পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ¢ : ও শক্রবেষ্টিত হইয়। তখনও অসুর বীৰ্য্যে প্রাসাদ রক্ষ। করিতেছে । প্রাসাদের শেষ কুটীরে দুৰ্জ্জয়সিংহের সহিত তেজসিংহের সহসা দেখা হইল, উভয়েই খঙ্গহস্ত, উভয়েই রক্তাল্পত ! তেজসিংহ ঈষৎ চিন্তা করিয়া কহিলেন,—দুজ্জয়সিংহ ! চন্দাওয়ৎ রাঠোরের বীরত্ব দেখিয়াছে, রাঠোর চন্দাওয়তের বীরত্ব দেখিয়াছে, আর যুদ্ধ নিষ্ফল, এ যুদ্ধে জীবনদান করাও নিস্ফল। কিন্তু অদ্য আমরা রক্ষা পাইলে মহারাণার অন্য কাৰ্য্য সাধন করিতে পারিব । দুজ্জয়সিংহ। মহারাণার কার্য্যসাধন রাজপুতের প্রথম কৰ্ত্তবা, কিন্তু অদ্য পরিত্রাণ পাওয়ার কি পথ আছে ? তেজসিংহ ধীরে ধীরে একটা গবাক্ষের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া কহিলেন—শুনিয়াছি, ঐ গবাক্ষ দিয়া একজন রাঠোর বালক লম্ফ দিয়া হ্রদে পড়িয়াছিল, পরে সস্তরণ দ্বারা জীবন রক্ষা করিয়াছিল । রাঠোর বালক যাহা করিয়াছিল, চন্দাওয়ৎ যোদ্ধা বোধ হয় তাহা করিতে পারেন । লজ্জায়, রোষে, পূৰ্ব্বকথা স্মরণে দুৰ্জ্জয়ের মুখ রক্তবর্ণ হইল, হস্তের অসি কঁাপিতে লাগিল । রোষে পদাঘাত করিয়া সে গবাক্ষ বিদীর্ণ করিয়া লম্ফ দিয়া হ্রদে পড়িলেন । তেজসিংহ ও সে গবাক্ষ দিয়া হ্রদে পড়িলেন, উভয়ে সস্তরণ দ্বারা হ্রদ পার হইলেন। স্বৰ্য্যমস্থল শক্র হস্তগত হইল । রাজপুত জীবন-সন্ধ্য।