পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्रयश्च ब्रफ़नाबलौ শিক্ষিত লোক মাত্রেরই কত্তব্য, যে যতটুকু পারে, তাহার সেইটুকু করা কত্তব্য। কে শাস্ত্ৰ প্রকাশ করবে জিজ্ঞাসা করিতেছ? শরং ! তুমি প্রকাশ করবে, আমি প্রকাশ করিব, হেমবাব: প্রকাশ করিবেন, ষে দেশানুরাগী, সে যতটুকু পারে প্রকাশ করিবে! এইরপে দেশে দেশে প্রকৃত শাস্ত্রশিক্ষা প্রচার হইবে, অজ্ঞান তিরোহিত হইবে, কুরীতি ও কুপ্রথা উঠিয়া যাইবে। উৎসাহী উদ্যমশীল যবেক ! তুমি জিজ্ঞাসা করিতেছ, এ কাৰ্য্য কাহার দ্বারা সম্পাদিত হইবে ? সৈন্যদলের সৈনিকপুরুষ যুদ্ধ-সময়ে জিজ্ঞাসা করে, কে বিজয়লাভ করিবে?—অগ্রসর হও, আমরাই জয়লাভ করিব ! এ কায্যে রাজার মুখ চাহিয়া থাকিব না, রাজপরিষেদিগের ইহাতে অধিকার নাই, ক্ষমতাও নাই—হিন্দুদিগের মধ্যে শাস্ত্রপ্রচার হিন্দুদিগেরই কাৰ্য্য! শরৎ। আপনার মুখে পাপচন্দন পড়কে, আপনার কথা সফল হউক! কিন্তু এ যুদ্ধে আপনার মত কয়জন যোগদান করিবেন ? তিনজন শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণের নাম করিয়াছেন, তাঁহারা শাস্ত্রশিক্ষা প্রচার করিয়াছেন, হিন্দ-জাতির ঐক্য সাধনে, উন্নতি সাধনে যত্ন করিয়াছেন। কিন্তু কত সহস্ৰ সহস্ৰ শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত সবাথাসাধনাথ শাস্ত্রজ্ঞান একচেটিয়া করিয়া রাখেন, নিজ প্রভুত্ব বজায় রাখিবার জন্য হিন্দ-জাতিকে অবনত ও বিভিন্ন ও দ্রব্বল রাখিবার প্রয়াস পান ? সরস্বতী। শরৎ, তুমি শিক্ষিত, ইতিহাসজ্ঞ, তুমি কি জান না যে সবাথ পরদিগের প্রয়াস তাহাদিগের জীবনের সহিত হয়, নিঃসবাথ মনষ্যের চেস্টা ফলপ্ৰসবিনী হয় ? নিঃসবাথ বদ্ধদেবের উদ্যমফল অদ্যাবধি জগৎসংসারে দেদীপ্যমান, যে সবাথপর লোকে তাঁহার প্রতিরোধ করিয়াছিল, তহারা কোথায়, তাহাদিগের কম ফল কোথায় ? ইউরোপে নিঃসবাথ* লথরের চেষ্টা ফলপ্ৰসবিনী হইয়াছে, যে সহস্ৰ সহস্র পরোহিত তাঁহার প্রতিরোধ করিয়াছিল, তাহাদিগকে কে জানে ? ক্ষুদ্র জঘন্য পতঙ্গরাশির ন্যায় ক্ষুদ্র সবাথপর লোকের চেণ্টা কালের করাল হৃদয়ে বিলীন হইয়া যাইবে—রামমোহন, ঈশ্বরচন্দ্র ও বঙ্কিমচন্দ্রের চেস্টা ফলপ্ৰসবিনী লাভ কৗরবে ! শরৎ । হিন্দুগণ জাতি-নির্বিশেষে এই শাস্ত্রশিক্ষা লাভ করে, এইরুপ আপনার উদ্দেশ্য ? সরস্বতী। হাঁ শরৎ, সকল হিন্দরেই শাস্ত্রশিক্ষায় অধিকার আছে, সকল হিন্দই এ মহৎ শিক্ষা লাভ করকে, জনসাধারণের শিক্ষা ভিন্ন উন্নতির উপায়ান্তর নাই। পরোকালে ক্ষত্রিয় বৈশ্য সকলেরই শাসত্রশিক্ষায় অধিকার ছিল, এখন সেই ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য ভাঙ্গিয়া তোমরা শত শত ভিন্ন জাতিতে পরিণত হইয়াছ—তোমাদের পৈতৃক অধিকার কে কাড়িয়া লয় ? প্রাচীন শাস্ত্রানুসারে শদ্রে অর্থে অনাৰ্য্য, যদি তোমরা অনায্য হও, তাহা হইলে আমরা কি আৰ্য্য ? আর তোমরা যদি আৰ্য্য হও, তোমরা যদি দ্বিজ-সস্তান হও, তাহা হইলে আৰ্য্যশাস্ত্ররপে পৈতৃক ধন কে তোমাদের নিকট কাড়িয়া লইতে পারে ? শরৎ। তবে এতদিন শাস্ত্রজ্ঞান কেবল ব্রাহ্মণগণ একচেটিয়া করিয়া রাখিয়াছেন কেন ? সরস্বতী। তোমরা ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য সন্তান হইয়া নিজ পৈতৃক ধন ভুলিয়াছিলে, এইজন্য ব্রাহ্মণেরা তোমাদের সে গচ্ছিত ধন রক্ষা করিয়াছেন । তোমরা যখন সপ্ত ছিলে, ব্রাহ্মণের জাগরিত থাকিয়া সে শাসর্ধন রক্ষা করিয়াছেন, তোমরা যখন বেদ-বেদাঙ্গ ভুলিলে, ব্রাহ্মণেরা সহস্ৰ বৎসরের পর সহস্ৰ বৎসর পয্যন্ত সেই বেদ-বেদান্ত কন্ঠস্থ করিয়া রক্ষা করিয়াছেন ! স্বাধীনতায়, পরাধীনতায়, শোকে, সন্তাপে, ব্রাহ্মণেরা সে অমল্য ধন রক্ষা করিয়াছেন । জ্ঞানপ্রদীপ যখন ভারতবষে নিৰ্বাপিত হইয়াছিল, ব্রাহ্মণ-হৃদয়ে সে প্রদীপ স্নিগ্ধ অবিনশ্বর তেজে জলিতেছিল, আৰ্য্যক্রিয়া, আয্যরীতি যখন আৰ্য্যপ্রদেশে বিলুপ্ত, ব্রাহ্মণদিগের আচরণ ও অনুষ্ঠানে সেই রীতি ও ক্রিয়াকলাপ জীবিত ছিল! এখন তোমরা পনরায় নিদ্রা হইতে উত্থান করিয়াছ, পৈতৃক ধন চিনিয়াছ, আনন্দে অগ্রসর হইয়া সে ধন অধিকার কর! এবং যে অনাষা ইতর জাতিসমুহ হিন্দুধৰ্ম্মম ও সভ্যতা গ্রহণ করিয়াছে, তাহাদিগেরও ঐ শাস্বাধন দান করিয়া উন্নত কর! শরৎ। আপনার মহৎ কথা শুনিয়া আমার হৃদয় আনন্দে পর্ণ হইল, উৎসাহে পণ হইল। আপনার বাসনা পণ্য হউক। সকল প্রদেশে সকল জাতীয় হিন্দ যখন একত্র হইয়া একই . আচাৰ্য্য পরোহিতের শিক্ষায় এক ঈশ্বরকে পজাদান করিবে, তখন আমরা ঐক্য পাইব, বল পাইব, সাহস পাইব ! ভগবন! এ আপবে মন্ত্র আপনি কোথা শিখিলেন, কে আপনাকে sહ૪