পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटभश्न ब्रफ़नावजी আমার মনে সন্দেহ হয়, সতরাং সেই পাত্ৰটী ও শিকড় যাহা অবশিস্ট ছিল তাহা দারোগা মহাশয়কে দিয়াছি। রমাপ্রসাদ অনেক রকম ঔষধ জানে, রোগীকে ভাল করিতে পারে, জীবন্ত মানুষকে মারিতেও জানে! উহার নিকট ঔষধের জন্য অনেক লোক আইসে ! সেই ঔষধপাত্র ও শিকড় পাওয়া ও ডাক্তার সাহেবের নিকট পাঠান সম্বন্ধে দারোগা বাব । স্বয়ং ও দই একজন কনেস্টবল জবানবন্দী দিল। তাহার পর ডাক্তার সাহেব জবানবন্দী দিলেন যে তিনি ঐ পারস্থ রস ও শিকড় পরীক্ষা করিয়াছেন, উহা শরীরের অতিশয় অপকারজনক। ঐ রস অধিক পরিমাণে খাইলে মনষ্যের মৃত্যু হইতেও পারে। শেষ সাক্ষী সনাতনবাটীর একজন ভদ্রলোক। তিনি বলিলেন,—তারিণীবাবরে লাশ দাহের সময় আমি ছিলাম। রমাপ্রসাদ ও হেমবাব আস্তে আস্তে কথোপকথন করিতেছিলেন। হেমবাব বলিতেছিলেন,—আজ কণ্টকোদ্ধার হইল, বিন্দর ও সাধার পিতৃকুলের সম্পত্তি বিন্দ ও সন্ধা ফিরিয়া পাইল। রমাপ্রসাদ উত্তর করিলেন,—বিষকচু চমৎকার ঔষধ,—উহার প্রয়োগে অনেক সফল ফলে। বাদীর পক্ষের প্রমাণ সাঙ্গ হইল। বেলা পাঁচটা বাজিয়াছে, প্রায় সন্ধ্যা হইয়া আসিয়াছে। মাজিস্ট্রেট সাহেব পরদিন চাঙ্গজ করিয়া আসামীর জবাব গ্রহণ করিবেন, আদ্য মকদ্দমা মুলতুবি রাখিয়া গান্নোথান করিলেন। আসামী পুনরায় হাজতে গেলেন। बफ़र्राबर्भ नब्रिटक्रम : भकन्मधा बिछाब्राशौन পরদিন ১১টার সময় পনরায় বিচারঘর লোকারণ্য, পুনরায় উকিলগণ উপস্থিত হইয়াছেন, আসামী রমাপ্রসাদ আসামীদিগের স্থানে দণ্ডায়মান হইয়াছেন, মাজিস্ট্রেট সাহেব বিচার-আসনে বসিয়াছেন। পেশকার একখানা চাজসিট প্রদান করিল,—সাহেব দণ্ডবিধি আইন খালিয়া দেখিতেছেন, কলম লইয়া নাড়াচাড়া করিতেছেন;— এমন সময় কাছারির বাহিরে একটা গোল হইল, একখানা গাড়ী আসিয়া দাঁড়াইল, গাড়ী হইতে দুইজন লোক নামিয়া অতি বেগে বিচারঘরে প্রবেশ করিলেন। একজনকে বদ্ধমানের উকিলগণ জানিতেন,—তিনি হাইকোটোর যশস্বী উকিল চন্দ্রনাথ ! মাজিস্ট্রেট সাহেব কলম রাখিয়া একবার তাঁহার দিকে দটি করিলেন, মনে মনে ভাবিলেন, এ আবার কোথা হইতে বিপদ আসিল ! উকিলের সঙ্গে হেমচন্দ্র;—রমাপ্রসাদ তাঁহাকে দেখিয়া আশ্বস্ত হইলেন। চন্দ্রনাথ সাহেবকে জানাইলেন,—আমি আসামীর পক্ষে উপস্থিত হইতেছি, বাদীর সাক্ষীদিগকে কটপ্রশ্ন করা হয় নাই, আদালত যদি অনুমতি করেন ত সে সাক্ষীদের ডাকিয়া একবার জেরা করিতে ইচ্ছা করি । মাজিস্ট্রেট। সাক্ষীরা কল্য প্রমাণ দিয়া চলিয়া গিয়াছে, তাহদের পনরায় তলব করিয়া মকদম্য-কাৰ্য্য বিলম্বব করিবার আবশ্যকতা নাই। মকদ্দমা দায়রায় বিচার হইবে, তুমি ইচ্ছা করিলে দায়রার বিচারের সময় জেরা করিতে পার। চন্দ্রনাথ। সাক্ষীরা চলিয়া যায় নাই, এই আদালতের নিকটেই বৰ্ত্তমান আছে। যদি অনুমতি করেন, আমি এখনই দেখাইয়া দিতেছি। জেরা করিতে আমার এক ঘণ্টার অধিক সময় লাগিবে না, অতি গরে অপরাধে দায়রায় প্রেরিত হইবার পাবে আসামী এই সামান্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করিতেছে! জেরার পর যদি মকদ্দমা দায়রায় পাঠান আবশ্যক বিবেচনা করেন, সে বিষয়ে আদালতের সম্পণে অধিকার। মাজিস্ট্রেট অগত্যা অনুমতি দান করিলেন। সনাতনবাটীর সাক্ষিগণ চলিয়া যায় নাই, কাছারির বাহিরে সনাতনবাটীর সদর নায়েব মহাশয়ের সহিত মিস্টালাপ করিতেছিল, এবং ধমপান করিতেছিল। তাহাদের পনরায় আনা হইল। প্রথম সাক্ষী ডাক্তারবাব। কটপ্রনে প্রকাশ হইল, তিনি ডাক্তারবাবা নহেন। কোনও কালে ডাক্তারী পড়েন নাই, কোনও পরীক্ষা দেন নাই, এক ডাক্তারখানায় কয়েক মাস কপাউন্ডার ছিলেন, শেষে মাতলামী দোষে সে কম টী হারান। এখন সনাতনবাটীতে থাকেন, লোকের '&n_