পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटभ* ब्रष्कनाबलौ —তা আমরা করব না ত করবে কে গা বোন ? থাকতেন আজ দাদা বেচে, আহা, এ আনন্দের দিন কতই আনন্দ করিতেন ! আহা, দাদা যখন যে কাজটি করতেন আমাকে না জিজ্ঞাসা করে ত করতেন না, আমাকে না ডাকাইয়া কি বাড়ীতে ক্রিয়াকম হবার ষো ছিল ? তা দাদা যেমন : পণ্যোত্মা ছিলেন, বাছা গোপীও সেই রকম গো, আহা মেয়ের মাথে কথাটি নেই। তা এমন মেয়ের বড় ঘরে বিয়ে হবে না ত কার হবে ? বেচে থাক বাছা, গা ভরে গহনা পরবি, পাকী চড়বি, বারাণসী সাড়ী পরে যগগিবাড়ী যাবি,—এর বাড়া কি সুখ আছে ? বাছা তোদের মখে দেখে মরতে পারলেই বাঁচি, ইত্যাদি। শ্যামের মা সম্পকে গোপীর খড়ী হয়। তাঁহার স্বামীর সহিত গোপীর বাপ বিষয় লইয়া অনেক বিবাদ করিয়াছিলেন;–গোপীর বাপের মৃত্যুর পর, শ্যামের মা বিধবা জার উপরে সে কলহের বিলক্ষণ প্রতিশোধ লইয়াছিলেন। মকদ্দমা করিয়া দরিদ্র জার জমাজমী বিক্রয় করিয়া পাঠাইয়া দিতেন—গোপীকে দেখিয়ে দেখিয়ে খাবি! গোপীর মা গরিব ও ভালমানষে, সমস্ত সহ্য করিত ও কাঁদত। টাকার কি মধ্যময়ী ক্ষমতা ! গোপীর মার সৌভাগ্য উদয়ে শ্যামের মা সমস্ত বৈরিভাব ভুলিলেন, প্রিয় জার প্রতি তাহার কত মায়া, কত মমতা, কত যত্ন ! বলিলেন,— আহা বোন! পরাতন কথা কি ভুলা যায় ? সেই তোমার আমার একই বৎসর বিয়ে হয়, আহা, আমরা যেন বোনের মত ছিলাম গো, একমন, একপ্রাণ, কেবল শরীর ভিন্ন বৈ ত নয় ? তোমার" যখন গোকুল পেটে, তখন বাছা শ্যামলাল হয়, তা আমার শ্যামলালও যে, গোকুলও সেই। তা গোকুল বেচে থাকুক, গণবান বৃদ্ধিমান ছেলে হয়েছে, দু’পয়সা রোজকার করিতেছে, মিত্ৰকুলের নাম রাখিবে। আর বাছা গোপীর বড় ঘরে বিয়ে হইতেছে, বড়মানুষের বেী হবে, গা ভরে গহনা পরবে, সখে থাকবে ! আহা ওদের সখে দেখলে আমাদের চক্ষ জড়ায়, ইত্যাদি। এইরুপ আত্মীয়দিগের যত্ন শশ্রেষা, আশীব্বাদ ও মঙ্গলকামনায় গোপীর মা বড়ই আপ্যায়িত হইলেন। তাহদের বাড়ী হইতে বড় বড় তত্ত্ব আসিয়া মিত্রবাড়ী ভরিয়া গেল, এ কয়েক বৎসর ইহার চতুথাংশ অনুগ্রহ পাইলে গোপীর মা অন্নবসের জন্য বিন্দ ও সাধার দ্বারে গিয়া দাঁড়াইত না ! গোপবালা মার চেয়ে সেয়ানা মেয়ে, বাপের বৃদ্ধি পাইয়াছে। বাদ্ধাদিগের কাছে মেয়ের মুখে কথাটি নাই, তাহাদের মমতা ও স্নেহবাক্যে মেয়ের চক্ষু ছল ছল করিতেছে। চক্ষ মাছিয়া পাকুরধারে সমবয়স্যাদিগের কাছে আসিয়া একবার প্রাণ খলিয়া হাসিল। সমবয়স্যারা বলিল,—কিলো, বড় ঘরে বিয়ে হবে বলে বড় আহাদ যে,—মুখে হাসি ধরে না যে । গোপী। না লো, তার জন্য হাসি নয়। বয়স্যাগণ। তবে কি জন্য ? মনের কথাটা খুলেই বল না। গোপী। এই আমার মাসীমা, পিসীমা, খড়ীমাদের যত্ন দেখে হাসছিলাম। বয়স্যাগণ। ইস! হেসে যে গড়িয়ে গেলি, মেয়ের রকম দেখ না। তা মাসীমা পিসীমা বিয়ের সময় আসিয়াছেন, তোদের ভালবাসে বলে যত্ন কচ্ছেন, তাতে আবার হাসি কিসের লা ? গোপী বলিল,—না, না, তা নয়, তবে মাসীমা পিসীমার যত্ন দেখিয়া একটা রপেকথা মনে পড়িল তাই হাসিতেছিলাম। রপেকথাটি বলি শন।— দটী ভাই ছিল, বড় ভাইটী বড়লোক, আর ছোট ভাইটী গরিব । তা বড় ভায়ের সীর বড়মানুষী চাল, সে গরিব ছোট জাটীকে একবার ডেকে জিজ্ঞাসাও করে না, দেখা হইলে কথাও কয় না। গরিবরা দুঃখে থাকে, কাঁদাকাটি করে, কিছুদিন পরে সে গ্রাম থেকে উঠিয়া গেল। বিদেশে চাকরীবাকরী করিয়া গরিবদের শেষে অনেক টাকা হইল। তখন তাহারা গ্রামে চাকরবাকর রাখিয়া, বড়মানুষী চালে চলিতে I বড় জা তখন ছোট জাকে অনেক আদর করিয়া নিমন্ত্রণ করিয়া পাকেী পাঠাইল। ছোট জা খাইতে আসিয়া দেখে,—রপার থালে ভাত বাড়া, রপার বাটীতে ব্যঞ্জন সাজান, রুপার রেকাবিতে সন্দেশ মণ্ডা! ছোট জা আসনে বসিল। ভাতগুলি চারি ভাগ করিল, ব্যঞ্জনগুলি চারিভাগ করিল, সন্দেশ মণ্ডা চারি ভাগ করিল। এই রকমে ভাগ করিয়া আসন থেকে উঠিয়া হাত 噶 | 8ow