পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रट्न्यश्च ब्रफ़नावली ७काममा अब्रिटझ्न ? उन्न°ीब्रकिङ ट्नीकाञ्वाञौं How he heard the ancient helmsman Chant a song so wild and clear, That the sailing sea-bird slowly Poised upon the mast to hear Till his soul was full of longing, And he cried with impulse strong, “Helmsman for the love of heaven, Teach me, too, that wondrous song!” —Longfellow. গঙ্গানদীর উপর মঙ্গেরের ভীমকান্ত দাগ শোভা পাইতেছে। কল কল শব্দে গঙ্গার তরঙ্গমালা বহিয়া যাইতেছে, এক এক বার দাগের উপর বলে আঘাত করিতেছে,—আবার ফেনময় হইয়া দ্রুতবেগে বহিয়া যাইতেছে। কোথাও কোথাও তীরের মাত্তিকারাশি সশব্দে জলে পতিত হইতেছে, বারিরাশি কিঞ্চিলমাত্র কলুষিত ও চঞ্চল হইয়া পনরায় মহত্তমধ্যে আপন গম্ভীর রপে ধারণ করিয়া বহিয়া যাইতেছে। স্থানে স্থানে শত্র বালকোর চর দেখা যাইতেছে, সেই চরে নানাপ্রকার পক্ষী বিচরণ করে, কোথাও বা তরণীবাসিগণ অবতরণ করিয়া সায়ংকালের ভোজ্য পাক করিতেছে, সেই তরী হইতে অসংখ্য দীপ তারকাজ্যোতিঃরাপে বাঁহগত হইয়া গঙ্গার প্রশস্ত বক্ষে ঝকমক করিতেছে। আকাশেও ক্রমে ক্রমে দই একটী তারা দেখা যাইতেছে, গঙ্গাতীরে দুই এক জন উচ্চৈঃস্বরে গান করিতেছে, নগর ক্রমে নিস্তব্ধ হইয়া আসিতেছে। সেই গঙ্গাতীরে একজন যবোপর্ষ একাকী ভ্রমণ করিতেছেন, তিনি আমাদের পবেপরিচিত ইন্দ্রনাথ। ইন্দ্রনাথ অদ্যই মঙ্গেরে পাহছিয়াছেন, চিন্তায় মগ্ন হইয়া ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতেছেন। ইন্দ্রনাথ কি করিতে মঙ্গেরে আসিয়াছেন ? সমরসিংহের মৃত্যুর প্রতিহিংসা-সাধন-জন্য ! সত্য, কিন্তু সে প্রতিহিংসা কিসে সাধন হইবে ? আপনি আশ্রয়হীন, সহায়হীন, সম্পত্তিহীন, অপরিচিত লোক হইয়া কিরাপে সে প্রতিহিংসা সাধন করবেন ? রাজা টোডরমল্ল মঙ্গেরে আছেন, তাঁহার নিকট যাইয়া বিচার প্রাথনা করিলে হয় না? রাজা টোডরমল্ল এক্ষণে যুদ্ধসংক্রান্ত বিষয়ে মগ্ন, এক্ষণে কিরাপে তিনি অন্য বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিবেন ? বঙ্গদেশ এখনও জয় করিতে পারেন নাই, কিরাপে বঙ্গবাসীদিগের ন্যায় অন্যায় বিচার কারবেন ? আর যদিই বা সে বিচার করিতে এক্ষণে সক্ষম হয়েন, অপরিচিত লোকের কথায় বিশ্বাস করিবেন কেন ? মান্যবর দেওয়ানজীর বিরুদ্ধে একজন অপরিচিত জমীদারপত্র যাহা বলিবেন তাহা কি বিশ্বাসনীয় ? রাজা টোডরমল্ল বিচার করিতে সম্মত হইলেও ইন্দ্রনাথ এমন প্রমাণ কোথায় পাইবেন যে, সতীশচন্দ্রের উপর দোষারোপ হইবে ? আর সহসা দোষারোপ করা কি উচিত ? মহেশ্বর-মন্দিরে অপরিচিতা রমণী যাহা বলিয়াছেন, ইন্দ্রনাথ তাহা বিস্মত হয়েন নাই। সে রমণী যে মিথ্যা বলিয়াছেন তাহাও বোধ হয় না, কিন্তু তাঁহার কথা যদি সত্য হয়, তবে সতীশচন্দ্র নিরপরাধী। নিশ্চয় না জানিয়া কি সতীশচন্দ্রের উপর দোষারোপ করা উচিত ? আর সেই রমণী যাহার নাম করিয়াছিল, সে শকুনিই বা কে ? ইন্দ্রনাথ যত ভাবিতে লাগিলেন, ততই অধিকতর ইতিকৰ্ত্তব্যবিমুঢ় হইতে লাগিলেন। অনেকক্ষণ একাকী সেই গঙ্গাতীরে পদচারণ করিতে করিতে চিন্তা করিতে লাগিলেন, কিছই স্থির করিতে পারিলেন না। অবশেষে শ্রান্ত হইয়া সেই তীরে উপবেশন করিলেন । ভাবিলেন,—এক্ষণে কোন উপায় দেখিতেছি না; মঙ্গেরে কিছুদিন অবস্থান করা যাউক, সময় বঝিয়া কাৰ্য্য করিব। সহসা এক অপব বগীয় সঙ্গীতে ইন্দ্রনাথের চিন্তা ভঙ্গ হইল, তিনি চাহিয়া দেখিলেন, সেই বিস্তীণ জলরাশির চন্দ্রালোকোজবল বক্ষঃস্থলে একটী ক্ষুদ্র তরী ভাসমান রহিয়াছে, তাহার やりO