পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बक्रर्गब८छङा 4) তাহা অদ্যাবধি আমার হৃদয়ে অঙ্কিত রহিয়াছে। তিনি বলিলেন, “আমার পিতা, আমার পিতামহ, আমার প্রপিতামহ মেওয়ারের রাণার কার্য্য করিয়াছেন, আমিও সেই কাৰ্য্য করিব। দিল্লীশ্বর চিরকালই মেওয়ারের শত্রন, তাঁহার সহিত আমার সম্পক নাই। অথবা শুনিয়াছি আকবর চিতোর অধিকার করিবার জন্য উদ্যোগ করিতেছেন; যদি তিনি সেই উদ্যমে চিতোরে আইসেন তবে তিলকসিংহের সহিত তাঁহার একদিন সাক্ষাৎ হইবে।” বীর যে কথা বলিলেন, তাহা রক্ষা করিয়াছিলেন। যখন দিল্লীশ্বর চিতোর আক্রমণ করিলেন, তখন তিলকসিংহ সিংহবল প্রকাশ করিয়া চিতোর রক্ষার্থ জীবন দান করিলেন। সবয়ং দিল্লীশ্বর তাহা দেখিয়াছিলেন, তিনি স্বয়ং আমাকে সে কথা বলিয়াছিলেন। টোডরমল্ল অনেকক্ষণ নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন। ধীরে ধীরে বীর আকৃতি লান হইল; সেই স্থল দি এ সি আ ন পল সে আশ্রম মোচন করিয়া টোডরমল্ল ক ,-- , ইন্দ্রনাথ! প্রতাপসিংহ এক্ষণে আমাদের শত্র। শনিয়াছি তিলকের পত্র তেজসিংহ* এখন প্রতাপ সিংহের অধীনে যুদ্ধ করিতেছেন, যদি দিল্লীশ্বর আমাকে মেওয়ারে প্রেরণ করেন তবে বন্ধনপত্রের সহিত যুদ্ধ করিতে আমি সঙ্কুচিত হইব না। তথাপি শত্ররও যদি গণ থাকে সে গণ স্বীকার করা নিষিদ্ধ নহে, জীবনে পরম বন্ধ যদি বিধির বিড়ম্বনায় শত্রপক্ষীয় হয়েন, তাঁহার মৃত্যুর জন্য এক বিন্দ আশ্রম বিসর্জন করা নিষিদ্ধ নহে। পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ : অপরিচিত শত্র ও পরিচিত বন্ধ PRISONER pardon youthful fancies; Wedded ? if you can say no Blessed is and be your consort : Hopes I cherished, let them go –Wordsworth. টোডরমল্লের শিবির হইতে ইন্দ্রনাথ চিন্তা ও বিস্ময় ও খেদপণে হইয়া নিজ শিবিরে আসিলেন। একাকী নিজনে বসিয়া মেওয়ার ও প্রতাপসিংহ ও তিলকসিংহের কথা চিন্তা করিতে লাগিলেন। ইন্দ্রনাথ এইরুপ চিন্তা করিতেছিলেন, এমন সময়ে এক ভূত্য আসিয়া তাঁহার হস্তে একখানি পত্র দিল। পত্র খলিয়া একবার, দুইবার, তিনবার পাঠ করিলেন; মম গ্রহণ করিতে পারিলেন না। পত্রে এইরুপ লিখিত ছিল,— “তোমার বৃদ্ধিকৌশল দেখিয়া চমৎকৃত হইয়াছি। ভারতবর্ষে যাহাকে কেহ কৌশলে পরান্ত করিতে পারে নাই, তুমি তাহার চক্ষে ধলি দিয়াছ । আমরাও ঐ পথ অবলম্বন করিব, কেন না, ཧྥ གྲཱ་ཚཱུ་བཱ་ལ་ ཨ་ལ་ ཨ་ཨ ༦)” ཝ་༢, ཨཛི ཝ་ཟམ་ཁ། আদ্য এক প্রহর রজনীতে মশানঘাটে দেখা יין এ পত্রের কিছুই অথ"গ্রহণ করিতে পারিলেন না। “ভারতবষে যাহাকে কেহ কৌশলে পরাস্ত করিতে পারে নাই”—সে কে ? বোধ হয় রাজা টোডরমল্ল, কিন্তু তাঁহার চক্ষে ধলো কে দিয়াছে ? পতনোন্মুখ গহ কি ? ইন্দ্রনাথের বোধ হইতে লাগিল যে, কোন বিদ্রোহিকত্ত্বক এই পত্র লিখিত হইয়াছে, শমশানঘাটে যাওয়া কি কত্তব্য ? ক্ষণেক বিবেচনা করিয়া স্থির করিলেন, যাওয়ায় কোন হানি নাই, বরং কোন গুপ্ত বিষয়ের সন্ধান পাইতেও পারি। নিরাপিত সময়ে শমশানে উপস্থিত হইলেন। তাঁহার সঙ্গে কেহই নাই, অসিই তাঁহার একমাত্র সহায়। রজনী ঘোর তমসাচ্ছন্ন, আকাশ নিবিড় মেঘাচ্ছন্ন আকাশে নীলমেঘ উড়িতেছে; এক একখানি করিয়া সেই মেঘ পশ্চিম দিকে রাশীকৃত হইতেছে; সেই পশ্চিম দিক হইতে ক্ষণে

  • যাঁহারা তেজসিংহের বীরত্বের কথা জানিতে চাহেন তাঁহারা “জীবন-সন্ধ্যা” আখ্যায়িকা পাঠ করন ।

(ల్సి