পাতা:রসমঞ্জরী - ভারতচন্দ্র রায় (১৮৫৩).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রসমঞ্জরী।
৩৫

আর কর্ম্ম রেখা লেখা॥ সুগন্ধি ভূষণ মেঘ পিক ভৃঙ্গ রব॥ চন্দ্র আদি নানা মত উদ্দীপন সব॥

অথ বিভাবন।

 ভাব হাব হেলা হাস শোভা দীপ্তি কান্তি। মধুরতা উদারতা প্রগল্‌ভতা কান্তি॥ ধৈর্য্য লীলা বিলাস বিচ্ছিত্তি মৌগ্ধ্য ভ্রম। কিলকিঞ্চিৎ মোট্টায়িত কুট্টমিত শ্রম॥ বিব্বোক লালিত্য মদ চকিত বিকার। নানা মত অনুভব কত কব আর॥

অথ ভাবহাদির পরিচয়।

চিত্তের প্রথম যেই বিকার সে ভাব। গলা চক্ষু ভুরূ আদি বিকাশেতে হাব॥ বক্ষ কাঁপে বস্ত্র খসে তারে বলি হেলা। প্রিয় কৃত কর্ম্ম চেষ্টা তারে বলি লীলা॥ হাস সেই হাস্যে বলি বৃথা হয় যেই। পরিচ্ছেদ বিনা শোভা মধুরতা সেই॥ শোভা কান্তি দীপ্তি শ্রম ব্যক্ত আছে এই। শ্রমে অঙ্গ শ্লথ যেই কান্তি হয় সেই॥ রতি বিপরীত আদি সেই প্রগল্‌ভতা। ক্রোধেও বিনয় বাক্য সেই উদারতা॥ ধৈর্য্য সেই দুঃখেতে প্রেমের নহে হ্রাস। সাক্ষাতে প্রফুল্ল অঙ্গ সেই সে বিলাস॥ অল্প অভরণে শোভা বিচ্ছিত্তি সে হয়। বিভ্রম ব্যক্ত হলে বেশ বিপর্য্যয়। ক্রন্দনেতে হাস্য আর অভয়েতে ভয়। অক্রোধেতে ক্রোধ কিলকিঞ্চিৎ সে হয়॥ প্রসঙ্গেতে অঙ্গ ভঙ্গ সেই মোট্টায়িত। অঙ্গ ছুলে সুখে ক্রোধ সেই কুট্টমিত॥ বিব্বোক বাঞ্ছিত বস্তু পায়্যা অনাদর। অঙ্গভঙ্গ ঝনৎকার লালিত্যে সুন্দর॥ লজ্জায় না কহি কার্য্য চেষ্টায় জানায়। বিকার তাহারে বলে বুঝ অভিপ্রায়॥ জ্ঞাততে অজ্ঞান সম মৌগ্ধ্য সেইহয়া চকিত ভ্রমরাদি দর্শনেতে ভয়॥