পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- =ङ्ग .1 kr השוקוס করিয়াছ,–হৃদয়েশ্বর ! আমি কি তোমার রত্ন হইলাম ? চিরজীবন তোমার দাসী হইয়া থাকিব, জন্মে জন্মে ঐ পণ্যপদ সেবা করিব।” একাদশ পরিচ্ছেদ ঃ দাদামহাশয়ের পরামর্শ ঠাকুরমা। কৈ লা সন্ধা, উঠেছিস ? সন্ধা। উঠেছি ঠাকুরমা, এত সকালে যে ? ঠাকুরমা। এই সকালে একবার এলাম গো, শরৎকে দেখিতে। আর এই নে, কাল রাত্রিতে একখানা দৈ পেতেছিলাম, শরতের জন্য নিয়ে এলাম । সন্ধা। একি ঠাকুরমা ? এত যত্নটত্ব করলে পরষে মানুষ মাথায় চড়বে যে ! কালীতারা। ঠাকুরমার ঐ রকম ধারা। অন্য লোককে বলেন, আদায় করে নে, আদায় করে নে, আর আপনি পরের জন্য করে করে গতরখানি মাটি করিলেন। তাহা ঘোষালদের জন্য ঠাকুরমা যদি না করিত, ত সে বোঁ কি বাঁচত, সংসারের অদ্ধেক কাজ ঠাকুরমা গিয়ে করে দিয়া আসে। ঐ বড়ালদের বাড়ীর কত্ত"টীর যখন ব্যারাম হইল, ঠাকুরমা ত পাঁচ সাত দিন ঘরে আসে নি, রোগীর কাছে বসেই ছিল । আহা উমার মার শেষ দশায় ঠাকুরমা না থাকলে কে করত, দিন নেই, রাত নেই, রোগীর যত্ন করিত। আর পাড়ার যত ছেলে ত ঠাকুরমাকে পেয়ে বসেছে, পাটালিগড় আর দৈ কারও ঘরে কিনিতে হয় না। ঠাকুরমা । না লো না—তবে লোকের ব্যারামস্যারাম হলে করতে হয়। বলি সন্ধা, আ সন্ধা, কাল রাত্রিতে একটা মানটান করেছিলি লা ? দুই একটা ঝাল ঝাল কথা শুনিয়ে দিয়েছিলি ? এতদিন পর বিদেশ থেকে এল, একবার অভিমান করে বেকে বসেছিলি ত? পায়েটায়ে ধরাইয়াছিলি ? সন্ধা। না ঠাকুরমা, ভুলে গিয়েছিলাম। ঠাকুরমা। ওমা! কোথাকার হাবা মেয়ে গা ? বলি একটন মথেভারি করে দুই একখানা গহনা আদায় করলি নি ? তোর জন্য দুই একখানা গহনা এনেছে ? সন্ধা। জানিনি ঠাকুরমা, জিজ্ঞাসা করতে ভুলে গিয়েছিলাম! ও হরি! বলি তুই কি একেবারে কচি খাকি লো ? এই রকম করে সংসার করবি ? বলি এতদিন যে বিদেশে চাকরি করলে, টাকাগুলো কি করলে তার খোঁজ খবরও নিলিনি ? তুই এমন ফটফটে বৌ, তোর নামে কোম্পানির কাগজ দই একখানা করে দিক না ? তা বলেছিলি ? সন্ধা হাসিতে হাসিতে পনরায় বলিলেন,—বলতে ভুলে গিয়াছিলাম ঠাকুরমা । ঠাকুরম। হয়েছে! নে বাছা, তোরা মিছরি দিয়ে বেন্নন রাঁধগে—আমি তোর নতন জ্যেঠাইমার বাড়ী একবার যাই। সে বাড়ীর বেন্ননে বেশ একটা নতুন লঙ্কা পড়ে। এইরুপ কথা হইতেছিল, এমন সময় শরৎবাব সেই ঘরে আসিয়া পড়িলেন। দেখিয়া একটী গড় করিয়া বলিলেন,—ঠাকুরমা, এত সকালেই এসেছ, আমি মনে একবার তোমার বাড়ী আজই যাব। - ঠাকুরমা। না বাছা, তোরা যাবি কেন, আমিই এসে এসে দেখব। কাল সন্ধ্যার সময়ই আমি এসেছিলাম, তোর আসতে রাত হইল দেখে চলে গেলাম। আহা বেচে থাক, আমার মাথার চুলের মত তোর বয়স হউক, ভগবান তোর মঙ্গল করন। আহা তোর শাশড়ী যদি আজ বেচে থাকত, সোণার চাঁদের মত দটী জামাই দেখে তার চক্ষ জড়াত। ঠাকুরমা কাপড়ের খোঁট দিয়া চক্ষ মছিলেন। ক্ষণেক পর একট হাসিয়া বলিলেন,— তা বাছা, এতদিন পর এলি, কৈ বৌয়ের গহনা ? ভালমানষে বোঁ বলে ফাঁকি দিলে ত হবে না, আমি এই বৌয়ের জন্য কোমর বেধে ঝগড়া করতে এসেছি। শরৎ হাসিয়া বলিলেন,—বোঁ আগে, না ঠাকুরমা আগে ? এই বলিয়া ঠাকুরমার জন্য যে তসরের সাটী আনিয়াছিলেন, তাহা তাঁহার সম্মুখে রাখিলেন। ঠাকুরমার চক্ষে আবার জল আসিল। বলিলেন-এ সব কেন বাছা, আমাদের জন্য এ সব কেন ? আমি বড়োসড়ো হয়েছি, তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকেছে, আমার তসর গরদের কি ৪৪৯ శిషి