পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুস্ত্রশ পরিচ্ছেদ-অঙ্গুরীয় ও রত্ন । כיכס ভীলকন্যার সরলতা দেখিয়া পুষ্প কোন উত্তর করিলেন না, ধীরে ধীরে সেই চাপাকুলটী পাড়িয়া ভালের হস্তে দিলেন । ৰাল্যচপল তা ত্যাগ করিয়৷ গম্ভীরস্বরে ভীলকন্যা বলিল--কল্য পুস্পকুমারী আপন রত্ব ফিরিয়া পাইবেন । পরদিন উষার রক্তিমছুট। পূৰ্ব্বদিক্ রঞ্জিত করিয়াছে, এরূপ সময়ে পুষ্প কুমারী রত্বটা ফিরিয়া পাইলেন : স্বর্য্যমঙ্গলের অধিপতি তেজসিংহ পুষ্পকুমারীর নিকট সজলনয়নে ক্ষমা-প্রাথন করিতেছেন । পুষ্পের ক্ষীণ হস্ত দুইট নয়ন জলে সিক্ত করিয়া ক্ষম। প্রার্থনা করিতেছেন ! সবিস্ময়ে পুষ্পকুমারী দেখিলেন, স্থৰ্য্যম হল-চৰ্গেশ্বর সেই দেবকান্তি দীর্ঘ কায় চারণদেব! উল্লাস ও উদ্বেগে পুষ্প সংজ্ঞাশুন্য হইলেন, তেজসিংহ পুষ্পের নিশ্চেষ্ট কম্পিত কলেবর আপন বিশাল হৃদয়ে ধারণ করিলেন । - তেজসিংহের সহিত মহাসমারোহে পুষ্পকুমারীর বিবাহ হইল, স্বয়ং মহারাণা সে বিবাহ-সভায় উপস্থিত হইলেন, স্বয়ং মহারাজ্ঞী পুষ্পকুমারীকে সাদরে আলিঙ্গন করিষা তাহার গলদেশে আপনার মুক্তাহার দোলাইয়া দিলেন। সে মুখের রজনী কে বর্ণনা করিতে পারে ? সে ভূষিত হৃদয়ের প্রথম মুখের উচ্ছ,সি কে বণিতে পারে ? তেজসিংহ সেই পুষ্পৰিমিন্দিত দেহ নিজ হৃদয়ে ধারণ করিয়া, সেই স্বল্প ওষ্ঠ ঘন ঘন চুম্বন করিয়া কছিলেন-পুষ্প । পুষ্প ! একদিন তোমাকে অন্যায় সন্দেহু করিয়া ক্লেশ দিয়াছিলাম, তেজসিংহেরু সে দোষ তুমি ক্ষমা করিয়াছ ? পুষ্পকুমারী সৎ লনয়নে কহিলেন-দেব ! তোমার দোষ