পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ ঃ পাপিঠে পাপিঠে TRY what repentance can ; what can it not 2 Yet what can it when one cannot repent 2 O wretched state ! O bosom black as death ! O limed soul that struggling to be free, Art more engaged. Help angels, make assay ! Bow stubborn knees' and hearts with strings of steel, Be soft as sinews of the new-born babe, All may be well. —Shakespeare. সতীশচন্দ্র বাহিরে আপন কক্ষে যাইলেন। ভূত্য প্রভুর সেবা করিতে আসিল, সতীশচন্দ্র তাহাকে মাটি প্রহার করিয়া বলিলেন,—শকুনিকে ডাক। ভূত্য বেগে প্রস্থান করিল। বাহিরের কক্ষ অতি প্রশস্ত ও অতি সন্দেররপে সজিত। গহতল অতি সচার চিত্রশোভিত বসে মন্ডিত; প্রতিদ্বারে, প্রতিবাতায়নে সুগন্ধ পাপমালা লম্বিত রহিয়াছে; স্থানে স্থানে স্তপোকারে পপ সজিত রহিয়াছে; সম্মুখে সুগন্ধ তৈলপণে দীপ জলিতেছে; দীপের চতুপাশ্বে আবার পম্পেগুচ্ছ সজিত রহিয়াছে। সতীশচন্দুের উপবেশন স্থান মহাহ রক্তবসের মণ্ডিত,—সেই সন্দের কক্ষে, সেই মহাহৰ্ণ আসনে উপবেশন করিয়া মহাবলপরাক্রান্ত, মহাধনসম্পন্ন, রাজাধিরাজ দেওয়ান সতীশচন্দ্র আজি বিষন্নবদন কেন ? পাঠক যদি আমাদের মত দরিদ্র লোক হয়েন, যদি ঈষাপরবশ হইয়া কখন “বিষয়ী” লোকের বিষয়ের দিকে নিরীক্ষণ করিয়া থাকেন, কখন যদি সতৃষ্ণ নয়নে রাস্তা হইতে উকি ঝুকি মারিয়া বাবর বৈঠকখানার ঝাড়লন্ঠনের প্রতি নয়নপাত করিয়া থাকেন, যদি কখন অথের আবাসস্থানকে সখের আবাসস্থান মনে করিয়া থাকেন, তবে আসন একবার লক্ষপতি সতীশচন্দ্রের অবস্থা দেখিয়া মন শাস্ত করি,-লোভ দরে করি। সতীশচন্দ্রের হৃদয় পাপে কলুষিত, পাপান্ধকারে আবত, সেই পাপরাশির মধ্যে একটীমার পণ্য ছিল—রিমলার প্রতি নিৰ্ম্মল অপত্যস্নেহ সক্ষম আলোক-রেখার ন্যায় সেই পাপান্ধকারের মধ্যে দেখা যাইত। কন্যাকে হৃদয়ের সহিত ভালবাসিতেন, কন্যাকে অতি স্নেহের সহিত লালনপালন করিতেন, সত্ৰীবিয়োগের পর অবধি কন্যার সহিত অনেক সময়ে বন্ধর মত ব্যবহার করিতেন, বিষয়-কমের কথাও কন্যার সহিত আলোচনা করিতেন, এই জন্যই কন্যাও কখন কখন পিতাকে বন্ধর মত উপদেশ দিতে সাহস করিতেন। বিমলাও অতিশয় স্নেহবতী কন্যা, পিতার সখবদ্ধান ভিন্ন তাঁহার আর কোন লালসা ছিল না। কিন্তু নিতান্ত স্নেহবতী হইয়াও বিমলা উন্নতচরিত্রা, ধৰ্ম্মপরায়ণা ও মানিনী ; পিতাকে কপটাচারী দেখিলে যৎপরোনাস্তি ক্ষুব্ধ হইতেন। আলোকের উদয়ে অন্ধকার লীন হয়, সত্যের ও সরলতার সম্মুখে পাপ ও কপটতা স্বভাবতঃ ভীত হয়, বিমলার সম্মখে সতীশচন্দ্র নিরক্তের হইতেন। সতীশচন্দ্রের চরিত্র কতদরে পাপে কলুষিত, তাহা বিমলা জানিতেন না; ভক্তিভাজন পিতার চরিত্রে যে অধিক পাপ আছে, তাহা বিমলার নিমলি অন্তঃকরণে একবারও স্থান পায় নাই; তথাপি পিতার আচার-ব্যবহার দেখিয়া সম্প্রতি বিমলার চিত্ত সন্দেহ-দোলায় দলিত হইয়াছিল ও সেই সন্দেহ তাঁহার যারপরনাই যাতনার কারণ হইয়াছিল। কখন কখন একটী ঘটনাতে, বা একটী কথাতে, বা একটী সঙ্গীতে, সহসা আমাদের হৃদয়ের কবাট খালিয়া যায়, সাগরতরঙ্গের ন্যায় অনন্ত চিন্তালহরীতে হৃদয় সহসা প্লাবিত হয়, বহনকালের * বিস্মত কথা সহসা স্মরণপথে উদয় হয়। স্নেহবতী কন্যার সস্নেহ তিরস্কার-বচনে যেন সেই প্রকার হইল। সতীশচন্দ্রের হৃদয়কেন্দ্র ব্যথিত হইল, সহস্ৰ চিন্তায় প্লাবিত হইতে লাগিল। পবেকথা স্মরণ হইতে লাগিল। শৈশবকলে যে খেলা করিয়াছিলেন, বাল্যকালে যে অধ্যয়ন సిసి