পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*: जमाख সন্ধা। ও হরি। তবে বর কনের চখোচখি হইয়া গিয়াছে। হে’লা, জ্যেঠামহাশয় তোকে আদর করেছিল ? গোপী। হাঁ ছোটমা, তারিণীবাব একবার চারিদিকে চেয়ে দেখিলেন। দেখিলেন, কোথাও কেউ নেই, তখন আমাকে কোলে তুলে নিয়ে কত আদর করিলেন । বিন্দ হাসিতে হাসিতে ভূমিতে লুণ্ঠিত হইলেন। উঠিয়া সন্ধাকে বলিলেন,—বলি শনাল সন্ধা, এই কালই বর কনের মিস্টালাপ হইয়া গিয়াছে। বলে, সেকালের বড়োরা নাতনীদের সঙ্গে ঠাট্টা করিত, আজকাল কি সত্য সত্যই নাতনীদের সঙ্গে বিবাহের প্রস্তাব করে ? ছি! ছিঃ! ছি! এ লজার কথা যখন জগতে রাষ্ট্র হবে, তখন আমাদের কালমুখ লকোব কোথায় ? জ্যেঠামহাশয় কি সত্যই এ বয়সে লোক হাসাইবেন ? বলি গোপী, তোর মনে ধরে ? “ধরে।” এই কথাটি বলিয়া বালিকা ছটিয়া পলাইয়া গেল। বিন্দ বলিলেন,-বালিকা কি সরলা, বিয়ের কথা কিছ জানেও না, বুঝেও না, জ্যেঠামশাই উহাকে কোলে করিয়া আদর করিয়াছেন, সরলা মেয়েট তাহাতেই আনন্দিত হইয়াছে। ছিঃ! ছি! জ্যেঠামহাশয়, তুমি বিজ্ঞ, তুমি বহদশী, তুমি বুদ্ধিমান, এই সরলা বালিকাকে অকল সমুদ্রে ভাসাইয়া যাইও না । বিন্দ একটা ভুল করিয়াছিলেন, বালিকা নিতান্ত সরলা নহে। বিয়ের কথা কিছু কিছ জানে, ধনগৌরবের একট লালসা রাখে, সবণ ও মণিমুক্তার দিকে দটি রাখে, এবং দারিদ্র্য হইতে উত্থান করিয়া একবার বড় ঘরের বৌ হইবার দন্দমনীয়া আকাঙ্ক্ষা বাল্যহৃদয়ে ধারণ করে। চতুথ পরিচ্ছেদ ঃ বিবাহের কথাবাত্তা স্থির তারিণীবাবু একবার মতলব স্থির করিলে শীঘ্ৰ হটবার লোক নহেন। বদ্ধমানে গোকুলচন্দ্রের নিকট লোক পাঠাইলেন। গোকুল লোকমুখে বিশেষ কোনও কথা জানিতে পারিল না, তবে কোনও কারণে তারিণীবাব ক্রুদ্ধ হইয়াছেন শুনিয়া কিছ ভীত হইল। নাজির মহাশয়ের বদ্ধমানে প্রভুত্ব ও সাহেবদের নিকট খাতির, এ সকল বিষয় গোকুল বিশেষ জানিত, নাজির মহাশয় একবার সাহেবদের নিকট তাহার বদনাম করিলে তাহার কন্ট্রাক্টও ঘুচিবে, অন্নও ঘুচিবে। সভয়ে পরদিনই গাড়ী করিয়া তালপুকুর গ্রামে আসিয়া, ঘরে না গিয়া একেবারেই তারিণীবাবর গহে উঠিয়া, নাজির মহাশয়ের শ্রীচরণে প্রণাম করিল। নাজির মহাশয় বড়ই রাস্ট, মুখ ফিরাইয়া কথা কহেন না। সভয়ে ও সসম্মানে গোকুল অনেক মিস্ট কথা দ্বারা তারিণীবাবর মন ভিজাইয়া বলিল,—আমি চিরকালই আপনার আজ্ঞাধীন, আপনারই অন্নে পালিত, আপনার অনগ্রহে জীবিকা নিৰ্বাহ করিতেছি । এ অধীনের প্রতি কি জন্য বিরক্ত একবার বলন, কি আদেশ পালন করিতে হইবে বলন, অধীন কি কখন আপনার অবাধ্য হইতে পারে ? তারিণীবাব। না হে ভায়া (এতদিন বাবাজী বলিয়া সম্বোধন করিতেন, এখন নতেন সম্মবন্ধ), এখন আর তোমরা অধীন কৈ ? এখন ঢের কন্ট্রাক্ট পাও, ঢের টাকা রোজকার কর, এখন আমাদের কি আর মানিবে, না আমাদের কথা শুনিবে ? আচ্ছা দেখা যাবে, দেখা যাবে, কে সাহেবদের বলিয়া তোমাকে এত কস্ট্রাক্ট দেওয়াইয়াছে, তাহা দেখিব, আর ভবিষ্যতে কিরাপে কণট্রাক্ট পাও, তাহাও দেখিব । 帝 * গোকুল। সে কি ? বলেন কি ? আপনারই অনগ্রহে, আপনারই খাতিরে আমার যথাসব সব উপায়, তাহা কি আমি জানি না ? বদ্ধমানে এ কথা কে না জানে ? আপনাকে অবহেলা করিব ? আপনার পাদকো বহন করিতে পারিলে কৃতাৰ্থ হই, আপনার কথা শুনিব না ত কাহার কথা শুনিব ? তারিণীবাব । না, আর আমাদের কথা কৈ খাটে ? ষাও ভায়া, বাড়ী যাও, তোমার মা আমার কিরপে অপমান করিয়াছেন গিয়া শন। ঝাঁটা মারিয়া আমার লোক বিদায় করিয়াছেন। মিরজা আমার সম্মান জানিতেন, এখন কি না তাঁহার বিধবা যাহাকে কন্টের সময় অন্নবসত্ৰ দিয়া পালন করিলাম, সে আমার এমন অপমান করে ? আচ্ছা দেখিব, দেখিব, কোথাকার জল কোথায় দাঁড়ায় ? ミピ - 8ෆළු