পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटभ* ब्रा5नाबलौ কাজ বল দেখি ? তা ঠাকুরমাকে মনে করে এনেছিস, বেচে থাক বাছা, বেচে থাক। কিন্তু দেখ শরৎ, আর আমার জন্য এমন করে খরচপত্র করিসনি। শরৎ ঘরে আসতে সন্ধা ঘোমটা দিয়া কোণে দাঁড়াইয়াছিলেন,—কাণে কাণে কালীতারাকে কি বলিলেন। কালীতারা হাসিয়া ঠাকুরমাকে বলিলেন,--বেী বলছে ঠাকুরমা, তসরের কাপড়খানা - নাও, আরও খুব আদায় করে নাও, না হলে পরেষে মানুষ মাথায় চড়বে যে । শরৎ হাসিয়া বলিলেন,—ঠাকুরমা বুঝি আদায় করিবার মন্ত্র শিখাইতেছিলেন। ঠাকুরমার ' శా గా తాగా గా కాగా జా శా శా డా కా সবগ* | ঠাকুরমার পর গ্রামের দিদিমা শরৎকে আশীব্বাদ করিতে আসিলেন, তাহার পর জ্যেঠাইমা, খড়ীমা, পিশীমা, মাসীমা, যত বন্ধাগণ সকলে শরতের মুখচন্দ্র দেখিতে আসিলেন। সমাজের নিয়ম অনুসারে তাঁহারা শরৎ ও সন্ধাকে একঘরে করিয়াছেন, কিন্তু তাহাদের দেবতুল্য অনিন্দনীয় চরিত্র, তাহাদের অসীম পরোপকারিতা, তাহাদের দয়া, মায়া ও সৎকাৰ্য্য কাহারও অবিদিত ছিল না। গ্রামের আবালবদ্ধবনিতা তাহাদের সাধুবাদ করিত, আবালবদ্ধবনিতা আজ তালপাকুর গ্রামের গৌরবম্বরপ শরচ্চন্দ্রকে সম্ভাষণ করিতে আসিল। শরৎও সকলকে প্রিয় সম্ভাষণে তুষ্ট বীরলেন, বদ্ধদিগকে প্রণাম করিয়া বস্ত্রাদি দিলেন, বন্ধদিগের কুশলবাত্তা জিজ্ঞাসা করিলেন, কৃষকদিগের ছোট ছোট ছেলেমেয়ের হাতে এক একটী টাকা দিলেন। কৃষকপত্নীগণ সজল নয়নে ছেলে কোলে লইয়া বাবকে সাধুবাদ করিতে করিতে চলিয়া গেল। আহারাদির পর সমস্ত দিন শরচ্চন্দ্র গ্রাম পৰ্য্যটন করিয়া সকলের বাড়ী গিয়া সাক্ষাৎ করিয়া আসিলেন, শত্র মিত্র বিচার করিলেন না। অবশেষে বৈকালবেলা তারিণীবাবরে বাড়ীও গেলেন। তারিণীবাব শরৎকে সমাদর করিলেন,--শরৎবাব প্রস্থান করিলে তারিণীবাবরে গরবিণী গহিণী ঠোঁট ফলাইয়া বলিলেন,—তা চাকরি হয়েছে, যাক চাকরি করকে গিয়া। আমাদের বাড়ীতে আসা-যাওয়া কেন ? যার জাত নেই, কুল নেই, তার সঙ্গে মিশিলে আমাদের পণ্যের সংসারে কলঙ্ক পড়বে যে ! সন্ধ্যার সময় বাড়ীতে কিছ জলযোগ করিয়া শরচ্চন্দ্র “দাদামহাশয়ের" বাড়ীতে গেলেন। দাদামহাশয় গ্রামের মধ্যে বড়ো, কিন্তু এখনও খুব শক্ত,—লাঠি ধরিয়া পাড়ায় পাড়ায় ফিরেন, সকল বাড়ীর খবর রাখেন, গ্রামের বয়স্কা গৃহিণীদিগকে কখন “মা” বলিয়া সম্বোধন করেন. কখন “বেটী" বলিয়া গালি দেন, এবং গ্রামের যুবতীদিগকে নাতিনী বলিয়া উপহাস করেন। যুবতীগণ ঘাট হইতে কলস লইয়া আসিবার সময় বড়োকে দরে থেকে দেখিতে পাইলে ভয়ে পলায়—“দাদামহাশয়ের” জালায় গ্রাম অস্থির ! শরৎকে ছেলেবেলা হইতে দাদামহাশয় বড় ভালবাসিতেন। শরৎও দাদামহাশয়কে বড় সম্মান করিতেন, এবং গ্রামে আসিলেই তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতেন । গ্রীমকালের সন্ধ্যার সময় বাড়ীর বাহিরের রকের উপরে দাদামহাশয় একাকী বসিয়া আছেন. পবোকালের কথা স্মরণ করিতেছেন, পর্বোসমতি রোমন্থন করিতেছেন। দাদামহাশয়ের মুখখানি রসিকের মুখ, নয়নের কণায় উপহাসের ভাব লক্কোইত রহিয়াছে! দাদামহাশয়ের মনটী ভাল, কিন্তু মুখে কিছর আটকায় না! শরৎকে দেখিয়া দাদামহাশয় প্রকৃত আনন্দিত হইয়া বলিলেন,—এস ভায়া এস,—অনেক দিন পর তোমাকে দেখিলাম! বলি ভাল আছ ত ? শরৎ । আপনার প্রসাদে ভালই আছি। দাদা। তোমার মা ভাল আছেন ? কালীতারা ভাল আছে ? আর আমার সেই ফটফটে নাতবোঁটী ভাল আছে ? খোকা ভাল আছে ? শরৎ । আপনার আশীৰুবাদে সকলেই ভাল আছে । -- দাদা । তা এতদিন পশ্চিম অঞ্চলে কেমন ছিলে ? সে দেশের জলহাওয়া কেমন ? শরৎ । ভালই ছিলাম। । বিহারের জলহাওয়া ভাল। তবে এখন এই বন্ধমানের মত মেলেরিয়া জর সেখানেও হইতেছে। মেলেরিয়াতে দেশটা উচ্ছন্ন হইল। لتخي দাদা। বল কি ? আমরা ত চিরকালই জানি পশ্চিম প্রদেশ বড়ই ভাল, কাশী প্রয়াগ যেমন পণ্যস্থান, সেইরপে শরীরের পক্ষেও উত্তম স্থান। 86. O