পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्धश्न ब्रफ़नाबलाँ থাকিবে । শরৎ আল্প সহ্য করিতে পারলেন না, গন্বিত যবেক আজি ভূমিতে লাণ্ঠিত হইয়া বালিকার ন্যায় রোদন করিতে লাগিলেন। ঘর বড় গরম হইল। শরৎ উঠিয়া গবাক্ষের কাছে দাঁড়াইলেন, শরৎকালের নৈশবায় তাঁহার ললাটে লাগিল, তাঁহার জলন্ত মুখমণ্ডল ঈষৎ শীতল হইল। সমস্ত জগৎ সাপ্ত ও নিস্তব্ধ। অমাবস্যার অন্ধকারে আকাশ ও মেদিনী আচ্ছন্ন করিয়া রহিয়াছে, আকাশ হইতে অসংখ্য তারা এই পাপপণ", শোকপণ জগতের দিকে নিস্তন্ধে দটি করিয়া রহিয়াছে। মাতা পত্রে লিখিয়াছেন, তিনি দলই একদিনের মধ্যে কলিকাতায় আসিবেন। মাতাকে এ সকল কথা বুঝাইলে তিনি বুঝিবেন; এ কাযে তিনি সম্মতি দিবেন ? সে ব্যথা আশা ! শরৎ মাতাকে জানিতেন, বাদ্ধক্যে, বৈধব্যে, তিনি কখনই এ কায্যে সম্মত হইবেন না, কিংবা যদি মুখে সম্মতি প্রকাশ করেন, হৃদয়ে বড় ব্যথা পাইবেন, পত্রের আচরণে অচিরে শোকে প্রাণত্যাগ করবেন। করযোড় করিয়া সেই নীল আকাশের দিকে চাহিয়া শরৎ সাশ্রনয়নে কহিলেন, “পণ্যা জননি! আমি যেন সস্তানের আচরণ না ভুলি, তোমার হৃদয়ে যেন সস্তাপ না দিই, তোমার শেষ কাল যেন তিক্ত না করি!” সমস্ত রাত্রি চিন্তার দংশনে শরচ্চন্দ্র ছট ফটা করিতে লাগিলেন। প্রাতঃকালের শীতল বায়তে তাঁহার শরীর একটু শীতল হইল, মন একটা শান্তি লাভ করিল, তিনি কৰ্ত্তব্য নিরপেণ করিলেন। শোকসন্তপ্ত কিন্তু শান্ত হৃদয়ে তিনি দিবালোক প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। প্রাতঃকালের শীতল বায়তে তাঁহার একট তন্দ্রা আসিল। কতক্ষণ নিদ্রা গেলেন তাহা তিনি জানেন না, কিন্তু তাঁহার বোধ হইল যেন, কেহ কোমল হস্তে তাঁহার মাথায় হাত বলাইতেছে। তখন চক্ষ উল্মীলিত করিলেন, দেখিলেন, তাঁহার স্নেহময়ী মাতা তাঁহার মাথার কাছে বসিয়া বাৎসল্য ও স্নেহের সহিত তাহার মাথায় হাত বলাইতেছেন। শরৎ উঠিবামার তাঁহার মাতা বলিলেন,—বাছা শরৎ, তুমি এত কাহিল হইয়া গিয়াছ; আহা তোমার মাখখানি শাখাইয়া গিয়াছে। আহা বিছানায় না শ্যইয়া ভূমিতে শুইয়া আছ কেন ? এস বাছা, বিছানায় এস। শরৎ । না মা, আমি বেশ ঘমোইয়াছি, আর ঘমাব না। মা, তুমি কখন এলে ? কবে আসিবে তাহা ঠিক করিয়া আমাকে লিখ নাই কেন ? স্টেশন হইতে আসিতে তোমার কোন কট হয়নি ত? মাতা। না বাছা, আমার সঙ্গে গরে এসেছেন, তিনি গাড়ী ঠিক করে দিয়েছেন, আমার কোনও কস্ট হয় নাই । শরৎ । মা, আমি না বুঝিয়া সঝিয়া অপরাধ করিয়াছি, তোমার মনে কস্ট দিয়াছি, সেটী ক্ষমা কর । তোমার চিঠি পাইয়া আমার অভিপ্রায় ত্যাগ করিয়াছি। মা, আমি তোমার অবাধ্য হইব না, যদি কিছু কষ্ট দিয়া থাকি, সন্তানকে সেটুকু ক্ষমা কর। মা, তুমি আমার সকল দোষই ত ক্ষমা কর । বাদ্ধার নয়ন হইতে ঝর ঝর করিয়া জল পড়িতে লাগিল; তিনি স্নেহগদগদ বরে বলিলেন, —বাছা শরৎ, তোর মুখে ফল চন্দন পড়কে, তুই আমার কথাটী রেখে আমার প্রাণ ঠান্ডা করলি। বাছা, তুমি আমার কথা রাখিবে তাহা জানিতাম, তুমি ত আমার অবাধ্য ছেলে নও। আহা, ভগবান তোমাকে সখী করন। মাতার হস্ত দটী মস্তকে স্থাপন করিয়া শরচ্চন্দ্র অবারিত অশ্রদ্ধারা বিসজান করিতে লাগিলেন। মাতা অঞ্চল দিয়া পত্রের আশ্রয় মছাইয়া দিলেন, মাতৃস্নেহে পত্রের হৃদয় শাস্ত হইল। ষড়বিংশ পরিচ্ছেদ ঃ কুলগৌরবের পরিণাম সাধার সহিত শরতের বিবাহের কথা ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, তথাপি মেয়েমহলে সে কলঙ্কের কথা লইয়া অনেক দিন অবধি নাড়াচাড়া হইতে লাগিল, এমন সরস কথা কি আর রোজ রোজ মিলে? কালীতারার শাশড়ীরা ত হাটের নেড়া হজেকে চায়,যখন একট কাজকাম করিয়া অবসর হয়, অথবা কালীতারাকে গঞ্জনা দিতে ইচ্ছা হয়, অমনি কথায় কথায় ঐ কথা উঠে। ছোট। হ্যাঁ হ্যাঁ, বিয়ে ভেঙ্গে গেছে, মুখেই ভেঙ্গেছে, কাজে কি আর ভাঙ্গে ? আমার বেন 8SB <.