পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्यश्च ब्रफ़नाबलौ। 蜗 驛 তাঁহাকে সকল মাঙ্গনা করিলেন। শরৎ হেমের কথায় উত্তর দিতে পারিলেন না, কৃতজ্ঞতায় তাঁহার চক্ষু জলপশ হইল, মনে মনে কহিলেন, “এতদিন আপনাকে জ্যেষ্ঠ সহোদর বলিয়া স্নেহ করতাম, অদ্য হইতে দেব বলিয়া পজা করিব।” 略 হেমচন্দ্র ও শরৎ রোগীর যথেস্ট শশ্রেষা করিলেন। ঠাকুরের প্রসাদ বন্ধ করিয়া দিলেন। অথব্যয়ে সঙ্কুচিত না হইয়া কলিকাতার মধ্যে সব্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসকগণকে প্রত্যহ ডাকাইতে লাগিলেন, তাঁহাদিগের আদেশ সম্পণেরপে পালন হয় দেখিবার জন্য শরৎ দিবারারি রোগীর ঘরে থাকিতেন। কিন্তু কিছুতেই কিছর হইল না। এক সপ্তাহ উৎকট পীড়া সহ্য করিয়া কালীতারার স্বামী মানবলীলা সম্প্ররণ করিলেন। কালীর শরীরখানি চিন্তায় আধখানি হইয়া গিয়াছিল; এ সংবাদ পাইবামার সে চীৎকার শব্দে রোদন করিয়া ভূমিতে আছাড় খাইয়া মচ্ছিত হইল। শরৎ অনেক জল দিয়া, বাতাস করিয়া দিদিকে সংজ্ঞা দান করিলেন, তখন কালীতারা একবার স্বামীকে দেখিবেন বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিলেন। শরচ্চন্দ্র সেটী নিবারণ করিতে চেষ্টা করিলেন, পারিলেন না, আলথোল বেশে মক্ত কেশে শোকবিহবলা কালীতারা স্বামীর ঘরে দৌড়াইয়া গেলেন, মত স্বামীর চরণ দটী মস্তকে স্থাপন করিয়া ক্ৰন্দনধৰ্মনিতে সকলের হৃদয় বিদীণ করিলেন। কালীতারা স্বামীর প্রণয় কখনও জানেন নাই, আদ্য সে প্রণয়টী জানিলেন, শন্য-হৃদয় বিধবা অসহ্য যাতনায় সবামপদে বার বার লুণ্ঠিত হইয়া অভাগিনীর কান্না কাঁদিতে লাগিলেন। একবার করিয়া মতবামীর মুখমণ্ডল দেখেন, আর একবার করিয়া হৃদয় উথলিয়া উঠে, রোদনেও তাহার শান্তি হয়। ক্ষণেক পর আবার মাচ্ছিত হইয়া পড়িলেন, কালীর চৈতন্যশন্য শীর্ণ দেহ হন্তে উঠাইয়ী শরং অন্য ঘরে লইয়া আসিলেন। ... . কয়েকদিন পরে কালীতারার শ্বশুরবাড়ীর সকলে বদ্ধমানে প্রস্থান করিলেন। শোকবিহবলা বিধবা ভবানীপুরে শরতের বাড়ী আসিয়া মাতার স্নেহপণ হৃদয়ে শান্তিলাভ করিলেন। কালীর বয়ঃক্রম ২০ বৎসর হয় নাই, কিন্তু তাঁহার সম্মুখের সমস্ত চুল উঠিয়া গিয়াছে, চক্ষ দটী বসিয়া গিয়াছে, শরীরখানি অতি শীর্ণ, শোকে ও কটে নানারপ রোগের সঞ্চার হইয়াছে। দেখিলে তাঁহাকে চত্বারিংশৎ বৎসরের চিররোগিণী বলিয়া বোধ হয়। চিরদঃখিনী মাতৃস্নেহে কথঞ্চিৎ শান্তি লাভ করিলেন । কুলময্যাদা দেখিয়া কালীর বিবাহ দেওয়া হইয়াছিল, কিন্তু উৎকৃষ্ট কুল হইলেই সব্বদা সখ হয় না। সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ ঃ ধনগৌরবের পরিণাম আমরা একজন হতভাগিনীর কথা পাব পরিচ্ছেদে লিখিলাম, আর একজন হতভাগিনীর কথা এই পরিচ্ছেদে লিখিব। শোকের কথা আর লিখিতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু যখন সংসারের কথা লিখিতে বসিয়াছি, তখন শোকের কাহিনীই লিখিতে বসিয়াছি। শোকদঃখের কথা না লিখিলে সংসারের চিত্ৰটী প্রকৃত হয় না। সংক্ষেপে সে কথাটী লিখিব । কালীতারার স্বামীর পীড়ার সময় হেমচন্দ্র সব্বদাই সেই বাড়ীতে থাকিতেন, সতরাং বিন্দ বাড়ী হইতে বড় বাহির হইতে পারিতেন না। তাঁহাদের পাড়ার লোকে অনুগ্রহ করিয়া যেরপে প্রবাদ রটাইয়াছিল, তাহাতে তাঁহার বাড়ীর বাহিরে যাইতে বড় ইচ্ছাও ছিল না। তবে উমাতারা কেমন আছে, জানিতে বড় উৎসকে ছিলেন। মধ্যে মধ্যে লোক , লোকে যে খবর আনিত, তাহাতে বিন্দর বড় ভয় হইতে লাগিল। কয়েকদিন পরে, তিনি পালকী করিয়া উমার বাড়ী গেলেন। বিন্দর পথে মনে করিতেছিলেন, তাঁহার জ্যেঠাইমা তাঁহাকে কত তিরস্কার করিবেন, কিন্তু বাড়ী পাহছিয়া তাঁহার জ্যেঠাইমাকে যে অবস্থায় দেখিলেন, তাহাতে বিন্দর চক্ষতে জল আসিল । জ্যেঠাইমার চিরপ্রফুল্ল মুখখানি শাখাইয়া গিয়াছে, ভাসা ভাসা নয়ন দটী বসিয়া গিয়াছে, কাক পক্ষীর ন্যায় কৃষ্ণ কেশগুলি স্থানে স্থানে শুরু হইয়াছে, সে স্থলে শরীরখানি ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে। কন্যার সেবায় দিবারাত্রি জাগরণ করিয়া, কন্যার মানসিক কন্টের জন্য দিবারারি রোদনে ও চিন্তায় উমার মাতা অকালে বান্ধক্যের লক্ষণ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। 8్సఆ ఆ