পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* † in রাজপুত জীবন-সন্ধ}} ।


----.--م

দুর্গদ্বার উদঘাটন করিবার আদেশ দিলেন । দ্বিশতমাত্র চন্দাওয়ং লইয়া তুৰ্দ্দমনীয় তেজে সহসা পঞ্চশত মোগলকে আক্রমণ করিলেন, সহসা আক্রাস্ত মোগলগণ সে সরোষ আক্রমণে ছিন্ন ভিন্ন হইয়া পৰ্ব্বত হইতে অবতরণ করিয়া পলাইল । অসমসাহসী চন্দাওয়ং পুনরায় দুর্গে প্রবেশ করিয়া দ্বার রুদ্ধ করিলেন, চন্দাওয়তের বীরত্ববশে দুর্গ পরিপূরিত হইল । এইরূপ পরস্পরে পরস্পরের বীরত্বে যেন ক্রুদ্ধ হইয়াই অসা ধারণ সাহসের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন । রজনীতে শয্যা তুচ্ছ করিয়া চন্দ্রালোকে বা মশালের অলোকে উভয়ে প্রাচারের উপর পদচারণ করিতেন, শক্রসেন। লক্ষ্য করিতেন, শত্রুর আক্রমণ প্রতীক্ষা করিতেন, আপন আপন সৈন্তগণকে সাহস দান করিতেন । শক্রগণকে অসতর্ক দেখিলেই উভয়ে মিলিত হইয়। নৈশ আক্রমণে শক্রসেনা ছারখার করিতেন, ভ্রাতার ন্যায় একের পাশ্বে অন্তে যুদ্ধ করিতেন, উভয়েই অগ্রসর হুইবার চেষ্টা করিতেন, কেহই অন্য অপেক্ষ অগ্রসর হইতে পারতেন না। শক্রসেনা ছারখার করিয়া চন্দাওয়ৎ ও রাঠোর একত্রে দুর্গে প্রবেশ করিতেন, পরিশ্রান্ত তেজসিংহ ও দুজ্জয়সিংহ প্রাচীরের উপর একই স্তানে উপবেশন করিয়া সামান্ত রুট ও অপরিস্কার জলে ক্ষুৎপিপাসা নিবৃত্তি করিতেন, পরে যখন পূৰ্ব্বদিক্ রক্তিমাচ্ছটায় রঞ্জিত হুইত, সেই প্রস্তরনিৰ্ম্মিত প্রাচীরের উপর ভ্রাতৃদ্বয়ের ন্যায় দুইজন পরম শত্রু নিঃসঙ্কোচে নিশ্চিন্তভাবে নিদ্রা যাইতেন ! - রাজপুত-ইতিহাসের প্রারম্ভ হইতে শেষ পর্য্যন্ত পাঠ কর, কপটাচারীতার পরিচয় নাই, সত্যভঙ্গের পরিচয় নাই, পরম