অথ খণ্ডিতা।
অন্য ভোগ চিহ্ন অঙ্গে আসে যার পতি। খণ্ডিতা তাহার নাম বলে শুদ্ধমতি॥
আইস বঁধু দ্রুত হয়্যা, কেন আইস রয়্যা রয়্যা, মরিরে বালাই লয়্যা, কিবা শোভা পায়্যাছে। কপালে সিন্দুর বিন্দু, মলিন বদন ইন্দু, নয়ন রক্তের সিন্ধু, মোর দিগে ধায়্যাছে॥ অধরে কজ্জল দাগ, নয়নে তাম্বুল রাগ, বুঝি কেবা পায়্যা লাগ, মোর মাতা খ্যায়্যাছে। তোমার কি দোষ দিব, বাপ মায় কি বলিব, হরি হরি শিব শিব, যম মোরে ভুল্যাছে॥
অথ কলহান্তরিতা
কলহে খেদায়্যা পতি পশ্চাৎ তাপিতা। কবি গণে বলে তারে কলহান্তরিতা॥
ক্রোধে হয়্যা হতজ্ঞান, কৈনু তারে অপমান, এখন আকুল প্রাণ, দেখিতে না পাইয়া। ফুটিছে বিবিধ ফুল, ডাকে ভৃঙ্গ অলিকুল, সামালিব এই শূল, কার পানে চাহিয়া॥ কাতর হইয়া অতি, বিস্তর করিয়া নতি, চরণে ধরিল পতি, না চাহিনু ফিরিয়া। করিনু যেমন কর্ম্ম, ফলিল তাহার ধর্ম্ম, মরুক এমত মর্ম্ম, দুঃখে যাই মরিয়া॥
অথ প্রোষিত ভর্তৃকা।
পরবাসে পতি যার মলিনা বিরহে। প্রোষিত ভর্তৃকা তারে কবিগণ কহে॥