পাতা:রাকা - ভুজঙ্গধর রায় চৌধুরী.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مه او মানসী-( আষাঢ় ১৩১৯ ) ‘গোধূলির’ নামকরণ যথোচিত হইয়াছে। দিবাবসানে গোধূলি বেলায় যখন পশ্চিমাকাশ রক্তবর্ণ হইয়া উঠে, বিহঙ্গমগণ একে একে আপনি কুলায়ে ফিরিয়া আসে, এবং ক্রমে ক্রমে তাহদের কলধ্বনি ধীরে ধীরে মিলাইয়া যায়, যখন পৃথিবীর জড় ও চেতন উভয় প্রকৃতি মিলিয়া একটি শান্ত নীরবতা ও গাম্ভীৰ্য্যেয় সৃষ্টি করে, তখন মানব-মন ধীরে ধীরে যেমন, হয়ত আপনার অলক্ষো, ভগবানের চরণতলে লুটাইয়া পড়ে,-“এই গ্ৰন্থ পাঠ করিতে করিতে আমরা সেইরূপ অনুভব করিয়াছি। ‘গোধূলির ভিতর এমন একটি শান্ত, সংযত বিশ্ব-প্রেমের ফন্তুধারা প্রবাহিত আছেযাহা পাঠ করিয়া চিত্ত স্বতই বিমল আনন্দ-রসে উচ্ছসিত হইয়া উঠে । উদ্বোধন-(বৈশাখ ১৩১৯ ) ‘গোধূলি’ পড়িয়া অনেক দিন পরে সাহিত্যে কবিত্বের রসাস্বাদ পাইলাম। (বৈশাখ ১৩২১) “ছায়াপথ” পড়িতে পড়িতে বাস্তবিকই মনে হয়-যেন আমরা অজ্ঞাত এবং অনাস্বাদিত অথচ একমাত্ৰ লক্ষ্য কোনও এক মহান রাজ্যের পথ বাহিয়া চলিয়াছি। কবিতার আন্তরিকতার প্রমাণ ইহা হইত্নে । সুচিত হইতেছে। ভাষা ভাবানুযায়ী অতি মধুরই বাজিয়াছে। সর্বোপরি কবিতাগুলিতে একটা স্বাতন্ত্র্যের, একটা আত্ম-নির্ভরতার আভাস বৰ্ত্তমান । আধুনিক যুগে এইরূপ স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখিয়া কবিতা রচনা রচয়িতার কবিত্বশক্তির নিদর্শন, সন্দেহ নাই । হিন্দু পত্রিকা-( অগ্রহায়ণ ১৩১৮) ‘গোধূলির কবিতার ভিতর দিয়া অনাবিল সৌন্দৰ্য্য, নির্দোষ ধৰ্ম্মভাব, সুক্ষ্ম আধ্যাত্মিক তত্ত্ব এবং দেব রাজ্যের ভাব-সম্পৎ কবি বঙ্গবাসীকে উপহার দিয়াছেন । ( বৈশাখ ১৩২১) “ছায়াপথের” কবিতায় কৰ্ম্ম, জ্ঞান, যোগ, ভক্তি সকল সাধনাই যেন ফুটিয়া উঠিয়াছে। ভুজঙ্গাধর বাবুর কবিতায় আমরা মুগ্ধ হইয়াছি । ভারত-(চৈত্র ১৩২০ ) ভুজঙ্গধর অনন্য সাধারণ প্রতিভার অধিকারী। “ছায়াপথে” উৰ্ত্তাহার কবিতা লেখা সার্থক হইয়াছে। ইচছা হয় এই গ্রন্থের মধ্যে গ্ৰন্থকারের প্রতিভা-বিজলি যে অপরূপ ভাবে খেলিয়াছে, তাহা ভাল করিয়া দেখাই, কিন্তু বড়ই স্থানাভাব । আৰ্য্যাবৰ্ত্ত— (পৌষ ১৩১৮) “গোধূলি’ কাব্যের বিশেষত্ব ইহার অন্তমুখিতা।। ইহাতে বৈচিত্ৰ্যময় বহির্জগৎ হইতে ধ্যান-পরায়ণ কবির অন্তর্জগতে প্ৰবেশ লাভের ইতিহাস বর্ণিত হইয়াছে । ঢাকা রিভিউ-(জ্যৈষ্ঠ ১৩২১ ) ‘গোধূলিতে’ কবির পরিপাট ভাষা বিষ্ঠাস যেমন একদিকে সন্ধ্যারতির ঘণ্টা-নিনাদের মত নশ্বরকে ভুলইয়া দিয়া মুহূৰ্ত্তেকে অনন্তে পরিণত করে, অপর দিকে তেমনি ইহার আধ্যাত্মিকতার দীপ্ত মাধুরী প্রজ্ঞানের, পৰ্ক প্ৰদীপ জ্বালাইয়া দেয়। এই কাব্যে আমরা রূপের মধ্যে ধূপের গন্ধ পাই, “সৌন্দৰ্য্য যেন সুমনসের মত সৌগন্ধে তন্ময় করে। अभूङ दख्रांद्र °ांख्रिक-( 5. 3, 19I4) The name Godhuli' or “Twilight given to the volume before us has been by no neas