পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्न्नश ब्रफ़नाबळ বিন্দ। হ্যাঁ গো ঠাকুরমা, শরৎবাব মিছরিপানা বড় ভালবাসেন। ঠাকুরমা। আর এ বাটীতে কি ? ও মা, এ যে চিনির রসে রসবড়া রে! এ বুঝি তুই আপনার হাতে করেছিস? এ যে ভারি যত্ন লো। দেখিস বাছা, এত যত্নটত্ব করে যেন শরতের মাথাটি খাসনি। বিন্দর। কেন ঠাকুরমা, শরতের মাথা খেতে যাবে কেন ? অনেক দিন পর শরৎ বাড়ী আসছে, তা সন্ধা একটু যত্ন করবে না ত কে করবে ? ঠাকুরমা । তা করবে বৈ কি বাছা! সন্ধা ভাল মেয়ে, শরতের যত্নটত্ব করবে বৈ কি। তবে কি জানিস, আজকাল যে রকম সময় পড়েছে, জেয়াদা যত্নটত্ব করলেই পরষমানষে আবার মাথায় চড়ে। তা বঝি জানিসনি ? বিন্দ। না ঠাকুরমা, সে আবার কেমন, বল না ঠাকুরমা । ঠাকুরমা ! ওলো দেখবি, যখন আমার মত বয়স হবে দেখে শিখবি। আমি বাড়ী বাড়ী যাই, ঢের দেখিছি লো, তাই শিখিছি। বিন্দ। তা আমাদের শিখাও না ঠাকুরমা, আমরা শুনি। ঠাকুরমা। ওলো শনবি ত শোন। ঐ যে তোরা বিয়ে বিয়ে পাগল হইস, ছেলের বিয়ে দাও, মেয়ের বিয়ে দাও বলে পাগল হইস, আমি ত বলি ছেলেমেয়ের বিয়ে হয় না ত, ছেলেমেয়ের নড়াই নাগে। এই যেমন রাজায় রাজায় নড়াই হয় না ? সেই রকম নড়াই নাগে। নে, তোরা যে হেসে গড়িয়ে গেলি। বড়ীর কথা শুনে যদি অমন করে হাসিস ত আমি এই চল্লাম । বিন্দর। না ঠাকুরমা, আর হাসব না, বল, বল, বল, তোমার পায়ে ধরি। ঠাকুরমা । বলছিলাম কি, বিয়ে নয় ত, ছেলেমেয়ের নড়াই নেগে যায়। যে যত আদায় করতে পারে, বাকলি কি না, মেরে ধরে, বকে ঝকে, যে যত আদায় করতে পারে। ঐ আমাদের পাড়ার ঐ ঘোষালের পো আছে না ? তার দুইটা ছেলে হয়েছে তা জানিস বাছা। তা ঘোষালদের বেটী রোগা শরীর নিয়ে দুই ছেলে কাঁকে করে সমস্ত দিন খাটছে গো, সমস্ত দিন খাটছে, বাসন মাজা, ঘর ঝাঁট দেওয়া, জল আনা, রাঁধা বাড়া, সমস্ত সংসারের কাজ করছে, তার উপর দলবেলা গাল খেতে খেতে প্রাণটা যায়। বাবর যদি গরম দধটকু পেতে একটু দেরী হইল তা আমনি গালাগালি, সে ত এমন গালাগালি নয়, আমাদের কাণে আঙ্গলে দিতে হয়। বৌটী নিতান্ত ভাল মানুষ, মুখে রক্ত উঠিয়ে বাবরে যত্ন করে, তবল ত উঠতে নাবতে গাল খায়। তাই বলি, অধিক ভাল মানুষ হওয়া কিছ নয়, একটা আদায় করতে শেখ। বিন্দ। তা সব পর্ষ কি ঐ রকম ঠাকুরমা ? ঠাকুরমা। না, তা বলছিনি, তা বলছিনি, আবার সেও তেমনি আছে। ঐ যে বড়ালদের বেটী কেমন পাকা মেয়ে। স্বামীকে ঠিক যেন ভেড়া করিয়া রাখিয়াছে। কত্তাটী বৌয়ের কথায় উঠে, বৌয়ের কথায় বসে, মল্লখ কথাটী কহিবার যো নেই! তব ত বড়ালের বৌয়ের বকুনি থামে না, সকাল থেকে পিট পিট করে বকছে, আর রাত দুই প্রহরের সময় সে বকুনি BB BB BBu BBB BBBB uBBB uB BB BBD BBB BB DD নিয়ে সারাদিন ঘরেছেন! সাবাস মেয়ে যা হউক! কেমন স্বামীকে বশ করেছে! কেমন কাজ আদায় করে নিচ্ছে! গহনা বল, কাপড় বল, টাকা বল, মানটুকু বল, কেমন আদায় করে নিচ্ছে! কোন কথায় কত্তাটীর কি না বলিবার যো আছে ? বিন্দ। তা ওরকম কি আদায় করা ভাল ? উহাতে কি সংসারে সখ হয়। এই দেখ মা জ্যেঠামহাশয়ের সংসার কি হইয়া গেল ? ঠাকুরমা। ঠিক বলেছিস বাছা, আহা ঠিক ধরেছিস! তারিণীবাবর সোণার সংসার ছিল, উমার মাকে কখন একটা রেগে কথা কহিতে শুনিনি গো। তা তাকে ভাল মানষে পেয়ে তোর জ্যেঠামশাই তাকে পায়ে ঠেললেন, দেখলি ত! আহা তাকে দন্ধে মারলেন। এ নড়াই লো নড়াই—যে ভাল মানুষ তারই মরণ, যে শক্ত তারই জিত! আবার এখন কেমন নড়াই বেধেছে! সেই ত তারিণীবাব-পাড়ায় পাড়ায় ষাঁড়ের মত ফেরেন—সকলকে শাসন করেন,—বাড়ীতে প্রভুত্ব করন দেখি! কৈ এবারও ত ছেলে হইল না, আর একটা বেী করন দেখি! তার যো - নেই, ছোট গহিণী তারে বাড়া শক্ত, নড়াইয়ে তারিণীবাবকে হারাইয়া সবসব কাড়িয়া 「88 。 ക്ഷ്