পাতা:রমেশ রচনাবলী (উপন্যাস).djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रटभय ब्रफ़नावलौ -گلا ক্ষণে বিদ্যুৎ দেখা দিতেছে; বিদ্যুৎ-আলোকে মশানের ভয়ানক বস্তু সকল এক এক বার দেখা যাইতেছে। কোন স্থানে সম্প্রতি শবদাহ হইয়াছে, ভীমরাশির মধ্যে অগ্নি এক এক বার দেখা যাইতেছে; কোন স্থানে উজৰল অগ্নিশিখা চারিদিকে নিবিড় অন্ধকারকে উদ্দীপ্ত করিতেছে। সেই আলোক ও অন্ধকারের মধ্যে নানারপ ছায়া দেখা যাইতেছে, নিকটস্থ বাক্ষরাশির মধ্য দিয়া বায়বেগবশতঃ নানারপ অদ্ভুত শব্দ শ্রবণ-গোচর হইতেছে। সেই ছায়া দেখিয়া, সেই শব্দ শ্রবণ করিয়া ইন্দ্রনাথের স্বভাবতঃ সাহসী হৃদয়ও এক এক বার স্তম্ভিত হইতে লাগিল। কখন কখন দরে যেন ভয়ানক আকৃতি দেখিতে লাগিলেন, সেই দিকে গমন করিয়া কখন বা দেখেন ধামরাশি উত্থিত হইতেছে, কখনও বা বোধ হয়, যেন সেই আকৃতি ধীরে ধীরে যাইয়া বক্ষের অন্ধকারে লীন হইতেছে। গগনমণ্ডল ক্রমশঃই গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন হইয়া আসিল, বায় ক্রমশঃই ভীষণতর শব্দ করিয়া বহিতে লাগিল, গঙ্গার তরঙ্গ ক্রমশঃই ভয়ঙ্কর হইতে লাগিল। আকাশে নক্ষত্র মাত্র দণ্টিগোচর হইতেছে না, দরে শিবাগণ মহেমহিঃ বিকট শব্দ করিতেছে, যেন দর হইতে প্রেত ও পিশাচের অট্টহাসি শ্রত হইতেছে। যেদিকে নিবিড় জঙ্গল ছিল, সেই দিকে যেন বোধ হইল, দুইটী ভীষণ আকৃতি অন্ধকারে দেখা যাইতেছে। ইন্দ্রনাথ তাহা প্রথমে গ্রাহ্য করিলেন না, কিন্তু যতবার সেই দিকে নয়নপাত করেন, ততবারই সেই ভীষণ আকৃতি দেখিতে পাইলেন। ইন্দ্রনাথ সেই দিকে আগমন করিলেন, বোধ হইল, যেন সেই আকৃতিদ্বয় সহসা অদশ্য হইয়া যাইল। ইন্দ্রনাথ সে দিক হইতে প্রত্যাবত্তন করিলেন, বোধ হইল, যেন জঙ্গলের ভিতর হইতে আটহাসি শনিতে পাইলেন। তৎক্ষণাৎ আবার ফিরিয়া দেখিলেন, সেই দুই ভীষণ আকৃতি দণ্ডায়মান রহিয়াছে ! “ভগবান সহায় হউন!”—এই কথা বলিয়া ইন্দ্রনাথ অসিহস্তে ধীরে ধীরে সেই দিকে পুনরায় গমন করিলেন। অতিশয় সতকতার সহিত আকৃতিদ্বয়ের প্রতি নিরীক্ষণ করিতে করিতে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। জঙ্গলের নিকটে আসিতে না আসিতে আবার সেই আকৃতিদ্বয় অদশ্য হইল। আবার দরে হইতে সেই পৈশাচিক অট্টহাসি শ্রত হইল। "ভগবান সহায় হউন!" বলিয়া সেই জঙ্গলমধ্যে প্রবেশ করিলেন। সেস্থানে এরপ নিবিড় অন্ধকার যে, চারি হস্ত দরে কোনও দ্রব্যই লক্ষিত হয় না। ইন্দ্রনাথের সমস্ত শরীর কণ্টকিত হইয়াছে; ললাট হইতে ঘৰ্ম্ম বহির্গত হইতেছে। সেই হাসির শব্দ লক্ষ্য করিয়া যাইতে লাগিলেন। হঠাৎ তাঁহার শরীরের উপর যেন কে হস্ত স্থাপন করিল। ইন্দ্রনাথ চাহিয়া দেখিলেন, প্রেত নহে, তাহারা দই জন ছদ্মবেশী মনুষ্য। তাহারা ইঙ্গিত করিয়া ইন্দ্রনাথকে সঙ্গে সঙ্গে আসিতে বলিল ইন্দ্রনাথ তাহাদিগের সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন। সেই দুইজন মনষ্যের সহিত অনেকক্ষণ নীরবে যাইতে লাগিলেন। চতুঃপাশ্বে নিবিড় জঙ্গল ও নিবিড় অন্ধকার; নিঃশব্দে তিন জনে সেই অন্ধকারময় জঙ্গলের ভিতর দিয়া যাইতে লাগিলেন। অবশেষে গঙ্গাতীরে এক নিভৃত স্থানে উপবেশন করিলেন। তখন সেই অপরিচিত ব্যক্তিদ্বয় মুখমণ্ডল হইতে আবরণ খলিয়া লইল, ইন্দ্রনাথ তাহাদিগকে চিনিতে পারিলেন। তাহারা হমোয়ন ও তখান নামক রাজা টোডরমল্লের অধীনস্থ দুই জন সেনাপতি T . স্থিত ই বাল-ত মতে এই সকলে এখন আপনার কি o P হুমায়নে কিঞ্চিৎ হাস্য করিয়া বলিলেন-সেনানী ইন্দ্রনাথের সাহস পরীক্ষা করিতেছিলাম। ইন্দ্রনাথ। আমি আপনাদিগের নিকট পরীক্ষা দিতে যদি অসম্মত হই। হুমায়ন। তাহা হইলে বোধ করিব, আমরা যে অসমসাহসিক কায্যে নিযুক্ত হইয়াছি, সেনানী ইন্দ্রনাথ তাহা সমাধা করিতে অক্ষম। ইন্দ্রনাথ। কায্যকালে ইন্দ্রনাথ অক্ষম কি সক্ষম, তাহা অন্য লোক বিবেচনা করিবেন। শমশানভূমিতে পিশাচের সহিত যুদ্ধ করিলে কি সাহসের পরিচয় পাওয়া যায় ? হামায়নে। সেনানী ইন্দ্রনাথের যে অসাধারণ সাহস আছে, তাহা আমাদের শিবিরে অবিদিত নাই। তাঁহার পৈশাচিক সাহস আছে কি না, তাহাই পরীক্ষা করিতেছিলাম । পৈশাচিক কায্যে নিযুক্ত হইলে পৈশাচিক সাহস আবশ্যক হয়। ইন্দ্রনাথ। কি পৈশাচিক কায্যে নিযুক্ত হইয়াছি ? به হুমায়ন। তাহা কি জানেন না ? উপহাস করিতেছেন কেন ? আপনি যে কায্যের 8O