পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংসার কলকেতায় এসেছেন, ছেলে আর কি করে, দিন কত চুপ করে আছে। বেনও গঙ্গাযাত্রা করবেন, আর ছেলেটা ঐ হতভাগী ছড়ীটাকে আবার বিয়ে করবে। মেজ। হ্যাঁ গো হ্যাঁ, বেন বড় গুণবতী। ঐ পোড়ারমুখী ত সব করেছে, ও না করলে কি আর সম্প্ৰবন্ধ হত ? তারপর আমাদের ভয়ে সে কাজটা থেমে গেল, আমাদের ঘরে মেয়ে দিয়েছে, পোড়ারমুখীর প্রাণে ভয় নেই, ঐ বিয়ে হলে কি আজ কালীকে আস্তো ? আহা, যেমন নচ্ছার মা, তেমনি নচ্ছার মেয়েও হয়েছে, এমন ছোটনোকের ঘরের মেয়েও করে আনে ? আমাদের এমন কুলেও কালি দিয়েছে। ছোট। আর সেই মাগাই কি নচ্ছার বাবর-ঐ হেমবাবর দীর কি নজা সরম নেই ? সে কিনা বিধবা বোনটাকে বিয়ে দিতে রাজী হল ? ও মা ছি! ছি:! চোঁদ পর্ষকে একেবারে কলকে ডোবালে ? অমন মেয়ে বেচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভাল। বাপমা নন খাইয়ে মেরে ফেলেনি কেন ? মেজ। আর সেই এক রত্তি মেয়েটাই কি নচ্ছার গা ? অমন বিধবাটাকে কি আর ঘরে রাখতে হয় ? অন্য নোক হলে কাশী বন্দোবন পাঠিয়ে দিত, কি হরিনামের মালা হাতে দিয়ে বৈষ্ণবদের আখড়ায় পাঠিয়ে দিত। ছি! ছি! ভদ্রনোকের ঘরে এমন নজার কথা ? ছোট। তা দিক না সেটাকে বের করে, আর এত ঢলাঢলি কেন, সেটাকে বাজারে বের করে দিক না? মেজ। ওলো ঢলাটলির কি হয়েছে ? আরও হবে। তোরা ত বোন সব কথা জানিসনি, আমি ওদের সব শনেছি। এই দেখ না কি হয় ? বড় দেরী নেই। তখন কেমন করে নকোয় দেখব। পলিসে খবর দেব না? অমন কুটম থাকার চেয়ে না থাকা ভাল, কুটমের মুখে আগন । ছোট। আবার বেন কলকেতায় এসে কালীকে নিতে নোক পাঠিয়েছিল। একটু নজা সরম নেই গা ? মেজ। ওলো, লজা সরম থাকলে আর পোড়ারমুখী ছেলের অমন সম্বন্ধ করে ? তা হতভাগ্য বংশে আর কি হবে বল না ? বৌমাকে নিতে আসবে ? কাঠের চেলা দিয়ে পিঠ ভেঙ্গে দেব না ? কালী একবার যাবার নাম করকে দিকি ? ওর পিঠের চামড়া যদি না তুলি ত আমি কায়েতের মেয়ে নই। ছি! ছি! আমন ঘরে বোঁ পাঠায়, ওদের ছলে আমাদের সাত পরেষের :: মা হল ল এন হল সে র ল ব কি লে। f | ! এইরুপ বংশের সংখ্যাতি, মাতার সংখ্যাতি, শরতের সংখ্যাতি, বিন্দ ও সন্ধার সংখ্যাতি কালীতারাকে কতদিন শুনিতে হইত তাহা আমরা বলিতে পারি না, কিন্তু অমতভাষিণীদিগের সে অমত বচন এক্ষণে কিছুদিনের জন্য মুলতুবি রহিল। বাবর পীড়া সহসা এত বৃদ্ধি পাইল যে তাঁহার প্রাণের সংশয়; তখন সকলে তাঁহার চিন্তায় ব্যাকুল হইল। তখন কালীতারার খড়-শাশড়ীরা বড়ই ভয় পাইল, সে বিপলে বংশ গোছাইয়া রাখতে পারে এমন আর একজন লোক সে বংশে ছিল না। কালীতারা ভয়ে ও চিস্তায় শীর্ণ হইয়া গেল, খাইবার সময় খাওয়া হইত না, রাত্রিতে চিস্তায় ঘন্ম হইত না, কেবল বাবা কেমন আছেন জানিবার জন্য ছট ফট করিতেন। ভগিনীপতির সঙ্কটাপন্ন পীড়ার সংবাদ পাইয়া শরচ্চন্দ্র সে বাটীতে আসিলেন, কয়েকদিন তথায় রহিলেন। হেমচন্দ্রও প্রত্যহ প্রাতঃকালে আসিয়া দ্বিপ্রহর পর্যন্ত তথায় থাকিতেন। তাঁহাকে দেখিয়া লোকে কাণাকাণি করিত, তিনি তাহা গ্রাহ্য করতেন না। হেমকে দেখিয়া শরৎও একট অপ্রতিভ হইলেন, কিন্তু উদারচরিত্র হেম শরৎকে এক পাশ্বে ডাকিয়া লইয়া গিয়া বলিলেন, “শরৎ, তুমি আর আমাদের বাড়ী যাও না কেন ? তুমি মন্দ কায্য কর নাই, লজা কিসের ? বিবাহে তোমার মাতার মত নাই, মাতার কথা অনুসারে কায্য করিয়াছ, তাহা কি নিন্দনীয় ? তোমার মাতার অমতে তুমি যদি বিবাহ করিতে স্বীকার করিতে, আমরা স্বীকার করিতাম না। শরৎ, তোমার কায্যে দোষ নাই, দোষের কায না করিলে নিন্দার কারণ নাই। লোকের কথা আমরা গ্রাহ্য করি না, তুমিও গ্রাহ্য করিও না।” শরং হেমের এই কথাগুলি শুনিয়া স্তম্ভিত হইলেন। যে বাল্যবন্ধকে জগতের ঘণাপদ করিয়াছেন, যাঁহার পবিত্র সংসার তিনি কলঙ্কিত করিয়াছেন, সেই ঋষিতুল্য ব্যক্তি আপনি আসিয়া শরতের হাত ধরিয়া లke BY&