পাতা:রসমঞ্জরী - ভারতচন্দ্র রায় (১৮৫৩).pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
রসমঞ্জরী।

অলিকুল, ফুটে নানা জাতি ফুল, গাইয়া প্রভুর গুণ রজনী পোহাইব। করিতে আমার তত্ত্ব, হইবে যাহার সত্ব, সেই বঁধু তারে দেখা সেই খানে পাইব।

অথ ক্রিয়া বিদগ্ধা।

সুখে শুয়ে পতি আছে, রামা বস্যে তার কাছে, ইশারায় উপপতি পিক ডাকে ডাকিল। রামা বলে হলো দায়, পাছে পতি টের পায়, না দেখি উপায় ভেবে স্তব্ধ হয়ে রহিল॥ কোকিল ডাকিছে হোর, কাম ভয়ে পাছে ঘোর, শ্রান্ত আছ নিদ্রা যাও বল্যা চক্ষু ঢাকিল॥ জাগ্রত আমার প্রিয়, কেন ডাক বনপ্রিয়, আর কি তোমারে ভয় বল্যা দুই রাখিল॥

অথ লক্ষিতা।

 পরপতি রতি চিহ্ন ঢাকিতে যে নারে। লক্ষিতা করিয়া কবিগণ বলে তারে॥

 আজি প্রভু দেশে এলে, রতি চিহ্ন কিসে পালে, সোহাগ পড়ুক মরে সতিপনা হরিলে। তুমি এলে বার্ত্তা পায়্যে, দেখিতে আইনু ধায়্যে, আছাড় খাইনু পথে সে তত্ত্ব না করিলে॥ মুখে বল দন্ত চিহ্ন, বুক বল নখে ভিন্ন, আলু থালু বেশ দেখে বুঝি লতা ধরিলে। নষ্ট হই দৃষ্ট হই, তোমা বিনা কার নই, কলঙ্ক এড়াবে নাহি সে জন না মরিলে॥

অথ গুপ্তা।

 হয়েছে হতেছে হবে পর সঙ্গে রতি। গুপ্তকরে যে জন সে জন গুপ্ত মতি॥