পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৫০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• अक्रमाछ. সকলে। অবাক কল্পে মা ! কোথায় যাব মা ! ইত্যাদি। মধ্যবয়স্কার দল বিদায় না হইতে হইতে বাদ্ধার দল কলস নামাইয়া সেই ঘাটে সত্যের আবিস্কার করিতে বসিলেন। শ্যামাসন্দেরী। আজি যে সন্ন্যাসী ঠাকুরের বড় সম্মান! বামাসন্দেরী। এখন হয়েছে কি ? অারও সম্মান হবে। শ্যামাসুন্দরী। কেন লো ? কি হয়েছে ? বামাসুন্দরী। ও লো, তা বুঝি জানিস না ? তবে শোন, চুপি চুপি শোন। কত্তা-গিন্নী শুনলে আমাদের ঝোঁটা মেরে বের করে দেবে। শ্যামাসুন্দরী। কি ? কি ? কি ? কি হয়েছে ? কুতুল বাল এই দিবাচর এক লে ন হয় লিলি অ কি শুনিস- p ত্রিপরাসন্দেরী। হাঁ, হাঁ, হাঁ ! ওমা সে যে আজ তিরিশ বছর হতে গেল গা। আমার বিলাসকামিনীর সেই মাসে বিয়ে হয়, ওমা সে কথা কি আমরা ভুলতে পারি। ওমা কি ভয় পেয়েছিন গো ! বিয়ের সম্মবন্ধ বুঝি ভেঙ্গে যায় ! তা বিয়ের ঘটা সব বন্ধ হয়ে গেল, বাজনা বন্ধ হয়ে গেল, নিমন্ত্রণ বন্ধ হয়ে গেল,—চুপি চুপি বামন ডাকিয়ে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। হা আমার পোড়াকপাল রে! হরসন্দরী। ওমা সে কথা আর মনে নেই ?—সে যে বৈশাখ মাসে। আমার নাড়গোপালের সেই মাসে ভাত, সে কথা কি আমি ভুলিতে পারি। বাছা নাড়গোপালের ভাতের সব আয়োজন বন্ধ হয়ে গেল, নোকজনকে ভাল করে খাওয়াতেও পারিলাম না। হা আমার ভাঙ্গাকপাল রে! কৃষ্ণসন্দরী। ওমা সে কথা জানি বৈ কি ? ঐ যে ঠিক সেই মাসে আমার বড়বোঁয়ের সাধ, সাধের কত আয়োজন, কত যগগি, কত নোকজন জড় হয়েছে—রাজ্যের মেয়ে আমার বড়বোঁয়ের সাধে এসেছে। ওমা এমন সময় বীরগ্রাম থেকে খবর আসিল যে বড় হাঙ্গামা হয়ে গিয়েছে, রমণীবাব খন হইয়াছে ! ওমা কি সব্বনাশ! কি সৰ্ব্বনাশ ! আমার বড়বোঁ ত শনে প্রায় মচ্ছো যায়,—আমি ত অবাক-বাড়ীসদ্ধ মেয়ে ভয়ে আড়স্ট ! কেবা যগগিতে খায়, কেবা খাওয়ায় ? ஆi:' ঠিক বলেছ দিদি ! ছেলেটীর নাম রমণীবাবুই বটে। আহা যেন সোণার ! ত্রিপরাসন্দেরী। আহা! এমন ছেলেও মারা যায় গা ? কি সব্বনাশ! কি সব্বনাশ ! আহা রমণীবাব আমাকে কত সম্মান করত, আমার বিলাসকামিনীকে ঠিক বোনের মত ভালবাসিত। হরসন্দরী। আহা! তার কথা মনে হলে এখনও চোখে জল আসে। রমণীবাব আমার নাড়গোপালকে কত কোলে করত, নাড় হাতে দিত, কত আদর করত ! আহা বাছারে, এমন সোণার চাঁদ ছেলেও মারা যায়! কৃষ্ণসন্দরী। আহা, মরে যাই! সে কথা তুলো না গো, সে কথা তুলো না। বাছা রমণী আমার ছেলের মত ছিল গো—আমার বড়বোঁ তাকে দেবর বলিয়া কতই ঠাট্টা করিত । আর সে ত এমন দেবর ছিল না—কাপড়খানি, গহনাখানি, বদ্ধমান থেকে কত খাজা, মেঠাই সব্বদাই আমার বড়বৌয়ের জন্য পাঠাইয়া দিত। আমার বড়বৌয়ের খোকা হবে খোকা হবে বলে কতই আহাদ করত ! তা বাছা খোকাকেও দেখিয়া গেল না! বামাসন্দেরী। তা সে খন ত পলিশে কিছ কিনারা করতে পারলে না, লাশ রাতারাতি জালিয়ে ফেলেছিল। এতদিন ত কেউ ধরতে পারেনি, এখন নাকি সন্ন্যাসী মন্ত্র পড়ে তাই বার করেছে! কত্তাবাব নাকি বড় ভয় পেয়েছেন, তাই সন্ন্যাসীর এত খোসামোদ ! এইরপে সমস্ত দিন ধরিয়া জমিদার-বাটীতে বড়গিন্নীর চরিত্র, যোগমায়ার চরিত্র, কত্তামহাশয়ের চরিত্র এবং সন্ন্যাসী ঠাকুরের চরিত্র লইয়া অনেক সমালোচনা হইতে লাগিল। সন্ধ্যার সময় দেবীপ্রসাদ পিতাকে বলিল,—বোধ হয় জমিদারমহাশয় আমাদের উপর আজি সদয় হইয়াছেন, আপনার প্রতুি সহৃদুতুল্য ব্যবহারু করিতেছেন। রমাপ্রসাদ। দেবী, তুমি ভুল বুঝিয়াছ। আজি জমিদারমহাশয় আমাদের পরম শত্র হইয়া দাঁড়াইয়াছেন,—সতকে থাকিও ৷ 88&” یافت. ○0