পাতা:রসমঞ্জরী - ভারতচন্দ্র রায় (১৮৫৩).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রসমঞ্জরী।

তাম নাহি এত দায় হবে হে। মুখে দেখি শোষে মুখ, বুক দেখি কাঁপে বুক, মনে হতে মনে পড়ে কিসে প্রাণ রবে হে। কেবা ইহা সহিবেক, আমা হতে নহিবেক, ক্রুদ্ধ হও যদি নিজ ধন ফিরে লবে হে। যেবা তীর্থে নাইলাম, তারি পুণ্য পাইলাম, অতঃপর ক্ষমা দেহ আমারে না সবে হে॥

অথ বিশ্রব্ধ নবোঢ়া।

 স্তন দুটি করে ছাঁদ্যা, উরু দুটি ভুজে বাঁধ্যা, লাজে ভয়ে মুদিল নয়ন। প্রথমেতে নিরুত্তর, না না না তাহার পর, টাল টোল এখন তখন॥ যদি খায়্যা লাজ ভয়, ফিঞ্চিৎ সঞ্চিত হয়, তবে আর না যায় ধরণ। নবীন ভূষণ বাস, নব সুধা হাস ভাষ, নব রস কে করে গণন॥

অথ মুগ্ধার ভেদ।

 মুগ্ধার প্রভেদ দুই করিয়া বর্ণনা। অজ্ঞাত যৌবনা আর বিজ্ঞাত যৌবনা॥

অথ অজ্ঞাত যৌবনা।

 হইয়াছে যৌবন যার নহে অনুভব। অজ্ঞাত যৌবনা তাকে বলে কবি সব॥

 সখী সখী মেলি, ধাওয়া ধাই খেলি, হারে কহে যেন চোর। অন্যদিনে ধাই, সভা আগে যাই, আজি কেন হারি মোর॥ নিতম্ব হৃদয়, ভারী হেন লয়, চক্ষু কর্ণে পড়ে জোর। কটি দেখি ক্ষীণ, খস্যা পড়ে চীন, বাড়ে ঘাগরার ডোর॥