পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ –আহেরিয়া। ጏ❖ বায়ুবেগে কণ্টক ও তরঙ্গিণী অতিক্রম করিতে লাগিলেন, মই নোদে বন পরিপূরিত করিতে লাগিলেন । দুজ্জয়সিংহ উন্মত্তের স্থায় অশ্ব ছটাইলেন, তাহার দক্ষিণ হস্তে দীর্ঘ বর্ষা কম্পিত হইতেছিল । • . পুনরায় বরাহ লুকাইল, পুনরায় বাহির হইয়া পলাইল, আবার লুকাইল । দিব। অবসান হইল, সন্ধ্যার ছায়া ক্রমে গাঢ়তর হইতে লাগিল, অশ্বারোহিগণ শ্রেণীভঙ্গ হইয়া ছিন্ন ভিন্ন হইয়া পড়িল । কেহ নিকটে, কেহ দূরে, কেহ প্রান্তরে, কেই নিবিড় বনে, বরাহ অনুসন্ধান করিতেছেন । দুজ্জয়সিংহ একাকী একটা বনের মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছেন । তাহার অশ্বের শরীর ফেণময়, তাহার ললাট হইতে ঘৰ্ম্ম পড়িতেছে, কিন্তু তাহার নয়ন স্তির, শত যোদ্ধামধ্যে তিনিই কেবল বরাহের গতি অবিচলিত নয়নে নিরাক্ষণ করিয়াছিলেন । অন্ধকারে বরাহ সকলের পক্ষে নিরুদ্দেশ হুইয়াছে, তাহার পক্ষে হয় নাই । তিনি যে জঙ্গলের দিকে স্থির নিরীক্ষণ করিয়াছিলেন, বাস্তবিক তথায়ই বরাহ নিহিত ছিল । এবার বরাহ ও রুষ্ট হইল । অদ্য এক প্রহর কাল জঙ্গল হইতে জঙ্গলে, গহবর হইতে গহবরে লুকাই য়া প্ৰাণ বাচাইয়াছে, তথাপি একজন যোদ্ধা অব্যৰ্থ নয়নে তাহার পশ্চাধাৰন করিয়াছে। সন্ধ্যার সময় ঝোপের ভিতর লুকাইয়াছে, সেই একজন যোদ্ধ। তাহ কে হনন করিবার জন্য দণ্ডায়মান আছে। একেবারে ಇಘ್ತ್ಯಳಿತT গতিতে বরাহ দুজ্জয়সিংহকে আক্রমণ করিতে আসিল । কুজ্জয়সিংহ বামহস্তে ললাটের স্বেদ মোচন করিয়া লম্বমান কেশ সরাইলেন, তীব্র দৃষ্টি করিয়া দক্ষিণ হস্তের কম্পমান বর্ষ। Α