পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*: রাজপুত জীবন-সন্ধা। রাজপুতের বিশেষ কৰ্ত্তব্য, কেননা তিনি যোদ্ধা, মেওয়ারের এই বিপদকালে তিনি স্বজাতির উপকার করিতে পারেন। সামান্ত পরিচ্ছদধারী অপরিচিত লোকের নিকট এইরূপ বাক্য শুনিয়া দুৰ্জ্জয়সিংহ ঈষং বিস্মিত হইলেন ; জিজ্ঞাসা করিলেন—আপনার নাম জিজ্ঞাসা করিতে পারি ? যুবক বলিলেন—পরে জানিবেন, এক্ষণে শ্রাস্ত হইয়াছেন, কুটীরে আসিয়া কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করুন । দীর্ঘাকার বলিষ্ঠ যুবক ধীরে ধীরে অগ্ৰে যাইতে লাগিলেন, দুৰ্জ্জয়সিংহ পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। অন্ধকার রজনীতে বনপথের ভিতর দিয়া দুইজন যোদ্ধা নিস্তন্ধে যাইতে লাগিলেন। দুজ্জয়সিংহ দুৰ্ব্বল পুরুষ ছিলেন না, কিন্তু অপরিচিতের দীর্ঘ ও ঋজু অবয়ব, বিশাল বক্ষঃস্থল, দীর্ঘ ও বলিষ্ঠ বাহু এবং ধীরগম্ভীর-পদবিক্ষেপ দেখিয়া বিস্মিত হইলেন । এরূপ উন্নতকায় পুরুষ তিনি দেখেন নাই, অথবা কেবল আট বৎসর পূৰ্ব্বে একজনকে দেখিয়াছিলেন । # ক্ষণেক পর যুব সহসা দণ্ডায়মান হইয়া বলিলেন—এক্ষণে আমার একটী অনুরোধ আছে, কারণ জিজ্ঞাসা করিবেন না। আপনার উষ্ণাষ দিয়া আপনার নয়ন আবৃত করুন, পরে আমি আপনার হস্ত ধারণ করিয়া লইয়া যাইব । যদি অস্বীকৃত হয়েন এই স্থানে বিদায় হইলাম । দুর্জয়সিংহ আরও বিস্মিত হইলেন, কিন্তু যুবকের মুখের ভাব দেখিয়া বুঝিলেন, অস্বীকার করা বৃথা। বিবেচনা করিলেন, যুবক কখনই আমার অনিষ্ট করিবেন না, এই ক্ষণেই আমার প্রাণরক্ষা করিয়াছেন। যুবকের সহায়তা ভিন্নও এই নিবিড়