পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ ¢ ) রাজপুত জীবন সন্ধ্য। সভার মধ্যে সাহসী ও সন্মানিত যোদ্ধা মহারাণার পত্র হইতে ফল বা অtহারীয় দ্রব্য প্রাপ্ত হইতেন, তাহাকে “ছন।” কহিত। প্রতাপসিংহ অদ্য কাহাকে “ছন।” দিবেন, স্থির করিবার জন্য চারিদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন । তাহার পাশ্বে পুত্র অমরসিংহ বসিয়াছেন, অল্পবয়সেই শত যুদ্ধে বীরত্ব প্রকাশ করিয়াছেন। প্রতাপ তাহাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন—অমরসিংহ, এই ঘোর বিপদ কালে তুমি বীরের শিক্ষা শিখিতেছ, বীরের কার্য্য সাধন করিতেছ ! কিন্তু অদ্য অন্য এক যোদ্ধা আমার খাদ্যের ভাগগ্রাহী । কিছুদূরে দুৰ্জ্জয়সিংহ ও তেজসিংহকে দেখিয়া বলিলেন— চন্দাওয়ৎ ও রাঠোর! ধন্য তোমাদের বীরত্ব, ধন্য তোমাদের স্বামীধৰ্ম্ম । তোমরা উভয়েই আমার জন্য জীবন পণ করিয়tছ উভয়েই বিপদের সময় রাজপরিবারকে স্থান দিয়tছ, উভয়েই ভ্রাতৃদ্বয়ের ন্যায় পরস্পরের পাশ্বে দাড়াইয়া বহু শক্রকে তুচ্ছ জ্ঞান করিয়াছ। তোমরা উভয়েই অতুল্য বীর, কিন্তু অদ্য অন্য এক যোদ্ধা আমার খাদ্যের ভাগ গ্রাহী। সম্মুখে প্রাচীন যোদ্ধা দেবীসিংহ বসিয়াছিলেন, তাহাকে সম্বোধন করিয়া মহারাণী কহিলেন-দেবীসিংহ ! এ কাল সমবে তুমি আমার জন্য সৰ্ব্বস্ব হারাইয়াছ, তোমার বীরত্ব, তোমার স্বামীধৰ্ম্মের পুরস্কার কি দিব ? এ বাল যুদ্ধে তুমি দুর্গ হারাষ্টয়াছ, বীর পুত্র হারাইয়াছ, পরিবার কুটুম্ব সমস্ত হারাইয়াছ তথাপি খড়গহন্তে পৰ্ব্বতে পৰ্ব্বতে আমার " সঙ্গী হইয়। ফিরিতেছ। প্রতাপসিংহ অনেক ক্লেশ সহ করিতে শিখিয়াছে, কিন্তু তোমার ন্যায় স্বামীধৰ্ম্মরত যোদ্ধার এ অবস্থা দেখিলে