পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংসার ধনবান, গণবান, রুপবান, ধনঞ্জয়বাব কলিকাতা সমাজের একটী শিরোরঞ্জ। সকল সভায় তাঁহার সমান আদর, সকল স্থানে তাঁহার গৌরব, সকল গহে তাঁহার খ্যাতি। তাঁহার ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা তাঁহার হিন্দুয়ানির প্রশংসা করেন, কন্যাকত্তাগণ (উমার মৃত্যুর পর) তাঁহার সহিত সবন্ধ স্থাপনাথ ঘন ঘন ঘটকী পাঠাইতেছেন। রাজপরেষেরা ধনাঢ্য বদান্য জমাদারপত্রকে রাজা খেতাব দিবার সঙ্কল্প করিতেছেন। 片 সাবিজ্ঞ সুশিক্ষিত সন্মতিবাব শীঘ্ৰ কলিকাতার একজন অনরারি মেজিষ্ট্ৰেট হইবেন এইরুপ শনা যায়। তিনি সাহেবদিগের সহিত সব্বদাই দেখাসাক্ষাৎ করেন, এবার লেভিতে গিয়াছিলেন, তাঁহার ভদ্রাচরণ ও সমাজিত কথাবাত্তা শ্রবণে সকলে তুষ্ট হইয়াছেন। সন্মতিবাবর গাড়ীঘোড়া আছে, সমাজিত বৃদ্ধি আছে ও মিস্ট কথায় অসাধারণ ক্ষমতা আছে; তিনি সাহেবসবোকে তুষ্ট রাখেন, বড়মানুষদের সব্বদাই মন যোগান, তিনি ক্রমশঃই উন্নতির পথে উঠিতেছেন। তিনিও সমাজের একটী শিরোরাত্ন । जप्रच्छेोबि१* *ब्रिटळ्म ३ अब्रौका শরৎবাবর পরীক্ষা অতি নিকট, তিনি সমস্ত দিনই পড়েন; বাড়ীর ভিতর বড় যান না। শরৎ পড়িয়া বড় কাহিল হইয়া গিয়াছেন, তাঁহার মাতা ও ভগিনী তাঁহার অনেক যত্ন শশ্রেষা করেন, শরতের খাওয়াদাওয়া দেখেন, যাতে শরৎ একটা ভাল থাকেন, একটা গায়ে সারেন সে বিষয়ে দিবারাত্রি যত্ন করেন। কিন্তু শরতের চেহারা ফিরল না, শরৎ বড় পরিশ্রম করেন, রাত্রি জাগিয়া এর বির ঘরে গিয়া বসিয়া থাকেন, তিনি দিন দিন আরও বিবণ ও দ্রব্বল হইতে গলেন। শরতের মাতা বলিলেন,—বাছা, এত পড়ে পড়ে কি ব্যারাম করিবে ? তোমার পরীক্ষা দিয়ে কাজ নাই, চল আমরা তালপুকুরে ফিরে যাই, তোমার বাপের বিষয় দেখিও, স্বচ্ছন্দে থাকিবে। কলিকাতার জল-হাওয়া তোমার সহ্য হয় না। শরৎ বলিলেন;–না মা, এই বয়সে লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়া ভাল হয় না। পরীক্ষা নিকট, একবার চেষ্টা করে দেখি । কালীতারা পাবেই বদ্ধমানে শরতের বিবাহের সম্বন্ধ স্থির করিয়াছিলেন। মনে করিলেন, বোঁ ঘরে এলে শরতের মনে সফর্মুত্তি হইবে, শরৎ একটা গায়ে সারিবে। সেই বিবাহের কথা একদিন শরতের নিকট উত্থাপন করিলেন। শরৎ বলিলেন,—দিদি, পড়িবার সময় ব্যস্ত কর কেন ? বিন্দর জ্যেঠাইমা এখন বিন্দদের বাসায় থাকেন, এখনও তালপুকুরে ফিরিয়া যান নাই। তিনি সব্বদাই শরতের মাতার সহিত দেখা করিতে আসিতেন, এবং সমস্ত দিন ধরিয়া কথাবাৰ্ত্তা কহিতেন। তাঁহারা দুইজনে উমার কথা কহিতেন, কালীর কথা কহিতেন, আর মনের দুঃখে রোদন করিতেন। উমার মা বলিতেন,—দিদি, তখন যদি লোকের কথা না শনে আমরা একট বঝেসঝে কাজ করতেম, তাহলে আর আজ এমনটাঁ হত না। তুমি তখন বড় কুল দেখে বামন পরতের কথা শুনে কালীর বিবাহ দিলে, আমিও পড়শীর কথা শনে বাছা উমার বড়মানুষের সঙ্গে বিবাহ দিলেম, তাই আজ এমন হল। তা ভগবানের ইচ্ছা, এতে কি মানষের হাত আছে, আমরা যা মনে করি, সেইটা কি হয় ? তা দিদি, আমার যা হয়েছে তা হয়েছে, তুমি শরংকে একট দেখো, বাছা পড়ে পড়ে কাহিল হয়ে গিয়েছে। শরৎকে মানুষ কর, সখে সংসার করতে পারে, এইরুপ বিয়ে থা দাও, বৌ ঘরে নিয়ে এস, বৌয়ের মুখ দেখে শোক একটা ভুলবে। শরতের মাতা বলিতেন,-আমার তাই ইচ্ছে, বাছা যে কাহিল হয়ে গিয়েছে, আমার বড়ই ভাবনা হয়েছে। আমারও বোধ হয়, বিয়ে থা দিলে বাছা একটা গায়ে সারবে। তা শরৎ যে এখন বিয়ে করতে চায় না। তার উপর লোকে যে একটা নিন্দ রটিয়েছে, মনে হলে কস্ট হয়। উমার মাতা। ছি, ছি, সে কথা আর মাখে এন না। আমি তখন মেয়েকে নিয়ে ব্যস্ত, কিছ: দেখতে শনতে পাইনি, তা না হলে কি আমার এমন হয়। বাছা বিন্দ ছেলেমানষে, হেম আর 8 ఫిసి