পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

閭 পবোত্ত যাবতী একটী সাদা পাথরবাটী করিয়া চিনিপাতা দই আমিরা দিল, এবং হেমচন্দ্রের পাতে দুইটা সন্দেশ দিল। চিনিপাতা দুই দেখিয়াই হেমবাবর মনে সন্দেহ হইল, আম্পাদন করিয়া যাবতীকে হাসিয়া বলিলেন,—বুঝেছি! আর ঘোমটায় কাজ কি ? ঘোমটাটী খোল। এই চিনিপাতা দই দিয়েই ধরা পড়িয়াছ । হাস্যমুখী সন্ধা তখন অভিমানের ভাণ করিয়া বলিলেন,—না গো না, ঘোমটা খলিতে ভয় করে। ঘোমটা দিয়েই "বেহায়া” হইলাম, না জানি ঘোমটা খলিলে কি হইবে ? হেমচন্দ্র অপ্রতিভ হইলেন, অনেক মিনতিদ্বারা স্য মান ভাঙ্গিলেন! শরৎ ও সাধার কথা জিজ্ঞাসা করাতে বিন্দ তখন বলিলেন,—আমি বদ্ধমানে আসিয়া শুনিলাম যে মকদ্দমা হইতে দই তিন দিন দেরী আছে। আরও শুনিলাম ষে মৈমনসিংহ হইতে এখানে দুই দিনে আসা যায়! সরস্বতী ঠাকুরের এ বিপত্তির সময় শরৎবাব আসিলে সাহেবদের বলিয়া কহিয়া হয় ত কোনরপে সাহায্য করিতে পারবেন, এইরুপ সাত পাঁচ ভাবিয়া আমি শরৎকে টেলিগ্রাম পাঠাইলাম। শরৎ টেলিগ্রাম পাইয়া অনেক জেদ করিয়া কর্তৃপক্ষীয়দিগের নিকট দশ দিন মাত্রের ছটা লইয়া সাধার সহিত বদ্ধমানে আসিয়াছেন। এই সমস্ত শুনিয়া হেমচন্দ্র তুষ্ট হইয়া বলিলেন,—এমন বৃদ্ধিমতী উকিল তালপুকুরে আছে জানিলে সরস্বতী ঠাকুর আমাকে বোধ হয় কলিকাতায় উকিল আনিতে পাঠাইতেন না। সরস্বতী ঠাকুর কে তাহা জান ? বিন্দ বলিলেন,—অনেক দিন জানি! হেমবাব বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,—সে কি ? তোমাকে কে বলিল ? ত্রিংশৎ বৎসর পর রমণীবাবকে গ্রামের কে চিনিল ? ভুলে—মেয়েমানুষে তাহা ভুলে না। এই যে আমি ঘোমটা দিয়াছিলাম, আর তুমি আমাকে চিনিতে পারলে না! পরেষের খাবার দিকেই মন, আমাকে ভুলিয়া অীবের অম্বলটা চিনিলে । মেয়েমানষে ত তেমন নয়, ত্রিংশৎ বৎসর পরও যোগমায়াদিদি রমণীবাবকে দেখিয়াই চিনিয়াছিলেন। নারী কি স্বামীকে কখনও ভুলিতে পারে ? সন্ধাহাসিনী খোকাকে কোলে করিয়া হেমবাবরে পাশ্বে বসিয়াছিলেন, তিনিও যো পাইয়া আবার একটু খোঁটা দিয়া বলিলেন–দিদি ! যোগমায়াদিদি রমণীবাবকে চিনিয়াছিলেন, তাঁহার সঙ্গে কথা কহিতেন, তাঁহার খাবার প্রস্তুত করিয়া দিতেন, তাহাতে রমণীবাব যোগমায়াদিদিকে “বেহায়া" মনে করেননি ত ? হেমবাব আজ দই ভগিনীর কাছে পরাস্ত হইলেন, দই বোন একত্র হইলে তাঁহাদের সহিত কথায় পারিয়া উঠা ভার! কথার কোন উত্তর না দিয়া বৃদ্ধিমানের মত কাঁচ অীবের অম্বলটুকু আর চিনিপাতা দইটুকু সমস্ত শেষ করিলেন! উনত্রিংশ পরিচ্ছেদ : যোগমায়ার দড়ীহার যোগমায়ার দশ বৎসর বয়ঃক্রমের সময় সনাতনবাটীর জমিদার-গহে রমণীবাবরে সহিত বড় ধুমধামের সহিত বিবাহ হয়। চতুন্দশ বৎসর বয়সের সময় হতভাগিনী স্বামীকে হারায় ! চতুদশ বৎসরের বধ স্বামীকে চিনিয়াছিল, স্বামীকে ভালবাসিতে শিখিয়াছিল, স্বামীর দেবতুল্য মুখচ্ছবি হৃদয়ে ধারণ করিতে শিখিয়াছিল। যৌবনের প্রারম্ভে যোগমায়া পতিকে হারাইলেন—তাহার পর সপ্তবিংশ বৎসর পর্যন্ত কেবলমাত্র পতির সেই দেবতুল্য মুখচ্ছবি হৃদয়ে ধারণ করিয়া শোকে, কম্পেট, পরের অত্যাচার ও অবমাননা সহ্য করিয়া, পতিপ্রাণা নারী প্রাণ ধারণ করিয়া ছিলেন। যে বৎসরে তালপুকুরে বিন্দরে জন্ম হয়, সেই বৎসরই সনাতনবাটী হইতে রমণীবাব দেশত্যাগী হয়েন, সতরাং বিন্দর অপেক্ষা যোগমায়া চতুদশ বৎসরের বড়। শাস্তহৃদয়া দুঃখিনী যোগমায়া সন্ন্যাসীর ঘরে একটা জল ছিটাইয়া ঝাঁট দিয়া গেলেন। রাত্রিতে যখন সন্ন্যাসী দীপ জালিয়া একাকী বসিয়া উন্নতস্বরে ধৰ্ম্মশাস্ত্র পাঠ করিতে বসিলেন, 8bra ماسه سساس