পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিখাইল, জানিতে বড় ইচ্ছা করে। কয়েক মাস হইতে আপনার যশ চারিদিকে প্রত হইতেছে, আমি অদ্য আপনার পবিত্র কায্যের যাহা পরিচয় পাইলাম, তাহাতে বিস্মিত হইয়াছি। সেই জন্য ইচ্ছা করে আপনার পবিত্র জীবনের ইতিহাস কিছ জানি। గాలో শরৎ, আমার জীবনের ইতিহাস যৎসামান্য। যদি রাচি হয়, আহারান্তে শ্রবণ ! যোগমায়া তিনজনকার আহারের জন্য পাত পাতিয়া দিলেন, জল আনিয়া দিলেন, এবং সমস্ত আয়োজন করিয়া দিলেন। বালক দেবীপ্রসাদ সামান্য আহার প্রস্তুত করিয়াছিল, তাহা আনিয়া দিল, তিনজন আহারাদি সমাপন করিলেন। বালকও পিতার পাতের অবশিস্ট কিছ আহার করিয়া পাশ্বের ঘরে পস্তকপাঠে রত হইল। ষোড়শ পরিচ্ছেদ ঃ রমাপ্রসাদের ইতিহাস “আমি ধনাঢ্যের সন্তান ছিলাম, কিন্তু অস্টাদশ বৎসর বয়সের সময় একটী বিষম সঙ্কটে পড়িয়া সমস্ত হারাইয়া তাঁথাপয্যটন করিতে যাই। অনেক স্থান দশন করিয়া শেষে কাশীধামে বেদ শিক্ষার জন্য অনেক বৎসরাবধি অবস্থান করি। “কাশীধামে অনেক বেদজ্ঞ পণ্ডিত আছেন, আমার গরদেব তাঁহাদিগের মধ্যে প্রধান বলিয়া সকলেই স্বীকার করিতেন। বেদপাঠ ও বেদশিক্ষাদান ভিন্ন তাঁহার অন্য কাজ ছিল না, দেশবিদেশ হইতে, দ্রাবৗড়, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও কাশমীর হইতে, শিষ্যগণ তাঁহার নিকট বেদাধ্যয়ন করিতে আসিত। তিনি আমাকেও শিষ্য বলিয়া গ্রহণ করিলেন, তাঁহার নিজের অনগ্রহে, আমার গণে নহে। “নয় বৎসর ধরিয়া আমি তাঁহার নিকট বেদাধ্যয়ন করি। এই কালের মধ্যে কাশীর অনেক ধনাঢ্য বণিক ও মহাজন, আমি দরিদ্র, অনাথ বিদ্যাথী বলিয়া আমাকে দয়া করিতেন। আমি হইলাম । “পঞ্জাব-দেশীয় কৃপাল সিংহ নামে একজন ক্ষত্রিয় কাশীতে সপরিবারে বাস করিতেন, এবং আমাকে নিজের সস্তানের ন্যায় ভালবাসিতেন । বিদ্যাথীর প্রয়োজন অতি অলপ, আমার প্রয়োজনবশতঃ নহে, তাঁহার দয়াবশতঃই, তিনি আমাকে অনুগ্রহ করিতেন। ব্রহ্মচারী বেশে যখন তাঁহার আলয়ে যাইতাম, তাঁহার গহিণী আমাকে পত্রবৎ যত্ন করিতেন, আমিও তাঁহাকে মা বলিয়া সম্বোধন করিতাম। তাঁহার ছোট মেয়েটীও আমাকে বড় যত্ন করিত। “কালক্রমে কৃপাল সিংহ সেই একমাত্র কন্যাসন্তান রাখিয়া কালগ্রাসে পতিত হইলেন। তখন আমার পাঠ শেষ হইয়াছে, আমি নিজে একটী মঠ খুলিয়া কয়েকজন শিষ্য গ্রহণ করিলাম। কৃপাল সিংহের কাশীতে আত্মীয় কেহ ছিল না, তাঁহার বিধবা আমারই মঠে বাস করিন্সেন, তাঁহার অলপ যাহা সম্পত্তি ছিল, তাহা আমারই হস্তে অপণ করিলেন। এইরপে আর এক বৎসর অতিবাহিত হইল। “কৃপাল সিংহের একমাত্র বালিকা আমাকে অতিশয় স্নেহ করিত, তাহার নিরাশ্রয় অবস্থা, শাস্তমত্তি", এবং অনিৰ্বাচনীয় স্নেহ দেখিয়া আমারও তাহার প্রতি অনুরাগ জন্মিল। বালিকা যৌবন-লক্ষণ প্রাপ্ত হইল-আমি মনের ভাব আর সঙ্গোপন করিতে না পারিয়া সেই লাবণ্যময়ী সলক্ষণা বালিকাকে বিবাহ করিবার প্রস্তাব করিলাম। আমার বয়ঃক্রম তখন অস্টাবিংশ বৎসর, বালিকার বয়স রয়োদশ বৎসর।” সরস্বতী ক্ষণেক নিস্তন্ধ রহিলেন। শরচ্চন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন-আপনি ব্রাহ্মণ-সন্তান, ক্ষত্রিয়-বালিকাকে কিরাপে বিবাহ করিবার প্রস্তাব করিলেন ? সরস্বতী। শরৎ, এরপ ক্রিয়া আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রবিরদ্ধে নহে, নীতিবিরদ্ধেও নহে। এটি কি নীতি-বহিগতি কাজ বলিয়া তোমার মনে হয় ? শরৎ। ভগবন! আমি.এ কাষ' নীতিবিরদ্ধে বলিয়া মনে করি না। আমি নিজে বিধবা বিবাহ করিয়াছি, তাহা বোধ হয় আপনি জানেন না। সরস্বতী। শরৎ, সে কথা আমার অজ্ঞাত নহে। एठाभाव भाटा अङ्ागौष्कं लिखामः , 86:సి