রসমঞ্জরী।
১৯
করিতে সম্বর, ঝাঁপিল তাহে তনু দামিনী। বদন সরসিজ গন্ধযুত মন, মোহিত সহচরী ভ্রমর শিশুগণ, তথি মলয়াচল গত মন্দ পবন, বাওল দ্রুত সখি যামিনী॥
অথ বিপ্রলব্ধা।
সঙ্কেত স্থানেতে গিয়া নাহি পায় পতি। বিপ্রলব্ধা তারে বলে পণ্ডিত সুমতি॥
তিল পরিমাণ নান, সদা করি অনমান, গুরুভয় লঘুভয় গোলা। গৃহ ছাড়ি ঘন বন, করিলাম আরোহণ, সিন্ধু তরিনু ধরি ভেলা॥ হরি হরি মরি মরি, উহু উহু হরি হরি, তবু নহে হরি সনে মেলা। পর দুঃখ পর শ্রম, পর জনে জানে কম, অপরূপ খল জন খেলা॥
অথ স্বাধীন ভর্তৃকা।
কোলে বস্যা যার পতি আজ্ঞার অধীন। স্বাধীন ভর্তৃকা তারে বলে সুপ্রবীণ॥
শুন শুন প্রাণ নাথ, নিবেদি হে যোড় হাত, পুরিল সকল সাধ কিছু শেষ রয় হে। বাঁধ্যা দেহ মুক্তকেশ, বনাইয়া দেহ বেশ, তুমি মোরে ভালবাস লোকে যেন কয় হে॥ দেখিয়া তোমার মুখ, অতুল হইল সুখ, পাসরিনু যত দুঃখ আছিল যে ভয় হে। যত কাল জীয়া রই, তোমা ছাড়া যেন নই, নিত্যান্ত করিয়া কই, মনে যেন রয় হে॥