পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৫০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटन्नश्व ज्ञछनाबलौ দেবীপ্রসাদ। সে কি ? তিনি আমাদের আহারের জন্য দ্রব্যাদি পাঠাইতেছেন,-আমাদের সেবার জন্য দাস-দাসী রাখিয়াছেন। निबार्वै' তাঁহার দত্ত আহার সপশ করিও না,—তাঁহার দাস-দাসী,—আমাদিগকে পাহারা छन्... ! ऍछेनबि१श्च नब्रिटन्छ्न ६ कडिाकाङा बाशा যেদিন রমাপ্রসাদ গহিণীর সহিত সাক্ষাৎ ক্ষরিয়াছিলেন, তাহার পর হইতে কামিনীকান্ত জমিদারমহাশয়ের কেহ বড় দশন পাইত না। তিনি সব্বদাই ঘরের ভিতর থাকিতেন, গোপনে কি পরামর্শ করিতেন, বদ্ধমান ও কলিকাতায় লোক পাঠাইতেন, সব্বদা নানা দিক হইতে পত্র পাইতেন, নানা স্থানে পত্র পাইতেন। ভূতগণ বলিত,—জমিদারমহাশয় রক্ষসবভাব হইয়া গিয়াছেন, দাসীগণ বলিত-কত্তাবাবরে শরীর আধখানি হইয়া গিয়াছে। এইরুপে দই তিন মাস অতিবাহিত হইলে পর তালপুকুর হইতে সংবাদ আসিল, বদ্ধ তারিণীবাবর মৃত্যু হইয়াছে। আরও সংবাদ আসিল যে মৃত্যুর পরে তারিণীবাব রমাপ্রসাদ সরস্বতী ঠাকুরকে ডাকাইয়া পাঠাইয়াছিলেন, সরস্বতী ঠাকুর মন্মষের ঘরে সমস্ত রাত্রি ছিলেন : সন্ধা এবার শরতের সহিত পাবদেশে গিয়াছেন, শরৎ সেই দেশে বদলি হইয়াছেন, সতরাং বিন্দ একাকী জ্যেঠামহাশয়ের অনেক সেবাশুশ্রুষা করিয়াছেন। গোপী-জ্যেঠাই বিন্দর আসাযাওয়া ইচ্ছা করিতেন না, কিন্তু বাবরে কঠিন পীড়ায় মুখ ফুটিয়া কোনও আপত্তি করেন নাই। আরও সংবাদ আসিল যে মৃত্যুর সময়ে তারিণীবাবরে নিকট রমাপ্রসাদ ছিলেন,—সম্ভবতঃ সীকে উইল দ্বারা যে সম্পত্তি দান করিয়াছেন, সে উইল অন্যথা করিয়া সম্পত্তি বিন্দবোসিনীকে ও সন্ধাকে উইল করিয়া দিয়াছেন! এই সমস্ত কথা শুনিয়া কামিনীকাস্তবাব গজন করিয়া উঠিলেন ! সেদিন খাওয়া, ঘন্ম ত্যাগ করিলেন, সমস্ত দিন বসিয়া অতি গোপনে পরামর্শ করিতে লাগিলেন। তারিণীবাবর সম্পত্তিটুকু হেম ও শরৎকে না দিয়া আপাততঃ গোপবালার হস্তে রাখেন এবং ক্রমশঃ নিজে আত্মসাৎ করেন : অধক্ষমাচারী রমাপ্রসাদের উপরে কোনও প্রকারে বৈরনিযf্যাতন করেন ; উদ্ধত হেমকে একটা শিক্ষা দান করেন; ভাবী মকদ্দমায় একটা হলেস্থলে করিয়া আপন ক্ষমতা প্রচার করেন; সশীলা ও দেবীপ্রসাদের বিবাহ বন্ধ করিয়া আপন ধৰ্ম্মপ্রিয়তা ও দেশাচারপ্রিয়তা প্রকটিত করেন;—এইরুপ নানা চিন্তা ও প্রলোভনে বিষয়ী কামিনীকান্তের মন একেবারে বিপৰ্য্যস্ত ও ব্যতিব্যস্ত হইল! দুই প্রহর, আড়াই প্রহর, তিন প্রহর হইয়া গেল,—স্নান নাই, আহার নাই—কেবল ভৃত্যগণ ঘন ঘন তামাকু আনিয়া দিতেছে, এবং জিলিপির পাকের মত কামিনীকান্ত ও বন্ধবেগের মন্ত্রণার পাক চলিতেছে! সন্ধ্যার সময় উল্লাসপণ মুখে কামিনীকান্তবাব বারান্ডায় দাঁড়াইয়াছেন, দরে হইতে দেখিলেন, তালপুকুর হইতে রমাপ্রসাদ ফিরিয়া আসিয়াছেন। একট হাসিয়া মনে মনে বলিলেন-সন্ন্যাসী ঠাকুর! তুমি ভারি খেলোয়াড় । খুব এক চাল চালিয়া কিস্তি দিয়াছ! আমিও খেলার কিছ জানি,—আমিও এবার এক চাল চালিব-সাবধান! পরদিন প্রাতে সনাতনবাটীর জমিদার-গহ হইতে পালকী ও ঝি তালপুকুরে উপস্থিত হইল। জমিদার-গহিণী বলিয়া পাঠাইয়াছেন, তারিণীবাবর মন্ত্রী পতিশোকে বড় কাতর হইয়াছেন, তালপাকুরে তাঁহাকে দেখিবার শনিবার কেহ নাই, বিষয়রক্ষার পরামর্শ দিবারও কেহ নাই, সতরাং গহিণীর ইচ্ছা যে গোপবালা কয়েকদিন সনাতনবাটী গিয়া থাকেন। শোক একট হ্রাস হইলে, বিষয় শত্রুদিগের হস্ত হইতে নিরাপদ হইলে, গোপবালা পুনরায় নিজ গ্রামে আসিবেন। আর যদি যথার্থই তারিণীবাব উইল করিয়া বিষয় ভাইঝিদের দিয়া গিয়া থাকেন, তাহা হইলে ত সে বিষয় লইয়া একটা মকদ্দমা হইবেই। সনাতনবাটীর জমিদারমহাশয় সে মকদমায় নিরাশ্রয় বিধবার পক্ষ হইয়া যথেষ্ট সাহায্য করিতে সক্ষমত আছেন। এরপ দয়ার্দ্র জমিদারের নিমন্ত্রণে নিতান্ত সম্মানিত হইয়া গোপবালা সনাতনবাটী যাইলেন, তথায় অবস্থান করিতে লাগিলেন। দশ পনর দিন ধরিয়া পরামশ চলিতে লাগিল, বদ্ধমান হইতে গোকুলচন্দ্র আসিল, কামিনী

  • 8も 。