পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমেশ রচনাবলী ..”་ཐར། সমাজের যদি তাহাতেই রচি হয়, তাহাই করন। আমি সমাজের অনগ্রহের প্রাথী ! হেম। তোমাদের নিকলঙ্ক কুলে কলঙ্ক হইবে। শরৎ। কলঙ্ক কি ? আমি বিধবা বিবাহ করিয়াছি এই কথা ? এটী যদি পাপকায না হয় তবে সে কলঙ্ক আমার গায়ে লাগিবে না; যাহারা নিন্দা করিবেন, তাঁহাদের মতামতে আমার r r శా శా డా శాకా శా ఇf శా | ੇ` বিধবাবিবাহ বোধ হয় আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রবিরদ্ধে নয়, কিন্তু আধুনিক রীতি রুদ্ধ। শরৎ । ত্রিংশৎ বৎসর পাবে সমুদ্রগমনও রীতিবিরদ্ধে ছিল, অদ্য জাহাজে করিয়া সহস্র সহস্ৰ যাত্রী জগন্নাথ যাইতেছে। চন্দ্রনাথবাব সেদিন বলিলেন, অস্বাস্থ্যকর নিয়মগুলির ক্রমশঃ སྒྱུར་གྲུབ་། ཐ་ཕrཙེ ཝཀ་གཅ ཀལ་ཨ་ལ་ ཨ་ལྷ་ས། ক্রমশঃ উন্নতিই জীবনের চিহ্ন, গতিহীনতা মৃত্যুর l হেম। শরৎ, তুমি চিন্তাশীল, তুমি উদারচরিত্র, একটী কথা আমি স্পষ্ট করিয়া বলিব, বিশেষ চিন্তা করিয়া তোমার প্রকৃত মতটী আমাকে বলিও । দেখ, হৃদয়ের উদ্বেগ চিরকাল সমান থাকে না, অদ্য যে প্রণয় আমাদিগকে উন্মত্তপ্রায় করে, দুই বৎসর পর সেটা হ্রাস পায় অথবা আমরা সেটী একেবারে ভুলিয়া যাই। সাধার প্রতি তোমার এরপে প্রণয় চিরকাল না থাকিতে পারে, তখন তোমার মনে কি একটা আক্ষেপ উদয় হইবে না ? উত্তর করিও না, আমি যাহা বলিতেছি আগে মন দিয়া শন। তখনও তোমরা একঘরে হইয়া থাকিবে, বন্ধগণ তোমাদের গহে আহার করিবে না, তোমার কন্যাকে কেহ বিবাহ করিবে না, তোমার পত্রকে কেহ গাহে ডাকিবে না, সমাজের মধ্যে তোমরা একক ! তখন হয়ত মনে উদয় হইবে, কেন বাল্যকালে না বঝিয়া একটী কাজ করিয়া এত বিপদ জড়াইলাম, আমার স্নেহের পাত্র, ভালবাসার পাত্র পত্রকন্যাকে জগতে অসুখী করিলাম। শরৎ, যে কাজে এই ফল সম্ভব, সে কাজে কি সহসা হস্তক্ষেপ করা বিধেয় ? যৌবনের সময় একটা বিচক্ষণতার সহিত কাৰ্য্য করিয়া বাদ্ধক্যের অনুশোচনা দরে করা উচিত নহে? সন্ধার ন্যায় অনিন্দনীয়া রুপবতী, রয়োদশবষীয়া সরলহৃদয়া অনেক বালিকা কায়স্থগহে আছে, তোমার ন্যায় জামাতা পাইলে তাহাদের পিতামাতা আপনদিগকে কৃতাৰ্থ বোধ করিবেন, সেরাপ বিবাহ করিলে, এখন না হউক কালে তুমিও সখী হইবে। শরৎ তুমি বৃদ্ধিমান ; বিবেচনা করিয়া কায্য কর, এখনকার লালসার বশবত্তী না হইয়া যাহাতে জীবনে সখী হইবে তাহাই কর । শরৎ : হেমবাব, আমার কথায় বিশ্বাস করন, আমি কেবল হৃদয়ের উদ্বেগের বশবত্তী হইয়া এই প্রস্তাব করি নাই, জীবনে সখী হইব সেই আশায় প্রস্তাব করিয়াছি। আপনি যে কথাগুলি বলিলেন, তাহা শতবার আমার মনে উদয় হইয়াছে, আলোচনা করিতে বটেী করি নাই। আক্ষেপের বিষয় যাহা বলিতেছেন, যদি বিধবাবিবাহ নিন্দনীয় কাৰ্য্য হয়, তবে আক্ষেপ হইবে বটে, যদি তাহা না হয়, তবে তত্তজন্য কখনই আমার হৃদয়ে আক্ষেপ উদয় হইবে না। বলন, এই বিস্তীর্ণ সমাজে কোন বিজ্ঞ লোক সৎকাৰ্য্য করিয়া পরে আক্ষেপ করিয়াছেন ? ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়া অনেকে জাতি হারাইয়াছেন, বিদেশ গমন করিয়া অনেকের জাতি গিয়াছে, ই‘হাদিগের মধ্যে কোন তেজস্বী লোক সেইরাপ কাৰ্য্য করিয়াছেন বলিয়া পরে আক্ষেপ করিয়াছেন ? সমাজের সংস্কার-পথে তাঁহারা অগ্রগামী হইয়াছেন, এই চিন্তা তাঁহাদিগের জীবনের সখের হেতু হয়, এই চিন্তা তাঁহাদিগের বাদ্ধক্যে শান্তি দান করে। হেমবাব, তাঁহারা সমাজের বহিভূত নহেন, সমাজ আদ্য তাঁহাদিগকে ভক্তি করে, সমাদর করে, স্নেহ করে, কল্য তাঁহাদিগকে আপন বলিয়া গ্রহণ করিবে। এইরপে, সমাজসংস্কার সিদ্ধ হয়, এইরপে জীবিত সমাজ হইতে অনিষ্টকর নিষেধগুলি একে একে পখলিত হয়। হেমবাব পরে আক্ষেপ হইবে এরপে কাজ করিতেছি না, চিরকাল সখে থাকিব, জগদীশ্বরের ইচ্ছায় চিরকাল অভাগিনী সন্ধাকে সখী করিব, এই জন্য এই কাজ করিতেছি। সন্ধার মন, সাধার হৃদয়, সাধার স্নেহ, সরলতা ও আত্মবিসর্জন আমি বিশেষ করিয়া লক্ষ্য করিয়াছি, সন্ধা আমার সহধৰ্ম্মিণী হইলে এ জীবন অমৃতময় হইবে। হেমবাব, আমার হৃদয়ের 8Է, O