পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ—অঙ্গুরীয় ও রত্ন । *: . --്.ണ്ട.--ജ= দিন বালিকা পুষ্পের বক্ষঃস্থল হইতে সেই অঙ্গরীয়টা লইয়াছিল । পুষ্প তখন নিদ্রিত ছিল। “বালিকা মনে করিল, পুষ্পের হাতে পাঁচটা অঙ্গলী, বালিকার হাতে পাঁচটা অঙ্গুলী ; পুপ যদি অঙ্গরীয় পরিতে পারে, বালিকা তাহার অধিকারিণী নহে কেন ? যে ভীল ও রাজপুতকে গড়িয়াছে, সে ত এক প্রকারই গড়িয়াছে ; তবে পুষ্প যাহার অধিকারিণী, ভালবালা তাহার অধিকারিণী নহে কেন ? “কিন্তু আমি বালিক, আমার বুঝিতে ভূল হইয়াছে। তেজসিংহ বাগানের ফুল ভাল বাসেন, বনফুল ভালবাসেন না। সেদিন রাত্রে বাগানের ফুলগুলি লইয়া বুঝি ভূমি পুষ্পকে অঙ্গীয় দিয়াছিলে ? আমার বনের ফুল, এই জন্ত বুঝি আমাকে কিছু দাও নাই ? আমি বালিকা, সকল কথা বুঝিতে পারি না । "আজ সন্ধ্যার সময় পুষ্পকে দেখিতে গিয়াছিলাম, মনে করিয়াছিলাম, তার কাছে ছুটী বাগানের ফুল চাহিয়া লইব । সে বলিল, তুমি তাহাকে অঙ্গরীয়টা দিয়াছিলে, তাহার সঙ্গে একটা রত্ন দিয়াছিলে। আমি অঙ্গ রয়ট পাষ্টয়াছি, কৈ রত্নটী ত পাই নাই । - “পুষ্প বলিল—অঙ্গরীয় অপেক্ষ রত্নটা উজ্জ্বল। তবে আমার এই অঙ্গরীয় রাখিয়া কি হইবে ? এই পত্র যাহাদ্বার পাঠাইতেছি তাহার দ্বারা অঙ্গর ও পাঠাইতেছি, পুষ্পের দ্রব্য পুষ্পকে ফিরাইয়া দিও। “পুষ্পকে রত্নটা ফিরাইয়া দিব বলিয়াছিলাম, কিন্তু