও হবে ? স্থা। - কেন লো, তোর আবার সক গেছে নাকি ? ঐ, ঐ কৈবত্ত ছোঁড়াটাকে বে করবি নাকি ? ঐ তোদের কেউ হয় না ? ঐ যে ফিস ফিস করে তোর সঙ্গে সদাই কথা কয় ? ত। দরে পোড়ারমুখী ! অমন কথা আমাকে বলিসনি। তোর আপনার মনের কথা বলছিস বুঝি ? ঐ যে তোদের জেতের সদানন্দ বেণে আছে না, তার সে দিনে বোঁ মরে গেছে, তার এখন ভাত রোধে দেয় এমন নোকটী নেই। তা ধনে মশলা কেনবার নতা করে যে ঘন ঘন তার দোকানে যাওয়া হয়, বলি তার ঘর করতে ইচ্ছে হয় নাকি ? স্থ । তোর মুখে আগন । এইরুপে দুইজন নবীনা পরস্পরের মনোগত ভাব ব্যক্ত করিতেছে, এমন সময় একজন বাদ্ধা দাসী আসিয়া বলিল,—কি লো, তোরা গালাগালি করছিস কেন লো ? স্থ। না গো, কিছ নয়, এই শরৎবাবর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তাই বলছিন। ভন্দর যাই করে তাই সাজে গো, আর আমাদের সময় যত কলঙ্ক! বদ্ধা। তা এটা কি ভন্দরের কাজ ? এ ত মনচুনমানের কাজ। স্থত। তবে হেমবাব এমন কাজ করেন কেন ? বন্ধা। করেন তার কারণ আছে, তোরা কি জানবি বল ? তোরা কাণে তলো দিয়ে থাকিস, এ কথার কি জানাবি বল ? উভয় নবীনা। কি, কি, বল না দিদি, এর কথাটা কি ? বদ্ধা। বলি শনিসনি বকি ? হেমবাব যে এখন আর না বিয়ে দিয়ে পারে না, সে কথা শুনিসনি বুঝি ? উভয়ে। না, না, কি কি , বাদ্ধা। এই শনবি আয়, কাণেকাণে বলি। উভয় নবীনা কাজকর্ম ফেলিয়া বাদ্ধার কাছে দৌড়াইয়া আসিল । বন্ধা তাহাদের কাণেBOS ミや