রসমঞ্জরী।
৭
অথ বিজ্ঞাতযৌবনা।
নিজ নবযৌবন যে ব্যক্ত করে ছলে। বিজ্ঞাত যৌবনা তাকে কবিবর বলে॥
দেখিলাম ঘরে ঘরে, সকলে কাঁচলী পরে, নানা বর্ণে উড়ায় উড়ানী। পরিহাস্য জন যত, নানা ছলে কহে কত, বাহির হয়্যা হইল পোড়ানী॥ দেহের কি কব কথা, সকল শরীরে ব্যথা, কত শত বিছার জ্বলনী। তোরে বলি প্রিয়সই, লাজে কারে নাহি কই, পাছে জানে জনক জননী॥
অথ মধ্যা।
লজ্জা আর রতি আশা সমান যাহার। রসিক পণ্ডিতে কহে মধ্যা নাম তার॥
রতি রসে কৃতীপতি, মোরে ভাল বাসে অতি, দেয় নিজাঙ্গুরী কণ্ঠমালা। আঁখি আড়ে নাহি রাখে, সদা কাছে কাছে থাকে, সুখ বটে কিন্তু একজ্বালা॥ নখাঘাত দেখি বুকে, দন্ত চিহ্ন দেখি মুখে, সখী হাসে কর্ণে লাগে তালা। শয্যা ঠেকি এই দোষে, না শুইলে পতি রোষে, শরীর হইল ঝালাপালা।
অথ প্রগল্ভা।
প্রগল্ভা সে রতি রসে পূর্ণ আশা যার। রতি প্রীতি আনন্দেতে মোহ হয় তার॥
শুন শুন প্রিয় সই, রাত্রির কৌতুক কই, শুয়্যা ছিনু পতি সঙ্গে নানা সুখ তাকে লো। প্রকৃত কর্ম্মের বেলা, মোহে দোঁহে হলো মেলা, এ কর্ম্মেতে কত সুখ বুঝিবার পাকে লো। কিন্তু