২৮
রসমঞ্জরী।
করে, আস্যাছিল বেশ ধরে, আমার বিলম্বে বুঝি ঘরে গেল ফিরিয়া। আসিয়া সঙ্কেত ঠাঁই, দেখিতে পাইল নাই, আহা মরি অন্য কেবা লয়্যা গেল হরিয়া॥
অথ স্বাধীনভার্য্য নায়ক।
তুমি প্রাণ তুমি ধন, তপ মন তুমি গণ, হৃদয়ে যে ক্ষণ থাক সেই ক্ষণ ভাল লো। যত জন আর আছে, তুচ্ছ করি তোমা কাছে, ত্রিভুবনে তুমি ভাল আর সব কাল লো॥ তোমার বদন চাঁদ, অচল চঞ্চল চাঁদ, আমার মোহন ফাঁদ অন্ধকারে আলো লো। করেছি বিস্তর সেবা, আজি মোরে সাজাইবা, আমার মাথার কিরা যদি মোরে টাল লো॥
অথ খণ্ডিত নায়ক।
আসিব বলিয়া গেলা, অন্য সঙ্গে হলো মেলা, শরীরেতে চিহ্ন আছে লুকাবে কি বলিয়া। মোর সঙ্গে কথা কয়্যা, বঞ্চিলা অন্যেরে লয়্যা, কতেক করিলা ভাব এ কান্তেরে ছলিয়া॥ ছিন্ন ভিন্ন দেখি বেশ, আলু থালু দেখি কেশ, দেখিয়া তোমার ভাব দেহ যায় জ্বলিয়া। কে সাধিলে মনোরথ, খণ্ডিয়া পিরীতি পথ, নিজ স্থানে যাও তুমি আমি যাই চলিয়া॥
অথ কলহান্তরিত নায়ক।
অল্প অপরাধ পায়ে, কেন দিনু খেদাইয়ে, এবে কার মুখ চায়ে, কাম জ্বালা সারিব। বিবেচনা নাহি করি, এখন ঝুরিয়া মরি, অনুমানে হেন বুঝি রহিতে না পারিব॥ পুনঃ দূতী পাঠাইব, প্রীতি করি আনাইব, সবে এক দোষ তাহে