পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

תיrשי বিন্দ আসিবামাত্রই তাঁহার জ্যেঠাইমা চক্ষর জল ফেলিয়া বলিলেন, “আয় মা, তোরা একে একে আয়, বাছা উমাকে একবার দেখ, যা করতে হয় কর, আমি আর পারি না।” উদ্বিগ্ন হৃদয়ে বিন্দ জ্যেঠাইমার সঙ্গে ঘরে প্রবেশ করিলেন, উমাতারাকে দেখিবামাত্র তাঁহার হৃদয় কম্পিত হইল। মৃত্যুর ছায়া সেই রক্তশন্য, জ্যোতিঃশন্য মুখমণ্ডলে পতিত হইয়াছে। বিন্দ দিদিকে দেখিয়া রোগীর মুখখানি একবার একটা উজ্জল হইল, বিন্দর দিকে উমা করিতে লাগিলেন। মনে মনে ছেলেবেলার কথা উদয় হইতে লাগিল। অতি শৈশবে বিন্দ জ্যেঠাইমার বাড়ী খেলা করিতে আসিত, উমার সঙ্গে কত খেলা করিত, উমা আপনার সন্দেশটী ভাঙ্গিয়া বিন্দকে দিত, আপনার খেলানা হইতে বিন্দকে একটী দিত। তাহার পর বিন্দর পিতার মৃত্যু হুইলে বিন্দ জ্যেঠাইমার বাড়ীতে আশ্রয় পাইয়াছিল, তখনও উমার সঙ্গেই খেলা করিতে ভালবাসিত, উমাও গরিবের মেয়ে বলিয়া বিন্দকে তুচ্ছ করিত না। তাহার পর উভয়ের বিবাহ হইল, উভয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে গেলেন, কিন্তু বাল্যকালের প্রণয়টী ভুলিলেন না, যখন জ্যেঠাইমার বাড়ীতে উমার সঙ্গে দেখা হইত, তখনই কত আনন্দ । ছয় মাস পবে জ্যেঠাইমার বাড়ীতে দুইজন কত আহাদে দেখা করিয়াছিলেন, আজ সে আনন্দ কোথায়! জগতে উমার সেই অতুল সৌন্দয্য কোথায় ? সেই সন্দের ললাটে হীরকের সিতি কোথায় ? সে সগোল বাহতে হীরক-খচিত বলয় কোথায়? সরলচিত্তা জ্যেঠাইমার সেই মিন্ট হাসি কোথায় ? সেই একটু ধনগৰ্ব, একটু সাংসারিক গব্ব কোথায় ? সে সংসার-সুখ অতীতের গভে লীন হইয়াছে, সে সুখ উমাতারার অদভটাকাশে আর কখনই হইবে না। সে সুখ శా శా శా8 శాణా ধন, যৌবন, অতুল সৌন্দৰ্য্য, অকালে লীন 牙出 অনেকক্ষণ পরে ক্ষীণস্বরে উমা কহিলেন,—বিন্দরদিদি, অনেক দিনের পর তোমাকে দেখিলাম, তোমাকে একবার দেখিয়া প্রাণটা জড়াইল । বিন্দর। কালীতারার স্বামীর বড় পীড়া হইয়াছিল, তাই আমরা বড় ব্যস্ত ছিলাম, সেই জন্য, উমা, তোমাকে দেখিতে আসিতে পারি নাই। উমা। ব্যারাম আরাম হইয়াছে ? বিন্দর ধীরে ধীরে বলিলেন,—কালী বিধবা। উমা নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন ; একবিন্দ আশ্রজেল সেই শীর্ণ গন্ডস্থল দিয়া গড়াইয়া পড়িল । ক্ষণেক পরে বলিলেন,—কালী এখন কোথায় : বিন্দ। শরতের বাড়ীতে আছে। কালীর মাও সেইখানে আছেন, তিনি কলিকাতায় . | উমা। কালীকে বলিও, তাহার মন সন্থে হইলে একবার আসিয়া দেখা করে। মরিবার আগে তাকে একবার দেখিতে বড় ইচ্ছা করে। বিন্দ। ছি, উমা, অমন কথা মুখে আন কেন ? তোমার উৎকট রোগ হইয়াছে, তা ডাক্তার দেখিতেছে, ব্যারাম ভাল হবে এখন; ছি, অমন ভাবনা মনে আনিও না। উমা। ভাল হয়ে কি হবে ? বিন্দ। ভাল হইয়া আবার সংসার করবে। মনুষের কষ্ট কি আর চিরকাল থাকে ? আজ কট আছে, কাল তাহা থাকিবে না, সুখ দুঃখ সকলেরই কপালে ঘটে। ব্যারাম ভাল হইলে সখী হইবে, পতিপত্রবতী হইয়া সোণার সংসারে বিরাজ করবে। উমা কোনও উত্তর করিলেন না, একটী ক্ষীণ হাসি সেই শীর্ণ ওঠপ্রান্তে দেখা গেল। ণক যেন কি শব্দ শুনিতে লাগিলেন, পরে বলিলেন,—ঐ জানালা থেকে দেখ। বিন্দ ও বিন্দর জ্যেঠাইমা জানালার নিকট গিয়া দেখিতে লাগিলেন। জড়ি আসিয়া ফটকের নিকট দাঁড়াইল, ধনঞ্জয় ও একটী বাব গাড়ী হইতে নামিলেন। দ্বারদেশে একটী বাদ্ধা দাঁড়াইয়া ছিল, তাহার সঙ্গে দুইজনে কি কথা কহিতে লাগিলেন। তিনজনে পরামর্শ করিতে করিতে উপরে গেলেন। A বিন্দ জিজ্ঞাসা করিলেন-জোঠাইমা, ধনঞ্জয়বাবরে সঙ্গে ও বাবটী কে ? জ্যেঠাইমা। ও গো, ঐ ত আমার জামাইয়ের শনি। ওঁর নাম সন্মতিবাবু, কলিকাতার যত S>ー o ক্ষে 이