পাতা:রসমঞ্জরী - ভারতচন্দ্র রায় (১৮৫৩).pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রসমঞ্জরী।

হলো কোন কর্ম্ম, বুঝিতে নারিনু মর্ম্ম, অবশেষে ভাব্যা মরি হাত দিয়া নাকে লো। উঠিয়া পরিনু বাস, বান্ধিলাম কেশ পাশ, তোর দিব্য যদি আর কিছু মনে থাকে লো॥

অথ মধ্যা প্রগল্‌ভার ধীরাদি ভেদ।

 মান কালে মধ্যা প্রগল্‌ভার তিন ভেদ। বীরা অধীরা ধীরা ধীরা পরিচ্ছেদ॥ মুগ্ধার এ ভেদ নাই ভয় তার মূল। ক্রোধ হলে এক ভাব ক্রন্দন আকুল॥ প্রকারে প্রকাশে ক্রোধ যে জন সে ধীরা। সোজা সুজী যার ক্রোধ সে জন অধীরা॥ কিছু সোজা কিছু বাঁকা যার হয় ক্রোধ। ধীরাধীরা বলে তারে পণ্ডিত সুবোধ॥

অথ মধ্যা ধীরা।

 আজি প্রভু দড়দড়, বেশ বনায়্যাছ বড়, শ্বেত রক্তচন্দনের চাঁদ ভালে ধরেছ। মন দেখি ভাঙ্গা২, নয়ন হয়েছে রাঙ্গা, বুঝি কোন দোষ দেখি মোরে রোষ করেছ॥ তোমা বিনা প্রভু নাই, যাইবার নাহি ঠাঁই, কুমুদের চাঁদ যেন তেন মন হরেছ। অপরাধ ক্ষমা কর, নূতন চন্দন পর, এই লও নব মালা বাসী মালা পরেছ॥

অথ মধ্যা অধীরা।

 সোহাগ করিয়া নিত্য, বলহ আমার ভৃত্য, আজি দেখি একি কৃত্য, দর্পণেতে চাও হে। অধরে কজ্জল দাগ, নয়নে তাম্বুল রাগ, অলক্তাক্ত ভাল ভাগ, কার কাছে পাও হে॥ মোরে